ভোটের আগেই তৃণমূলের কেষ্ট কীর্তন শেষ!

তিহার জেল থেকে আসার পর দাপট আর নেই তৃণমূল কংগ্রেসের (TMC) কেষ্টবাবুর (Anubrata Mondal)। এবার তিনি বাদ পড়লেন! খোদ দলনেত্রীর নির্দেশে অনুব্রত মণ্ডল ওরফে কেষ্টকে…

anubrata mondal

তিহার জেল থেকে আসার পর দাপট আর নেই তৃণমূল কংগ্রেসের (TMC) কেষ্টবাবুর (Anubrata Mondal)। এবার তিনি বাদ পড়লেন! খোদ দলনেত্রীর নির্দেশে অনুব্রত মণ্ডল ওরফে কেষ্টকে দলের জেলা সভাপতি পদ থেকে সরানো হয়েছে। প্রিয় কেষ্টর নেতৃত্বে জেলায় আর দল চালাতে নারাজ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বীরভূমে কোনো দলীয় জেলা সভাপতি পদই রাখেননি মমতা।

গরু পাচার মামলায় কেষ্টকে জেলে নিয়ে যাওয়ার পরেও তাকে জেলা সভাপতির পদে রেখেছিলেন মমতা। কেষ্টহীন জেলায় কাজল শেখের দাপট বেড়েছিল। কেষ্ট বনাম কাজল শেখের দ্বন্দ্বে তৃণমূলের অন্দরে রক্তক্ষরণ চলেছে। তিহার থেকে ফিরে এলেও কেষ্ট তেমন সক্রিয় হতে পারেননি। তবে কাজল শেখ জেলা ধরে নিয়েছিলেন।

   

তৃণমূল সাংগঠনিক রদবদলে বীরভূমে আর রিস্ক নিতে চাননি মমতা। বীরভূমে দলীয় জেলা সভাপতি পদ অবলুপ্ত করেছেন। মমতার নির্দেশে কোর কমিটি এই জেলার সাংগঠনিক কাজ দেখবে।

বীরভূম জেলায় সাত সদস্যের কোর কমিটিতে রয়েছেন, অনুব্রত মণ্ডল (কেষ্ট), অভিজিৎ সিনহা, আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়, চন্দ্রনাথ সিনহা, বিকাশ রায়চৌধুরী, সুদীপ্ত ঘোষ, কাজল শেখ। দুই সাংসদ শতাব্দী রায়, অসিত মাল কোর কমিটির আমন্ত্রিত সদস্য হিসেবে আছেন।

আসন্ন ২১ জুলাই সমাবেশ থেকে মমতা দেবেন আগামী বিধানসভা নির্বাচনের প্রস্তুতি বার্তা। সূত্রের খবর কেষ্ট ও কাজলের কাছে শান্ত থাকার স্পষ্ট নির্দেশ চলে গেছে। তবে জেলা তৃণমূলের অন্দরে গুঞ্জন নির্দেশ কেউ মানবে কি!