Akash NG: ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনার মধ্যে কিছু দেশের আসল চেহারা উন্মোচিত হয়েছে। চিন, তুর্কিয়ে এবং আজারবাইজান এমন দেশ যারা প্রকাশ্যে পাকিস্তানের সমর্থন করেছে । কিন্তু এখন এই দেশগুলি ভারতের কাছ থেকে একের পর এক ধাক্কা পেতে পারে। আজারবাইজান এমন একটি দেশ যার বিরুদ্ধে ভারতের কিছু করার দরকার নেই, বরং তার শত্রুকে শক্তিশালী করলেই কেল্লা ফতে! ভারত এখন আজারবাইজানের চিরশত্রুকে একটি বিপজ্জনক অস্ত্র দিতে পারে, যা প্রতিপক্ষের জন্য একটি ভারী আঘাত হিসেবে প্রমাণিত হবে।
আর্মেনিয়া এই বায়ু প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা কিনতে চায়
আজারবাইজানের শত্রু দেশ আর্মেনিয়া, ভারতের কাছ থেকে আকাশ-এনজি (আকাশ- পরবর্তী প্রজন্ম) বায়ু প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা কিনতে আগ্রহী। এই দেশ তার সামরিক বাহিনীতে এই শক্তিশালী বায়ু প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা অন্তর্ভুক্ত করার কথা বিবেচনা করছে। ধারণা করা হচ্ছে যে এটি ২০২৬ সালে আজারবাইজান অর্ডার করতে পারে।
আকাশ-১এস ভারত থেকে কেনা হয়েছে
আর্মেনিয়া সম্প্রতি ভারতের কাছ থেকে আকাশ-১এস বায়ু প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা কিনেছে। এর দ্বিতীয় চালানটি ২০২৫ সালের জুলাইয়ের পরে আর্মেনিয়ায় পৌঁছাবে। ২০২২ সালে দুই দেশের মধ্যে ৭২০ মিলিয়ন ডলার অর্থাৎ প্রায় ৬,০০০ কোটি টাকার একটি চুক্তি হয়েছিল। এর আওতায়, আর্মেনিয়া ভারত থেকে ১৫টি আকাশ বায়ু প্রতিরক্ষা কিনেছিল।
আকাশ-এনজি-র বৈশিষ্ট্যগুলি কী কী?
- আকাশ-এনজি বায়ু প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ৭০-৮০ কিলোমিটার দূরত্বের লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে সক্ষম।
- এটি ২৫ কিলোমিটার উচ্চতা পর্যন্ত লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে পারে।
- এটি কেবল ড্রোন এবং ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্রই নয়, যুদ্ধবিমানও ধ্বংস করতে পারে।
- এটি অ্যাক্টিভ ইলেকট্রনিকলি স্ক্যানড অ্যারে (AESA) মাল্টি-ফাংশন রাডার দিয়ে সজ্জিত, যা তাৎক্ষণিকভাবে হুমকি সনাক্ত করে।
এই প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাটি JF-17 এর সাথে মোকাবিলা করবে
আর্মেনিয়ার প্রতিদ্বন্দ্বী দেশ আজারবাইজান পাকিস্তান এবং চিন থেকে JF-17 থান্ডার যুদ্ধবিমান কিনে তার বায়ু শক্তি শক্তিশালী করেছে। এই বিমানটি দূরপাল্লার আকাশ থেকে ভূমিতে নিক্ষেপযোগ্য ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে সজ্জিত, তবে আকাশ-এনজি এই ক্ষেপণাস্ত্রগুলি সনাক্ত করতে এবং ধ্বংস করতে পারে।