সর্বদলীয় সফর নিয়ে বিতর্ক, তৃণমূল প্রত্যাহার করল ইউসুফ পাঠানকে! ঘাসফুলের সিদ্ধান্তে চমক

‘অপারেশন সিঁদুর’-এর পর দেশজুড়ে রাজনৈতিক উত্তেজনা যেন নতুন মাত্রা পেয়েছে। সেই (TMC)  আবহেই মোদী সরকারের সর্বদলীয় প্রতিনিধি দল গঠনের সিদ্ধান্ত ঘরোয়া রাজনীতিতে নতুন বিতর্কের জন্ম…

Controversy Erupts as TMC Withdraws Yusuf Pathan from 'Operation Sindoor' Diplomacy, Refuses to Join Multi-Party Delegation

‘অপারেশন সিঁদুর’-এর পর দেশজুড়ে রাজনৈতিক উত্তেজনা যেন নতুন মাত্রা পেয়েছে। সেই (TMC)  আবহেই মোদী সরকারের সর্বদলীয় প্রতিনিধি দল গঠনের সিদ্ধান্ত ঘরোয়া রাজনীতিতে নতুন বিতর্কের জন্ম দিয়েছে। এই প্রতিনিধিদলে বিভিন্ন দলের সাংসদদের অন্তর্ভুক্ত করার সিদ্ধান্ত একদিকে কেন্দ্রের(TMC) কূটনৈতিক উদ্যোগ বলে মনে করা হলেও, অন্যদিকে বিরোধী দলগুলির তরফে তা রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলেই চিহ্নিত হয়েছে।

এই প্রসঙ্গে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য ঘটনা ঘটেছে তৃণমূল কংগ্রেসের (TMC)  পক্ষ থেকে। কেন্দ্রীয় সরকার প্রাক্তন ক্রিকেটার ও তৃণমূল সাংসদ ইউসুফ পাঠানকে প্রতিনিধিদলে (TMC)  রাখার সিদ্ধান্ত জানায়। বিদেশ মন্ত্রক ও সংসদীয় মন্ত্রী কিরেন রিজিজু তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করে পাসপোর্ট সংক্রান্ত তথ্যও সংগ্রহ করেন। ইউসুফ(TMC)  পাঠান নিজেও প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন সফরের জন্য। কিন্তু আচমকাই দলীয় সিদ্ধান্তে তাঁকে এই সফরে না যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়।

   

তৃণমূলের রাজ্যসভার(TMC)  নেতা ডেরেক ও’ ব্রায়েন পরিষ্কার জানান, “আমরা জাতীয় স্বার্থে বরাবরই পাশে রয়েছি। কিন্তু আন্তর্জাতিক কূটনীতি চালানো সরকারের কাজ। তা দলীয় (TMC)  সম্মতি ছাড়া করা শৃঙ্খলাবিরোধী।” দলীয় সূত্রে দাবি, কোনও সাংসদকে প্রতিনিধিদলে অন্তর্ভুক্ত করার আগে দলনেত্রী (TMC)  বা নেতৃত্বের সঙ্গে আলোচনা না করে সরাসরি যোগাযোগ করা শোভনীয় নয়। তৃণমূল এটিকে দলীয় শৃঙ্খলা লঙ্ঘন হিসেবে দেখছে।

শুধু তৃণমূল নয়, শিবসেনা (উদ্ধবপন্থী) ও কংগ্রেসও এই উদ্যোগের (TMC)  বিরোধিতা করছে। উদ্ধব ঠাকরের অনুমতি ছাড়া শিবসেনা সাংসদ প্রিয়াঙ্কা চতুর্বেদীকে প্রতিনিধিদলে রাখা নিয়ে দলীয় অস্বস্তি প্রকাশ্যে এসেছে। দলের নেতা সঞ্জয় রাউত কটাক্ষ করে বলেন, “এটা কোনও আন্তর্জাতিক দৌত্য নয়, এটা যেন বরযাত্রী পাঠানো হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী দুর্বল, এভাবে তাড়াহুড়ো করে বিদেশে প্রতিনিধি পাঠানোর কোনও প্রয়োজন ছিল না।”

এদিকে, কংগ্রেসের অন্দরেও ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে শশী তারুরকে প্রতিনিধিদলের (TMC)  নেতা হিসেবে বেছে নেওয়া নিয়ে। দলের একাংশ মনে করছে, রাহুল গান্ধী বা মল্লিকার্জুন খড়্গেকে বাদ দিয়ে শশী তারুরকে সামনে আনা বিজেপির একটি কৌশল। কারণ, সম্প্রতি তারুর কিছু মন্তব্য করেছেন যা কংগ্রেসের (TMC)  দলের অবস্থান থেকে আলাদা ছিল। বিজেপি নেতা গৌরব বল্লভ পাল্টা কটাক্ষ করে বলেন, “আসল প্রতিভা কংগ্রেসে জায়গা পায় না। তারুরের মতো ব্যক্তিত্বকে প্রধানমন্ত্রী বেছে নিচ্ছেন বলেই সমস্যা কংগ্রেসের।”

Advertisements

এদিকে, কংগ্রেসও বিজেপিকে জবাব দিতে ছাড়েনি। উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ (TMC)  ধনখড়ের জন্মদিনে শুভেচ্ছা জানাতে গিয়ে কংগ্রেস মুখপাত্র জয়রাম রমেশ তীব্র আক্রমণ শানান। তিনি বলেন, “আন্দোলনরত কৃষকদের প্রতি ধনখড়ের আবেগকে মোদী সরকার সম্পূর্ণভাবে উপেক্ষা করেছে। এটা দুর্ভাগ্যজনক হলেও অবাক হওয়ার কিছু নেই।”

সব মিলিয়ে, কেন্দ্রের সর্বদলীয় কূটনৈতিক উদ্যোগ একদিকে (TMC)  আন্তর্জাতিক মঞ্চে ভারতের অবস্থান স্পষ্ট করার চেষ্টায় উৎসাহী হলেও, অন্যদিকে বিরোধী শিবিরের তরফে এটিকে ঘরোয়া রাজনৈতিক ফায়দা তোলার প্রচেষ্টা হিসেবে দেখা হচ্ছে। প্রতিনিধি দলের গঠন ঘিরে বিভিন্ন দলের ভিন্ন মত ও প্রতিক্রিয়া(TMC)  ভবিষ্যতে কেন্দ্র ও বিরোধীদের সম্পর্ককে আরও জটিল করে তুলতে পারে বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।

এই পরিস্থিতিতে প্রশ্ন উঠছে—জাতীয় স্বার্থের নামে রাজনৈতিক স্বার্থ কতটা জায়গা নিচ্ছে ভারতের পররাষ্ট্রনীতিতে? উত্তরের জন্য নজর রাখতে হবে আগামী কয়েক দিনের রাজনৈতিক ও কূটনৈতিক অগ্রগতির দিকে।