আইপিএল ২০২৫ (IPL 2025 ) এক বড়সড় ধাক্কার মুখে দিল্লি ক্যাপিটালস (Delhi Capitals)। দলকে গুরুত্বপূর্ণ সময় বাঁচাতে না পারলেও, প্রতিপক্ষের জন্য বড় মাথাব্যথার কারণ হয়ে উঠেছিলেন মিচেল স্টার্ক (Mitchell Starc)। কিন্তু এই অজি পেসার জানিয়ে দিয়েছেন, বাকি থাকা তিনটি ম্যাচে তিনি আর খেলবেন না। ফলে দলের শেষ মুহূর্তের লড়াইয়ের আশা কার্যত ঝুঁকিতে পড়ে গেল।
স্টার্কের এই সিদ্ধান্ত যে দিল্লির জন্য মারাত্মক সমস্যা হয়ে দাঁড়াবে, তা বলাই বাহুল্য। ১১ জুন থেকে শুরু হচ্ছে বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ (WTC) ফাইনাল। তার প্রস্তুতির জন্যই আইপিএলের শেষ ধাপের ম্যাচগুলোতে অংশ নিতে রাজি নন স্টার্ক। ফলে ৩ জুন আইপিএলের ফাইনাল হলেও, সেই সময় ভারতে থাকবেন না তিনি। স্টার্ক ইতিমধ্যেই জানিয়ে দিয়েছেন যে, তিনি দেশে ফিরে গিয়েছেন এবং আর ফিরবেন না।
স্টার্ককে দিল্লি এবারের নিলামে ১১ কোটি ৭৫ লক্ষ টাকায় দলে নিয়েছিল। কিন্তু তিনি পুরো টুর্নামেন্টে না খেলায় প্রায় ৩ কোটি ৮৫ লক্ষ টাকা কেটে নেওয়া হতে পারে তার পারিশ্রমিক থেকে।
KKR ম্যাচের আগেই ‘বিরাট’ সুখবর কোহলিদের
এই মরসুমে দিল্লির হয়ে সবচেয়ে ধারাবাহিক বোলার ছিলেন স্টার্ক। তিনিই ছিলেন দলের পেস আক্রমণের মুখ। গুরুত্বপূর্ণ উইকেট তুলে নিয়ে একাধিক ম্যাচে দলকে জেতানোর পথে এগিয়ে দিয়েছিলেন। তাঁর অনুপস্থিতিতে দিল্লির বোলিং বিভাগ এখন কার্যত নেতৃত্বহীন।
শুধু স্টার্ক নয়, দিল্লির আরও কিছু বিদেশি ক্রিকেটার নিয়ে তৈরি হয়েছে অনিশ্চয়তা। দক্ষিণ আফ্রিকার ফ্যাফ ডু’প্লেসি আইপিএলে যোগ দেবেন কি না, তা এখনও পরিষ্কার নয়। আবার ট্রিস্টিয়ান স্টাবস দিল্লির হয়ে খেলতে এলেও শুধুমাত্র লিগ পর্যায়ের ম্যাচগুলোতে থাকবেন। তিনি প্লে-অফ খেলবেন না। বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালের প্রস্তুতির জন্য স্টাবস আগেই দেশে ফিরে যাবেন বলে জানা গিয়েছে।
অন্যদিকে, অস্ট্রেলিয়ার আরও দুই তারকা ক্রিকেটার – প্যাট কামিন্স ও ট্রেভিস হেড, যাঁরা সানরাইজার্স হায়দরাবাদের হয়ে খেলছেন, তাঁরা লিগের শেষ ম্যাচগুলো খেলবেন। কারণ সানরাইজার্সের প্লে-অফে যাওয়ার সম্ভাবনা কার্যত নেই। ফলে তাঁরা লিগ শেষ করেই দেশে ফিরে যাবেন এবং বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের জন্য প্রস্তুতি নিতে পারবেন সময় মতো।
এই পরিস্থিতিতে দিল্লি ক্যাপিটালসের কোচিং স্টাফ এবং টিম ম্যানেজমেন্ট বড় চাপের মুখে। একের পর এক বিদেশি খেলোয়াড়দের অনুপস্থিতি দলগঠনে প্রভাব ফেলছে। দলের ভারসাম্য নষ্ট হচ্ছে এবং বোলিং ইউনিট কার্যত দুর্বল হয়ে পড়ছে। এই অবস্থায় স্থানীয় ক্রিকেটারদের উপর ভরসা করেই দিল্লিকে প্লে-অফের যোগ্যতা অর্জনের লড়াই চালিয়ে যেতে হবে।
আইপিএলের শেষ ধাপ সবসময়ই উত্তেজনায় ভরপুর থাকে। কিন্তু দিল্লির মতো দলের জন্য এখন চিন্তার মেঘ ঘনাচ্ছে। স্টার্কের অনুপস্থিতি ও মুস্তাফিজের দলে অনিশ্চিত থাকা তাদের সমীকরণকে আরও কঠিন করে তুলেছে। এখন দেখা যাক, এই চ্যালেঞ্জের মুখে দাঁড়িয়ে দিল্লি কতটা লড়াই করতে পারে।