রাত আড়াইটেয় পাক সেনাপ্রধানের ফোন! ভারতের হামলার পর কী কথা হয় শরিফ-মুনিরের?

ইসলামাবাদ: রাত তখন আড়াইটে৷ পাকিস্তানের বুকে তখন ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর ক্ষম এঁকে দিয়েছে ভারত৷ সেই খবর জানাতে পাকিস্তানের সেনাপ্রধান আসিম মুনির ফোন করেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ…

Pak PM confirms India strikes

ইসলামাবাদ: রাত তখন আড়াইটে৷ পাকিস্তানের বুকে তখন ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর ক্ষম এঁকে দিয়েছে ভারত৷ সেই খবর জানাতে পাকিস্তানের সেনাপ্রধান আসিম মুনির ফোন করেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ-কে (Pak PM confirms India strikes)৷ এক অনুষ্ঠানে গিয়ে শরিফ নিজেই সেই তথ্য তুলে ধরলেন। তিনি জানান, গভীর রাতে মুনিরের ফোন পাওয়ার পর তিনি জেগে ওঠেন এবং দু’জনের মধ্যে কী কথা হয়েছিল, তাও প্রকাশ করেন।

পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম ডন-এর খবর অনুযায়ী, শরিফ শুক্রবার ইসলামাবাদের পাকিস্তান মনুমেন্টে অনুষ্ঠিত একটি অনুষ্ঠানে এই ঘটনা সম্পর্কে বিস্তারিত বর্ণনা করেছেন। তিনি জানান, ওই রাতটি ছিল “ভয়াবহ” এবং খুবই উদ্বেগজনক, কারণ তিনি জানতেন যে ভারতের আক্রমণটি পাকিস্তানের জন্য বিপজ্জনক পরিস্থিতি তৈরি করতে পারে।

   

কী কথা হয়েছিল? 

শরিফ জানান, ৬ তারিখ রাত ঠিক আড়াইটেয় তাঁকে ফোন করেন মুনির৷ তিনি ভারতের হামলার কথা প্রধানমন্ত্রীকে জানান৷ ঠিক কী বলেছিলেন মুনির? শরিফের কথায়, মুনির আমাকে ফোন করে বলেন, ‘‘মিস্টার প্রাইম মিনিস্টার, ভারত পাকিস্তানের দিকে ব্যালিস্টিক মিসাইল ছুড়েছে৷ আমাকেও ভারতে পাল্টা হামলার অনুমতি দিন।’’

অপারেশন সিঁদুর Pak PM confirms India strikes

অপারেশন সিঁদুর ভারতের পক্ষ থেকে পরিচালিত একটি সুনির্দিষ্ট সামরিক অভিযান, যা পাকিস্তানের গুরুত্বপূর্ণ বিমানঘাঁটিগুলির ওপর ভারতীয় বাহিনী সফলভাবে চালিয়েছে। পাকিস্তান প্রথমে দাবি করেছিল যে, তারা ভারতীয় এস-৪০০ আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ধ্বংস করেছে, তবে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর আদমপুর এয়ারবেস পরিদর্শন পাকিস্তানের দাবি মিথ্যা প্রমাণ করে।

শরিফ এই ঘটনাটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করেন, কারণ এটি পাকিস্তানের নিরাপত্তা ব্যবস্থার উপর এক বড় আঘাত। তিনি বলেন, “এমন একটি ঘটনা কখনও প্রত্যাশিত ছিল না, বিশেষ করে ভারত-পাকিস্তান সম্পর্কের প্রেক্ষাপটে। একদিক থেকে, এটি আমাদের কাছে একটি বড় সঙ্কট হিসেবে ধরা হচ্ছে।”

পাকিস্তানের বিভ্রান্তি প্রচারণা 

পাকিস্তান আরও দাবি করেছিল যে ভারতের হামলায় সাধারণ মানুষের ক্ষতি হয়েছে, তবে সিন্ধু প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী নিশ্চিত করেছেন যে ভোলারি এয়ারবেসে হামলা চালানো হয়েছে, যেখানে ছয়জন পাকিস্তানি বিমান বাহিনীর সদস্য নিহত হয়েছেন। এটি ভারতের দাবি সমর্থন করে যে তারা শুধুমাত্র সামরিক ঘাঁটিগুলি লক্ষ্য করেই হামলা চালিয়েছে, সাধারণ মানুষকে নয়।

ভারতের প্রতিশোধমূলক আক্রমণ

ভারতের আক্রমণটি ছিল ২২ এপ্রিল কাশ্মীরের পহেলগাঁও-এ সন্ত্রাসবাদী হামলায় ২৬ জন নিরপরাধ মানুষের মৃত্যুর প্রতিশোধ। ৮, ৯, এবং ১০ মে পাকিস্তান পাল্টা আক্রমণ চালানোর চেষ্টা করেছিল। তারা ড্রোন এবং ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে ভারতীয় সামরিক ঘাঁটিতে হামলা চালানোর চেষ্টা করে। তবে ভারতীয় বাহিনী শক্তিশালী পাল্টা আক্রমণ চালায়, যা ছিল “সাবধান কিন্তু চূড়ান্ত” প্রতিশোধ।

যুদ্ধবিরতি

চারদিন ধরে চলা এই তীব্র সংঘর্ষের পর, ১০ মে দুই দেশ একত্রিত হয়ে সামরিক সংঘর্ষ বন্ধ করার জন্য একটি সমঝোতায় পৌঁছায়। পাকিস্তান এবং ভারতের মধ্যে এই যুদ্ধবিরতির ফলে দু’পক্ষের মধ্যে নতুন শান্তির আলো দেখা যায়, যদিও ভবিষ্যতে এই উত্তেজনা কোথায় গিয়ে দাঁড়াবে তা অনিশ্চিত।

এই পরিস্থিতি আবারও প্রমাণ করে যে, ভারত এবং পাকিস্তানের মধ্যে যেকোনো সামরিক উত্তেজনা দ্রুত সমঝোতার মাধ্যমে সমাধান করা প্রয়োজন। তবে ভবিষ্যতে এই উত্তেজনার কিভাবে সমাধান হবে, তা সময়ই বলবে।

World: Pakistani PM Shehbaz Sharif reveals details of a phone call from army chief Asim Munir about India’s ‘Operation Sindoor’ targeting key military bases. Sharif described the night as “horrifying” and expressed deep concern over the attack and its implications for Pakistan’s security.