অবিলম্বে পুনর্বহালের দাবি, চাকরি ফেরতের দাবিতে আমরণ অনশনের হুঁশিয়ারি বিক্ষোভকারীদের

বৃহস্পতিবার রাতের উত্তেজনার রেশ কাটতে না কাটতেই শুক্রবার (Bikash Bhavan) সকালে ফের উত্তপ্ত হয়ে উঠল বিকাশ ভবন চত্বর। সকাল হতেই বিকাশ ভবনের মূল গেটের সামনে…

Fired SSC Teachers Return to Streets, Bikash Bhavan Sees Renewed Tensions

বৃহস্পতিবার রাতের উত্তেজনার রেশ কাটতে না কাটতেই শুক্রবার (Bikash Bhavan) সকালে ফের উত্তপ্ত হয়ে উঠল বিকাশ ভবন চত্বর। সকাল হতেই বিকাশ ভবনের মূল গেটের সামনে থাকা পুলিশের ব্যারিকেড সরিয়ে ফের অবস্থান বিক্ষোভে বসলেন ‘যোগ্য’ চাকরিচ্যুত শিক্ষকরা। তাঁদের একটাই দাবি—এসএসসি(Bikash Bhavan) নিয়োগে স্বচ্ছতা আনতে ওএমআর শিটের মিরর ইমেজ প্রকাশ করতে হবে।

পুলিশি নজরদারির মধ্যে শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভের বার্তা দিলেও, (Bikash Bhavan) ঘটনাস্থলে নতুন করে তৈরি হয়েছে উত্তেজনার পরিস্থিতি। সকাল থেকেই এলাকায় মোতায়েন রয়েছে বিশাল পুলিশ বাহিনী(Bikash Bhavan) । বিকাশ ভবনের মূল গেট ঘিরে রয়েছে একাধিক র‍্যাফ ও পুলিশের উচ্চপদস্থ আধিকারিক (Bikash Bhavan) । প্রশাসনের পক্ষ থেকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখার চেষ্টায় কোনও খামতি রাখা হয়নি।

   

বৃহস্পতিবারের ধস্তাধস্তি ও রাতভর উত্তেজনা

বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই চাকরি ফেরতের(Bikash Bhavan) দাবিতে পথে নামেন চাকরিচ্যুত শিক্ষকরা। তাঁদের অভিযোগ, ২০১৬ সালের এসএসসি নিয়োগের ক্ষেত্রে দুর্নীতি হয়েছে এবং বহু অযোগ্য প্রার্থীর হাতে চাকরি তুলে দেওয়া হয়েছে। সেই নিয়োগ বাতিল হওয়ায় প্রায় ২৬ হাজার শিক্ষক-শিক্ষাকর্মী চাকরি হারিয়েছেন। এর মধ্যে যাঁদের প্রমাণ সহ ‘যোগ্য’ প্রমাণিত করা গেছে, তাঁদের ডিসেম্বর পর্যন্ত চাকরিতে বহাল রাখার নির্দেশ দিয়েছে আদালত।

তবে আন্দোলনকারী শিক্ষকদের দাবি,(Bikash Bhavan) শুধু ডিসেম্বর নয়, পুরো মেয়াদের জন্য তাঁদের চাকরি স্থায়ী করতে হবে। সেই দাবিতে বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই মিছিল ও অবস্থান বিক্ষোভ শুরু হয়। দুপুরের দিকে উত্তেজনা চরমে পৌঁছয়, যখন বিক্ষোভকারীরা বিকাশ ভবনের মূল গেট (Bikash Bhavan) ভেঙে ভিতরে প্রবেশের চেষ্টা করেন। পুলিশ বাধা দিলে ধস্তাধস্তি শুরু হয়। রাতে বিক্ষোভকারীদের সেখান থেকে সরিয়ে দেয় পুলিশ।

শুক্রবার সকাল: ফের জমায়েত, ফের প্রতিবাদ

শুক্রবার সকাল হতেই ফের জড়ো হন ‘যোগ্য’ চাকরিচ্যুতরা। পুলিশের(Bikash Bhavan) দেওয়া ব্যারিকেড সরিয়ে মূল গেটের সামনে অবস্থান শুরু করেন তাঁরা। তাঁদের দাবি, ওএমআর শিটের মিরর ইমেজ প্রকাশ করতে হবে, যাতে নিয়োগ প্রক্রিয়ায় কারচুপি প্রমাণিত হয় এবং প্রকৃত যোগ্যরা ন্যায্য অধিকার পান।

আন্দোলনকারীদের পক্ষে এক শিক্ষক বলেন, “আমরা শান্তিপূর্ণভাবে আমাদের(Bikash Bhavan) অধিকার চাইছি। আদালতের নির্দেশ মেনে চলতে রাজ্য সরকার ব্যর্থ হয়েছে। তাই আমরা (Bikash Bhavan) বাধ্য হয়ে রাস্তায় নেমেছি।”

প্রশাসনের তরফে আইনি পদক্ষেপ

ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে বিধাননগর পুলিশ একাধিক (Bikash Bhavan) ধারায় মামলা রুজু করেছে। সরকারি সম্পত্তি নষ্ট, সরকারি কর্মীদের কাজে বাধা দেওয়াসহ নানা অভিযোগ আনা (Bikash Bhavan) হয়েছে আন্দোলনকারী শিক্ষকদের বিরুদ্ধে। তবে আন্দোলনকারীদের বক্তব্য, “আমরা আইনের পথেই লড়ছি। সরকারি সম্পত্তি আমরা নষ্ট করিনি, বরং সরকারই আমাদের ভবিষ্যৎ নষ্ট করেছে।”

আইনি প্রেক্ষাপট: আদালত বনাম(Bikash Bhavan) রাজ্য সরকার

উল্লেখ্য, ২০১৬ সালের এসএসসি প্যানেল বাতিল হওয়ায়(Bikash Bhavan) ব্যাপক সংখ্যক শিক্ষক-শিক্ষাকর্মী চাকরি হারিয়েছেন। আদালত যাঁদের ‘যোগ্য’ হিসেবে চিহ্নিত করেছে, তাঁদের(Bikash Bhavan) ডিসেম্বর ২০২৪ পর্যন্ত চাকরিতে বহাল রাখার নির্দেশ দিয়েছে। তবে আন্দোলনকারীদের দাবি, পুরো মেয়াদ পর্যন্ত চাকরির নিশ্চয়তা দিতে হবে।

রাজ্য সরকার এই রায় পুনর্বিবেচনার আবেদন জানিয়ে ইতিমধ্যেই সুপ্রিম কোর্টে গেছে। ফলে বিষয়টি বর্তমানে বিচারাধীন। এই পরিস্থিতিতে আন্দোলনকারীরা রাজ্য সরকারের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন।

চাকরিচ্যুত ‘যোগ্য’ শিক্ষকদের আন্দোলন এখন ক্রমশই(Bikash Bhavan) প্রশাসনের মাথাব্যথার কারণ হয়ে উঠছে। বিকাশ ভবনে বারবার উত্তেজনা তৈরি হওয়ায় সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রাও ব্যাহত হচ্ছে। এই জটিল পরিস্থিতির স্থায়ী সমাধান খুঁজে বের করাই এখন সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ প্রশাসনের কাছে।