পাকিস্তানের (pakistan) সামরিক ঘাঁটিতে ভারতের সাম্প্রতিক হামলার ক্ষত মেরামতের জন্য ইসলামাবাদ গুরুত্বপূর্ণ সামরিক ঘাঁটিগুলির জন্য টেন্ডার জারি করেছে, যা ভারতের হামলার সাফল্যের সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য স্বীকৃতি হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। রাওয়ালপিন্ডি, কাল্লার কাহার এয়ারবেস, রিসালপুর এয়ারবেস এবং পাকিস্তানের অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ স্থানে অবস্থিত ঘাঁটিগুলির মেরামতের জন্য টেন্ডার জারি করা হয়েছে।
পাকিস্তান সেনাবাহিনীর ঘাঁটি এবং বিমানঘাঁটিতে হামলা (pakistan)
আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমও ভারতের পাকিস্তান (pakistan)সেনাবাহিনীর ঘাঁটি এবং বিমানঘাঁটিতে হামলার সাফল্যের বিষয়ে রিপোর্ট করেছে, যা নয়াদিল্লির ক্ষতি সাধনের দাবিকে বৈধতা দিয়েছে এবং ইসলামাবাদের সঙ্গে সম্পর্কের ক্ষেত্রে একটি নতুন স্বাভাবিকতা তৈরি করেছে।
Jyoti Malhotra: শ্রী রামের ভক্ত ইউটিউবার জ্যোতি মালহোত্রা পাক গুপ্তচর! কেমন তার পাক কানেকশন
নিউ ইয়র্ক টাইমস তার প্রতিবেদনে বলেছে
নিউ ইয়র্ক টাইমস তার প্রতিবেদনে বলেছে, হামলার আগে এবং পরে উচ্চ-রেজোলিউশনের স্যাটেলাইট চিত্রে পাকিস্তানের (pakistan)সামরিক স্থাপনাগুলিতে ভারতীয় হামলার ফলে “স্পষ্ট ক্ষতি” দেখা গেছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, “ভারত এবং পাকিস্তানের মধ্যে চার দিনের সামরিক সংঘর্ষ ছিল গত অর্ধ শতাব্দীতে দুই পারমাণবিক শক্তিধর দেশের মধ্যে সবচেয়ে ব্যাপক যুদ্ধ।
উভয় পক্ষ ড্রোন এবং ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করে একে অপরের বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা পরীক্ষা করেছে এবং সামরিক স্থাপনাগুলিতে হামলা চালিয়ে গুরুতর ক্ষতি সাধনের দাবি করেছে(pakistan)।”
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, “ভারত পাকিস্তানের (pakistan)সামরিক স্থাপনা এবং বিমানঘাঁটিগুলিকে লক্ষ্য করে স্পষ্ট সুবিধা অর্জন করেছে, কারণ এই সংঘর্ষ প্রতীকী হামলা এবং শক্তি প্রদর্শন থেকে একে অপরের প্রতিরক্ষা ক্ষমতার উপর আক্রমণে রূপান্তরিত হয়েছে।” বিভিন্ন প্রতিবেদনে রাওয়ালপিন্ডির চকলালায় অবস্থিত নূর খান এয়ারবেসের স্যাটেলাইট চিত্র প্রকাশ করা হয়েছে, যেখানে হামলার আগে এবং পরে ঘাঁটির ক্ষতি স্পষ্টভাবে দৃশ্যমান।
ওয়াশিংটন পোস্ট তার বিশ্লেষণ প্রতিবেদনে ভারতের হামলার সাফল্য নিশ্চিত করেছে এবং ইসলামাবাদের ‘বিজয়’ দাবিকে খণ্ডন করেছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, “ভারতের হামলায় পাকিস্তানের কমপক্ষে ছয়টি বিমানঘাঁটির রানওয়ে এবং কাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।” ওয়াশিংটন পোস্ট ২৪টিরও বেশি স্যাটেলাইট চিত্র এবং পরবর্তী ভিডিও পর্যালোচনা করে জানিয়েছে যে হামলায় তিনটি হ্যাঙ্গার, দুটি রানওয়ে এবং দুটি মোবাইল ভবন ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
প্রতিবেদনে বিশেষজ্ঞদের উদ্ধৃতি দিয়ে বলা হয়েছে
প্রতিবেদনে বিশেষজ্ঞদের উদ্ধৃতি দিয়ে বলা হয়েছে, এই হামলাগুলি “দক্ষিণ এশিয়ার প্রতিদ্বন্দ্বী দুই দেশের মধ্যে দশকের পর দশক ধরে চলা সংঘাতের মধ্যে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য হামলা।” লন্ডনের কিংস কলেজের আন্তর্জাতিক সম্পর্কের সিনিয়র লেকচারার ওয়াল্টার ল্যাডউইগ বলেন, “এই হামলাগুলি ১৯৭১ সালের যুদ্ধের পর পাকিস্তানের সামরিক অবকাঠামোর উপর ভারতের সবচেয়ে ব্যাপক বিমান হামলা হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে।”
পহেলগাঁও জঙ্গি হামলা
এই হামলাগুলি গত ২২ এপ্রিল পহেলগাঁও জঙ্গি হামলার প্রতিক্রিয়ায় ভারতের অপারেশন সিঁদুরের অংশ হিসেবে পরিচালিত হয়, যেখানে ২৬ জন পর্যটক নিহত হন। ৭ মে ভারত পাকিস্তান এবং পাকিস্তান (pakistan)অধিকৃত জম্মু ও কাশ্মীরে নির্ভুল হামলা চালায়, যাতে ১০০-এর বেশি জঙ্গি নিহত হয়। এই হামলায় পাকিস্তানের নূর খান এয়ারবেসে সেকেন্ডারি বিস্ফোরণ ঘটে, যেখানে পাকিস্তান বিমান বাহিনীর ছয়টি সাব এরিয়ে এডব্লিউএন্ডসি এবং তিনটি আইএল-৭৮ ট্যাঙ্কার রাখা হয়েছিল।
এক্স-এ প্রকাশিত পোস্টগুলিতে এই টেন্ডারগুলিকে ভারতের হামলার “চূড়ান্ত প্রমাণ” হিসেবে বর্ণনা করা হয়েছে। ব্যবহারকারীরা দাবি করেছেন, “পাকিস্তান প্রাথমিকভাবে ভারতীয় হামলায় সামান্য ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি করলেও, পাঁচটি টেন্ডার জারি করা ভারতীয় বিমান বাহিনীর শক্তিশালী হামলার ব্যাপক ক্ষতির প্রমাণ।”
এই ঘটনা ভারত ও পাকিস্তানের (pakistan)মধ্যে কৌশলগত গতিশীলতায় একটি নতুন মাত্রা যোগ করেছে। ভারতের এই হামলা কেবল পাকিস্তানের সামরিক ক্ষমতাকে দুর্বল করেনি, বরং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে ভারতের সামরিক শক্তি এবং সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে দৃঢ় অবস্থান প্রদর্শন করেছে। আগামী দিনে এই ঘটনা দুই দেশের সম্পর্ক এবং আঞ্চলিক নিরাপত্তার উপর কী প্রভাব ফেলবে, তা পর্যবেক্ষণের বিষয়।