সুপার কাপ জয়ী কোচ কার্লেস কুয়াদ্রাতের তত্ত্বাবধানে এই সিজন শুরু করেছিল ইমামি ইস্টবেঙ্গল (Emami East Bengal)। কিন্তু খুব একটা সুবিধা করা সম্ভব হয়নি তাঁদের পক্ষে। ডুরান্ড কাপের কোয়ার্টার ফাইনাল থেকে বিদায় নেওয়ার পর দেশের প্রথম ডিভিশন লিগ তথা আইএসএলে ভালো পারফরম্যান্স করতে মরিয়া ছিল লাল-হলুদ ব্রিগেড। কিন্তু সেটা সম্ভব হয়নি। পরাজিত হতে হয়েছে টানা ছয়টি ম্যাচ। এমন পরিস্থিতিতে দলের দায়িত্ব থেকে সরে দাঁড়ান কার্লেস। পরবর্তীতে দলের দায়িত্ব তুলে দেওয়া হয় অস্কার ব্রুজনের হাতে। সময় যত এগিয়েছে এই বিদেশী কোচের হাত ধরেই নিজেদের পুরনো ছন্দে ফিরেছিল ইস্টবেঙ্গল। এএফসির টুর্নামেন্টের গ্ৰুপ পর্বে ভালো পারফরম্যান্স করার পর আইএসএলে ও জয়ের মুখ দেখেছিল এই ফুটবল ক্লাব। কিন্তু চোট আঘাতের সমস্যা ফের ব্যাকফুটে ঠেলে দিয়েছিল দলকে।
Also Read | মহম্মদ রশিদকে চূড়ান্ত করার পথে ইমামি ইস্টবেঙ্গল
যারফলে নয়া কোচের হাত ধরে একটা সময় সুপার সিক্সে যাওয়ার প্রবল সম্ভাবনা দেখার দিলেও কাজের কাজ কিছুই হয়নি। বিশেষ করে শক্তিশালী বেঙ্গালুরু এফসির সঙ্গে ড্র করার পরেই স্বপ্ন শেষ হয়ে যায় ইস্টবেঙ্গলের। কিন্তু তবুও কলিঙ্গ সুপার কাপ নিয়ে আশায় বুক বেঁধেছিল লাল-হলুদ জনতা। সেখানেও মিলেছে হতাশা। ছিটকে যেতে হয়েছে প্রি-কোয়ার্টার ফাইনালে। এই ধাক্কা ভুলে এখন থেকেই নতুন সিজনের জন্য প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে ইস্টবেঙ্গল। বিগত কয়েক সপ্তাহ ধরেই ব্যাপকভাবে উঠে আসতে শুরু করেছে বহু দেশি ও বিদেশি ফুটবলারদের নাম। আসলে যতদূর খবর, দলের বর্তমান বিদেশিদের নিয়ে খুব একটা খুশি নন অস্কার ব্রুজন। তাই এখন থেকেই বিকল্প খোঁজার কাজ শুরু করে দিয়েছে ম্যানেজমেন্ট।
Also Read | চেন্নাইয়িনের একাধিক ফুটবলারদের দিকে নজর প্রতিপক্ষ ক্লাবগুলির
সেক্ষেত্রে বারংবার উঠে আসতে শুরু করেছিল ব্রাজিলিয়ান মিডফিল্ডার মিগুয়েল ফেরেইরা দামাসেনোর নাম। বর্তমানে বাংলাদেশের ফুটবল ক্লাব বসুন্ধরা কিংসের সঙ্গে যুক্ত থাকলেও নয়া সিজনে তাঁকে নিয়ে আগ্ৰহ দেখাতে শুরু করেছিল লাল-হলুদ ম্যানেজমেন্ট। সেইমতো কথাবার্তা ও এগিয়ে গিয়েছে অনেকটাই। সব ঠিকঠাক থাকলে আগামী কয়েকদিনের মধ্যেই পরিষ্কার হয়ে যাবে তাঁর যোগদানের কথা। বিগত কয়েক সিজন ধরেই নিজের সেরাটা দিয়ে আসছেন এই তারকা ফুটবলার। ভারতে এসে ও সেই ছন্দ বজায় রাখার লক্ষ্য থাকবে মিগুয়েলের।
তবে শুধুমাত্র তিনি নন। শোনা যাচ্ছে নয়া সিজনে অন্তত চারজন নতুন বিদেশি ফুটবলারকে দলে সই করানোর পরিকল্পনা রয়েছে ম্যানেজমেন্টের। সেক্ষেত্রে শক্তিশালী দল গড়ে সাফল্য নিশ্চিত করাই প্রধান লক্ষ্য থাকবে সকলের।