আদালতে আপাতত স্থগিত রাহুল-অমিত সংঘাত

উত্তর প্রদেশের সুলতানপুরের একটি আদালতে কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীর (rahul) বিরুদ্ধে দায়ের করা একটি মানহানির মামলার শুনানি শনিবার অনুষ্ঠিত হয়নি । আইনজীবীদের একটি কর্মশালার কারণে…

rahul defamation case stopped

উত্তর প্রদেশের সুলতানপুরের একটি আদালতে কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীর (rahul) বিরুদ্ধে দায়ের করা একটি মানহানির মামলার শুনানি শনিবার অনুষ্ঠিত হয়নি । আইনজীবীদের একটি কর্মশালার কারণে এই শুনানি স্থগিত করা হয়েছে। মামলাটি ২০১৮ সালে স্থানীয় বিজেপি নেতা বিজয় মিশ্র দায়ের করেছিলেন। তিনি অভিযোগ করেছেন যে, কর্ণাটক বিধানসভা নির্বাচনের সময় রাহুল গান্ধী বিজেপির প্রথম সারির নেতা অমিত শাহ’র বিরুদ্ধে আপত্তিকর মন্তব্য করেছিলেন।

আইনজীবী সন্তোষ কুমার পাণ্ডে জানিয়েছেন

বাদীপক্ষের আইনজীবী সন্তোষ কুমার পাণ্ডে জানিয়েছেন, কর্মশালার কারণে সমস্ত আইনজীবী কাজ থেকে দূরে ছিলেন, ফলে শুনানি আগামী ২ জুন পর্যন্ত মুলতুবি করা হয়েছে।(rahul) এই ঘটনা রাজনৈতিক মহলে আলোচনার জন্ম দিয়েছে, কারণ এটি রাহুল গান্ধীর বিরুদ্ধে দায়ের করা একাধিক মামলার মধ্যে একটি, যেগুলি প্রায়ই ভারতের রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে উত্তেজনা সৃষ্টি করে।

   

মামলার বিবরণ অনুযায়ী (rahul)

মামলার বিবরণ অনুযায়ী, ২০১৮ সালে কর্ণাটক বিধানসভা নির্বাচনের প্রচারণার সময় রাহুল গান্ধী (rahul)অমিত শাহ’র বিরুদ্ধে মন্তব্য করেছিলেন, যা বিজেপি নেতা বিজয় মিশ্র মানহানিকর বলে দাবি করেন। মিশ্র অভিযোগ করেন যে, রাহুলের মন্তব্য শাহ’র খ্যাতি এবং বিজেপির ইমেজের ক্ষতি করেছে।

এই অভিযোগের ভিত্তিতে তিনি সুলতানপুরের এমপি-এমএলএ আদালতে মানহানির মামলা দায়ের করেন। এই মামলায় রাহুল গান্ধীকে (rahul)একাধিকবার আদালতে হাজির হতে হয়েছে, যদিও তিনি এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।

দুই সপ্তাহ অপেক্ষা করতে হবে

শনিবারের শুনানি স্থগিত হওয়ার ফলে মামলাটির পরবর্তী শুনানির জন্য আরও দুই সপ্তাহ অপেক্ষা করতে হবে। আইনজীবী পাণ্ডে জানিয়েছেন(rahul), “কর্মশালার কারণে আদালতের কার্যক্রম ব্যাহত হয়েছে। এটি একটি প্রশিক্ষণ কর্মশালা ছিল, যেখানে সমস্ত আইনজীবী অংশ নিয়েছিলেন। ফলে শুনানি সম্ভব হয়নি।” তিনি আরও বলেন, আদালত আগামী ২ জুন নতুন তারিখ নির্ধারণ করেছে, এবং সেদিন মামলার পরবর্তী শুনানি অনুষ্ঠিত হবে।

ক্রেডিট স্কোর কম? আজই জেনে নিন স্কোর উন্নত করার পদক্ষেপ

Advertisements

রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করেন

এই মামলাটি রাহুল গান্ধীর (rahul)বিরুদ্ধে বিজেপি নেতাদের দায়ের করা একাধিক মানহানির মামলার মধ্যে একটি। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করেন, এই ধরনের মামলাগুলি প্রায়শই রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হয় এবং বিরোধী নেতাদের চাপে রাখার কৌশল হিসেবে ব্যবহৃত হয়। রাহুল গান্ধী (rahul)এর আগেও এই ধরনের মামলায় আদালতে হাজির হয়েছেন এবং তিনি বারবার দাবি করেছেন যে এই মামলাগুলি তার রাজনৈতিক কণ্ঠস্বরকে দমন করার চেষ্টা।

“রাজনৈতিক প্রতিহিংসা”

কংগ্রেস নেতারা এই মামলাকে “রাজনৈতিক প্রতিহিংসা” হিসেবে বর্ণনা করেছেন। কংগ্রেসের একজন মুখপাত্র এক্স-এ লিখেছেন, “বিজেপি রাহুল গান্ধীর (rahul)কণ্ঠস্বর দমন করতে মানহানির মামলার অপব্যবহার করছে। এই মামলাগুলি তাদের রাজনৈতিক ব্যর্থতা ঢাকার একটি কৌশল।” অন্যদিকে, বিজেপি নেতারা দাবি করেছেন যে রাহুল গান্ধীর মন্তব্য দায়িত্বজ্ঞানহীন এবং এটি আইনি পদক্ষেপের যোগ্য।

এই মামলার প্রেক্ষাপটে ২০১৮ সালের কর্ণাটক নির্বাচনের সময়কার রাজনৈতিক পরিস্থিতি উল্লেখযোগ্য। তৎকালীন সময়ে রাহুল গান্ধী (rahul)বিজেপি নেতৃত্বের বিরুদ্ধে একাধিক বিষয়ে সমালোচনা করেছিলেন, এবং অমিত শাহ’র বিরুদ্ধে তার মন্তব্য বিশেষভাবে বিতর্কিত হয়েছিল। বিজয় মিশ্রের অভিযোগ অনুযায়ী, রাহুলের মন্তব্য শাহ’র ব্যক্তিগত এবং রাজনৈতিক খ্যাতির ক্ষতি করেছে মুখ্য সংবাদ হিসেবে বিবেচিত হয়েছে।

রাহুল গান্ধীর রাজনৈতিক ক্যারিয়ারের একটি গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্ত

এই মামলা রাহুল গান্ধীর (rahul)রাজনৈতিক ক্যারিয়ারের একটি গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্ত হিসেবে দেখা হচ্ছে, কারণ তিনি বর্তমানে লোকসভায় বিরোধী দলের নেতা হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। তার বিরুদ্ধে এই ধরনের মামলা তার রাজনৈতিক কার্যক্রমের উপর প্রভাব ফেলতে পারে, বিশেষ করে যখন কংগ্রেস আগামী নির্বাচনের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে।

আগামী ২ জুনের শুনানি এই মামলার পরবর্তী দিক নির্ধারণ করবে। আইনি বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, এই মামলা দীর্ঘমেয়াদী হতে পারে, কারণ মানহানির মামলাগুলি প্রায়শই জটিল এবং দীর্ঘস্থায়ী হয়। এই ঘটনা ভারতের রাজনৈতিক ও আইনি পরিস্থিতিতে আরও আলোচনার জন্ম দেবে বলে মনে করা হচ্ছে।