বিজেপির অন্দরেই বিদ্রোহ, “দলের ক্ষতি করছেন দিলীপ ঘোষ” – রেল বাংলো ইস্যুতেও সরব হিরণ

পশ্চিম মেদিনীপুরের রাজনীতিতে ফের বিতর্কের কেন্দ্রে বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ। এবার তাঁর সমালোচনায় সরব হলেন খড়্গপুরের বর্তমান বিধায়ক ও বিজেপি নেতা হিরন্ময় চট্টোপাধ্যায় (Hiran Chatterjee)…

Dilip Ghosh’s Comment on Mamata Draws Sharp Reaction from Hiran

পশ্চিম মেদিনীপুরের রাজনীতিতে ফের বিতর্কের কেন্দ্রে বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ। এবার তাঁর সমালোচনায় সরব হলেন খড়্গপুরের বর্তমান বিধায়ক ও বিজেপি নেতা হিরন্ময় চট্টোপাধ্যায় (Hiran Chatterjee) ওরফে হিরণ। প্রকাশ্যে সংবাদমাধ্যমে দাঁড়িয়ে তিনি প্রশ্ন তুলেছেন দিলীপ ঘোষের সাম্প্রতিক মন্তব্য ও কর্মকাণ্ড নিয়ে। বিশেষ করে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ‘নির্দোষ ও নিষ্কলঙ্ক’ বলা এবং রাজ্য (Hiran Chatterjee) সরকারের আয়োজনে দিঘার জগন্নাথ মন্দির উদ্বোধনে উপস্থিত হওয়াকে কেন্দ্র করে বিজেপির অন্দরেই জোর চাপানউতোর শুরু হয়েছে।

বিষয়টি শুরু হয়েছে রবিবার। সেদিন খড়্গপুরে ‘অপারেশন সিঁদুর’ উপলক্ষে একটি শোভাযাত্রার আয়োজন করেছিলেন দিলীপ ঘোষ। পাকিস্তানের সেনার হাতে নিহত ভারতীয় জওয়ানদের স্মরণে(Hiran Chatterjee) আয়োজিত এই শোভাযাত্রায় অংশ নেন খড়্গপুরের প্রাক্তন বিধায়ক ও মেদিনীপুরের প্রাক্তন সাংসদ দিলীপ ঘোষ। কিন্তু আশ্চর্যজনকভাবে, ওই মিছিলে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি খড়্গপুরের বর্তমান বিধায়ক হিরণকে(Hiran Chatterjee) ।

   

রবিবার রাতেই একটি সাংবাদিক বৈঠক করে হিরণ জানান, তিনি এই কর্মসূচির বিষয়ে কিছুই জানতেন না। তিনি বলেন, “দলের জেলা সভাপতি হয়তো(Hiran Chatterjee) মনে করেছেন যে এলাকার নির্বাচিত বিধায়কের কোনও গুরুত্ব নেই। তাই আমাকে জানানো হয়নি। একজন সাংগঠনিক নেতা (Hiran Chatterjee) হিসেবে দিলীপদার উচিত ছিল, অন্তত শালীনতার খাতিরে আমাকে জানানো।”

এরপরেই হিরণ আক্রমণ শানান দিলীপ ঘোষের সাম্প্রতিক মন্তব্য নিয়ে। কিছুদিন আগে একটি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ‘নির্দোষ(Hiran Chatterjee) ও নিষ্কলঙ্ক’ বলে অভিহিত করেন দিলীপ ঘোষ। তারপর তাঁকে দেখা যায় দিঘার জগন্নাথ মন্দিরের উদ্বোধনে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে মঞ্চ ভাগ করে নিতে।

এই প্রসঙ্গে হিরণ বলেন, “একদিকে আমাদের দল রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ও সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলনে ব্যস্ত। অন্যদিকে, আমাদেরই এক প্রবীণ নেতা প্রকাশ্যে মুখ্যমন্ত্রীকে সাধু বানিয়ে দিচ্ছেন এবং রাজ্য সরকারের অনুষ্ঠানে অংশ নিচ্ছেন! এটা কী ধরনের বার্তা দিচ্ছে আমাদের কর্মীদের মধ্যে?”

Advertisements

হিরণের (Hiran Chatterjee) আরও প্রশ্ন, “সৌজন্য দেখানো আর রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের প্রতি অতিরিক্ত নমনীয়তা দেখানো এক জিনিস নয়। দিলীপদার সৌজন্য আজ(Hiran Chatterjee) মাটির কাছাকাছি থাকা বিজেপি কর্মীদের মনোবলে ধাক্কা দিচ্ছে। যখন আমরা মানুষের মধ্যে দাঁড়িয়ে বলছি এই সরকার দুর্নীতিগ্রস্ত, তখন দলের এক নেতার (Hiran Chatterjee) মুখে মুখ্যমন্ত্রীর প্রশংসা শুনলে সাধারণ মানুষের মধ্যেও বিভ্রান্তি তৈরি হয়।”

এছাড়াও, হিরণ খোঁচা দেন দিলীপ ঘোষের রেল বাংলোতে থাকার প্রসঙ্গেও। তিনি বলেন, (Hiran Chatterjee) “যিনি আর সাংসদ নন, তিনি এখনও রেল বাংলো দখল করে রয়েছেন। সাধারণ মানুষকে নিয়ম মেনে থাকতে হয়, আর আমাদের নেতারা ব্যতিক্রম?”

এই পুরো ঘটনার জেরে পশ্চিম মেদিনীপুরে বিজেপির (Hiran Chatterjee) অন্দরে স্পষ্ট দ্বন্দ্বের ছবি ফুটে উঠেছে। একদিকে প্রবীণ নেতা দিলীপ ঘোষ, যিনি এক সময় রাজ্য সভাপতির দায়িত্ব (Hiran Chatterjee) পালন করেছেন এবং রাজ্য রাজনীতিতে বিজেপির (Hiran Chatterjee) উত্থানে মুখ্য ভূমিকা রেখেছেন। অন্যদিকে, হিরণ – এক সময়ের অভিনেতা, এখন খড়্গপুরের জনপ্রিয় বিধায়ক।

এই প্রকাশ্য বাকযুদ্ধ কেবল জেলা রাজনীতিতে নয়, রাজ্য বিজেপির (Hiran Chatterjee) অন্দরেও নতুন করে বিতর্ক ও গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব উসকে দিচ্ছে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। প্রশ্ন উঠছে, দল যখন লোকসভা নির্বাচনের আগে নিজেদের শক্তি সঞ্চয়ে ব্যস্ত, তখন এই ধরনের বিবাদ দলের ভিতকে আরও দুর্বল করে তুলবে না তো?