পঞ্চম ডিভিশন গ্রুপ ‘বি’র রোমাঞ্চকর ফাইনাল ম্যাচে শনিবার বাটা বিজি প্রেস মাঠে টাইব্রেকারে ৪-১ গোলে ইন্ডিয়া ক্লাবকে পরাজিত করে চ্যাম্পিয়নের মুকুট ছিনিয়ে নিল মতুয়া ফুটবল ফাউন্ডেশন (Matua Football Foundation)। নির্ধারিত সময়ে ম্যাচ গোলশূন্য থাকলেও, টাইব্রেকারে দুর্দান্ত পারফরম্যান্সের মাধ্যমে ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দেয় মতুয়ার ফুটবলাররা।
এই জয়ের মূল কারিগর হিসেবে উঠে এসেছেন মতুয়া ফুটবল ফাউন্ডেশনের গোলরক্ষক দীপ সরকার। টাইব্রেকারে দুটি গুরুত্বপূর্ণ শট প্রতিহত করে তিনি দলের জয়ের পথ সুগম করেন। দীপের এই অসাধারণ পারফরম্যান্স গোটা ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দেয়। গোলরক্ষক হিসেবে শুধু নয়, একজন দলনায়ক হিসেবে তাঁর অবদান সর্বত্র প্রশংসিত হয়েছে।
টাইব্রেকারে মতুয়ার খেলোয়াড়দের আত্মবিশ্বাস এবং ফিনিশিং দক্ষতাই তাদের জয় এনে দেয়। দলের কোচ এবং কর্মকর্তারা ম্যাচ শেষে খেলোয়াড়দের ভূয়সী প্রশংসা করেন। কোচ বলেন, “এই জয় শুধু আমাদের নয়, আমাদের কমিউনিটির গর্ব। দীপসহ প্রত্যেক খেলোয়াড় নিজেদের সেরাটা দিয়ে খেলেছে।”
মাঠে উপস্থিত ছিলেন ইন্ডিয়ান ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের (IFA) সভাপতি অজিত বন্দ্যোপাধ্যায়, সচিব অনির্বাণ দত্ত, সহ সচিব রাকেশ ঝাঁ, মহম্মদ জামাল, সুদেষ্ণা মুখার্জী এবং এক্সিকিউটিভ সেক্রেটারি সুফল রঞ্জন গিরি। তারা খেলা শেষে বিজয়ী দলকে ট্রফি ও স্মারক তুলে দেন এবং খেলোয়াড়দের উৎসাহ দেন ভবিষ্যতে আরও সাফল্যের জন্য।
মতুয়া ফুটবল ফাউন্ডেশন দীর্ঘদিন ধরেই ঘরোয়া ফুটবল পরিসরে নিজেদের অবস্থান তৈরি করছে। এদিনের ফাইনাল ম্যাচ তাদের সেই যাত্রাপথে একটি বড় মাইলস্টোন। বিশেষ করে এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারী দলের সংখ্যার তুলনায় মতুয়ার এগিয়ে আসা তাদের প্রশিক্ষণ পদ্ধতির সাফল্যও তুলে ধরে।
ম্যাচ শেষে দলের অধিনায়ক বলেন, “এই জয় আমাদের টিমওয়ার্ক এবং কোচিং স্টাফের কৃতিত্ব। আমরা জানতাম যে টাইব্রেকারে সুযোগ আসলে দীপ আমাদের বাঁচাবে — ও আবারও সেটা প্রমাণ করল।”
এই জয়ের পর মতুয়া ফুটবল ফাউন্ডেশনের সমর্থকদের মধ্যে উচ্ছ্বাসের সীমা ছিল না। অনেকেই মাঠেই ঢাক, কাঁসর নিয়ে উদযাপন শুরু করেন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও দলের প্রশংসায় পঞ্চমুখ ফুটবল অনুরাগীরা।
ফাইনালের এই রোমাঞ্চকর মুহূর্ত বাংলা ঘরোয়া ফুটবলে এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা করল, যেখানে উদীয়মান প্রতিভা, দক্ষ প্রশিক্ষণ ও জেদ একত্রে সাফল্যের নতুন দিগন্তের দিকে এগিয়ে চলেছে।