গত মরসুমের বেহাল রক্ষণভাগ নিয়ে বেশ চাপে পড়েছিল ঐতিহ্যবাহী ক্লাব ইস্টবেঙ্গল (East Bengal)। জয়-পরাজয়ের গ্রাফে তার প্রভাব পড়েছিল চোখে পড়ার মতো। তাই ২০২৫ মরসুমের আগে দল গোছাতে কোমর বেঁধে নেমেছেন স্প্যানিশ কোচ অস্কার ব্রুজো ও ফুটবল অপারেশনের প্রধান থাংবোই সিংটো। এই দুজনের সম্মিলিত পরিকল্পনায় এবার শক্তিশালী রক্ষণভাগ গড়ে তোলাই মূল লক্ষ্য। সেই লক্ষ্যে ব্রাজিলিয়ান ডিফেন্ডার মিগুয়েলকে সই করানোর পর এবার পাকা কথা হয়েছিল সার্বিয়ান (Serbian) ফুটবলার ইভান মিলাডিনোভিচের (Ivan Miladinovic) সঙ্গে। কিন্তু জানা গিয়েছে শেষ মুহূর্তে বড় ধাক্কা খেল লাল হলুদ শিবির।
ইভানের সঙ্গে কথাবার্তা ও চুক্তির বিভিন্ন শর্ত নিয়ে আলোচনা একপ্রকার চূড়ান্ত হয়ে গিয়েছিল। এমনকি ক্লাবের তরফে তার মেডিকেল পরীক্ষার প্রস্তুতিও নেওয়া হচ্ছিল। কিন্তু ঠিক সেই সময়ে বাধ সাধল কাজাখিস্তানের ক্লাব টোবল কোস্টানে। তারা স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে, এই মুহূর্তে তারা ইভানকে ছাড়তে রাজি নয়। ফলে একপ্রকার জমে থাকা জলেও ঢিল পড়ল ইস্টবেঙ্গলের। ইভানকে সেপ্টেম্বরের আগে পাওয়া সম্ভব নয় বলেই মনে করা হচ্ছে, যা দলের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনায় বড়সড় ধাক্কা।
তবে এখানেই থেমে নেই লাল হলুদ কর্তারা। একাংশের বক্তব্য, ক্লাব যদি কিছুটা বেশি ক্ষতিপূরণ দিতে রাজি হয়, তবে হয়তো ইভানকে আগেই ছেড়ে দিতে পারে টোবল কোস্টানে। যদিও এটি এখনও শুধুই সম্ভাবনার পর্যায়ে রয়েছে। ইভানকে দলে নেওয়ার ইচ্ছা থাকলেও, এতদিন অপেক্ষা করা কতটা যুক্তিযুক্ত হবে তা নিয়ে সংশয়ে রয়েছেন কোচ অস্কার নিজেই। কারণ, দলের রক্ষণভাগ শক্ত করার জন্য এখনই একজন নির্ভরযোগ্য ডিফেন্ডার প্রয়োজন।
নাইটদের শেষ ভরসা RCB! টিকে থাকার লড়াইয়ে বিশেষ চমক রাহানেদের
এই প্রেক্ষাপটেই ইস্টবেঙ্গল নজর দিয়েছে দেশীয় খেলোয়াড়দের দিকেও। এই পরিস্থিতিতে লাল হলুদ সমর্থকদের মনে ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে, আদৌ কি যথাযথ রক্ষণভাগ গড়ে উঠবে আগামী মরসুমে? তবুও একাংশ সমর্থকের আশা, কোচ অস্কার ব্রুজো ধৈর্য সহকারে সঠিক ফুটবলারদেরই বেছে নেবেন। কারণ গতবারের ব্যর্থতা থেকে শিক্ষা নিয়ে এবার আর কোনও ঝুঁকি নিতে চান না তিনি।
সামগ্রিকভাবে দেখা যাচ্ছে, বিদেশি ও দেশীয় দুই দিক থেকেই ফুটবলার সই করাতে গিয়ে বড় চাপের মুখে ইস্টবেঙ্গল। তবে সময় থাকতেই সমস্যা চিহ্নিত করে এগোতে পারাটা অনেকটাই ইতিবাচক দিক। এখন দেখার, শেষপর্যন্ত কি ইভান মিলাডিনোভিচ লাল হলুদ জার্সি গায়ে চাপাতে পারেন, নাকি বিকল্প পথেই হাঁটতে হবে ক্লাবকে।