ভারত মার্কিন যৌথ প্রচেষ্টায় আকাশে উড়ল সি-১৭ গ্লোবমাস্টার

ভারতীয় (india) বিমান বাহিনী (IAF) এবং মার্কিন বিমান বাহিনী (USAF) শনিবার জয়পুর বিমান ঘাঁটিতে ইউএসএএফ-এর একটি সি-১৭ গ্লোবমাস্টার তৃতীয় বিমানের প্রযুক্তিগত ত্রুটি সমাধানে যৌথভাবে কাজ…

india us try to fly airplane

ভারতীয় (india) বিমান বাহিনী (IAF) এবং মার্কিন বিমান বাহিনী (USAF) শনিবার জয়পুর বিমান ঘাঁটিতে ইউএসএএফ-এর একটি সি-১৭ গ্লোবমাস্টার তৃতীয় বিমানের প্রযুক্তিগত ত্রুটি সমাধানে যৌথভাবে কাজ করেছে। এই কার্যক্রমে গুরুত্বপূর্ণ সরঞ্জাম দ্রুত সংগ্রহ করা হয়েছিল, যা লজিস্টিক সহযোগিতা কাঠামোর অধীনে উচ্চ স্তরের সমন্বয়ের প্রতিফলন ঘটায়।

ভারতীয় বিমান বাহিনী একটি পোস্টে জানিয়েছে (india) 

ভারতীয় (india) বিমান বাহিনী এক্স-এ একটি পোস্টে জানিয়েছে, “আইএএফ-এর একটি রক্ষণাবেক্ষণ দল জয়পুরে ইউএসএএফ-এর সি-১৭ বিমানের প্রযুক্তিগত ত্রুটি সমাধানে ইউএসএএফ কর্মীদের সঙ্গে কাজ করেছে।” তারা আরও যোগ করেছে, “গুরুত্বপূর্ণ সরঞ্জাম দ্রুত সংগ্রহ করা হয়েছে, যা লজিস্টিক সহযোগিতা কাঠামোর অধীনে উচ্চ সমন্বয় প্রতিফলিত করে।”

   

ঘটনাটি জয়পুর আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ঘটে

এই ঘটনাটি জয়পুর (india) আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ঘটে, যেখানে ইউএসএএফ-এর সি-১৭ গ্লোবমাস্টার বিমানটি দুই সপ্তাহ ধরে ল্যান্ডিং গিয়ারে প্রযুক্তিগত ত্রুটির কারণে আটকে ছিল। বিমানটি সংবেদনশীল নিরাপত্তা সরঞ্জাম লোড করার পর উড্ডয়নের প্রস্তুতি নিচ্ছিল, কিন্তু ল্যান্ডিং গিয়ারের যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে এটি বিমানবন্দরের সুরক্ষিত এলাকায় আটকা পড়ে।

মার্কিন বিমান বাহিনীর প্রযুক্তিগত দল কয়েক দিন ধরে সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করলেও ব্যর্থ হয়। অবশেষে, শনিবার আইএএফ-এর একটি বিশেষায়িত প্রযুক্তিগত দল সহায়তার জন্য পাঠানো হয়। মার্কিন কর্মীদের সঙ্গে যৌথভাবে কাজ করে আইএএফ দল ল্যান্ডিং গিয়ারের ত্রুটি সফলভাবে সংশোধন করে।

প্রযুক্তিগত সহযোগিতার একটি উদাহরণ

এই ঘটনা কেবল প্রযুক্তিগত সহযোগিতার একটি উদাহরণ নয়, বরং ভারত (india) ও মার্ক ফিন্সফিন্স এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে ক্রমবর্ধমান সামরিক ও প্রযুক্তিগত সহযোগিতার গভীরতা প্রদর্শন করে। বিমানবন্দর থেকে পাওয়া ছবিতে দেখা গেছে, দুই দেশের প্রযুক্তিবিদরা পাশাপাশি কাজ করছেন, যা ভারতীয় এবং মার্কিন প্রতিরক্ষা বাহিনীর মধ্যে ক্রমবর্ধমান অপারেশনাল সমন্বয়কে তুলে ধরে।

মেরামত সম্পন্ন হওয়ায় সি-১৭ গ্লোবমাস্টারটি আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের উদ্দেশে রওনা হবে বলে আশা করা হচ্ছে। বিমানটি জেডি ভ্যান্সের সরকারি সফরের সময় মোতায়েন করা বিশেষ নিরাপত্তা যান এবং ইলেকট্রনিক নজরদারি সরঞ্জাম বহন করছে।

Advertisements

Weather: গরমে কাবু কলকাতায় হঠাৎ তাপমাত্রা কমল!

ভারত ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে গড়ে ওঠা সামরিক সহযোগিতা

এই ঘটনাটি ভারত (india) ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে গড়ে ওঠা সামরিক সহযোগিতা এবং প্রযুক্তিগত বোঝাপড়ার ফলাফল। দুই দেশের বিমান বাহিনীর মধ্যে ব্যাপক যৌথ প্রশিক্ষণ কর্মসূচি, লিয়াজোঁ অফিসার বিনিময় এবং প্রতিরক্ষা লজিস্টিক চুক্তির মাধ্যমে এই সহযোগিতা আরও শক্তিশালী হয়েছে। ২০১৭ সালে ভারতের কাছে অতিরিক্ত সি-১৭ বিক্রি, উচ্চ-পর্যায়ের মিথস্ক্রিয়া এবং যুধ অভ্যাস এবং কোপ ইন্ডিয়ার মতো বহুপাক্ষিক মহড়ায় অংশগ্রহণ দুই দেশের সশস্ত্র বাহিনীর মধ্যে সম্পর্ককে আরও দৃঢ় করেছে।

আইএএফ এবং ইউএসএএফ-এর মধ্যে শক্তিশালী অংশীদারিত্ব

আইএএফ এবং ইউএসএএফ-এর মধ্যে শক্তিশালী অংশীদারিত্ব রয়েছে, যার মূল ফোকাস ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে সহযোগিতা, আন্তঃকার্যক্ষমতা এবং যৌথ মহড়া বৃদ্ধি। প্রশিক্ষণ, সর্বোত্তম অনুশীলন ভাগাভাগি এবং প্রযুক্তির সম্ভাব্য যৌথ উন্নয়ন এই সহযোগিতার মূল ক্ষেত্র। জয়পুরে এই অপারেশনকে ভারত-মার্কিন সামরিক সহযোগিতার শক্তি এবং নির্ভরযোগ্যতার একটি উৎকৃষ্ট উদাহরণ হিসেবে প্রশংসা করা হয়েছে।

এই ঘটনা বিশ্বব্যাপী কূটনীতি এবং প্রতিরক্ষার জটিল লজিস্টিক নেটওয়ার্কের পাশাপাশি দুই দেশের মধ্যে ক্রমবর্ধমান সামরিক সম্পর্কের গুরুত্ব তুলে ধরে। জয়পুরে বিমানটির দীর্ঘায়িত উপস্থিতি স্থানীয়দের মধ্যে কৌতূহল এবং জল্পনা-কল্পনার বিষয় হয়ে উঠেছিল। তবে, এই সফল মেরামত কেবল প্রযুক্তিগত সমস্যার সমাধানই নয়, বরং দুই দেশের বিমান বাহিনীর মধ্যে আস্থা ও সহযোগিতার একটি প্রতীক।

এই যৌথ প্রচেষ্টা ভারতের (india) কৌশলগত এয়ারলিফট ক্ষমতার উপরও আলোকপাত করে। সি-১৭ গ্লোবমাস্টার দুই দেশের জন্যই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। সম্প্রতি, আইএএফ-এর একটি সি-১৭ কার্গিলের উচ্চ-উচ্চতার বিমানঘাঁটিতে প্রথমবারের মতো অবতরণ করে, যা পাকিস্তানের সঙ্গে নিয়ন্ত্রণ রেখার কাছে ভারতের সামরিক লজিস্টিক ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।

আগামী দিনে এই ঘটনা ভারত-মার্কিন (india) প্রতিরক্ষা সহযোগিতার ক্ষেত্রে একটি মাইলফলক হিসেবে বিবেচিত হবে। এটি প্রমাণ করে যে জটিল প্রযুক্তিগত চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় দুই দেশের অপারেশনাল প্রস্তুতি এবং আন্তঃকার্যক্ষমতা কতটা উন্নত হয়েছে।