সাফ অনূর্ধ্ব ১৯ (SAFF U19) চ্যাম্পিয়নশিপ ২০২৫ গ্রুপ পর্ব শেষ, এখন টুর্নামেন্ট প্রবেশ করছে গুরুত্বপূর্ণ পর্বে। শুক্রবার স্বর্ণজয়ন্তী স্টেডিয়ামে সন্ধ্যা ৭:৩০টায় ভারত মুখোমুখি হবে মালদ্বীপের। তার আগে বিকেল ৩:৩০টায় প্রথম সেমি-ফাইনালে মুখোমুখি হবে নেপাল ও বাংলাদেশ।
গ্রুপ বি-তে ভারতের দাপট ছিল চোখে পড়ার মৃতো। শ্রীলঙ্কাকে ৮-০ এবং নেপালকে ৪-০ ব্যবধানে হারিয়ে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয় ব্লু কোল্টসরা। অন্যদিকে মালদ্বীপ গ্রুপ এ-তে দুই ম্যাচেই ২-২ ব্যবধানে ড্র করলেও অপরাজিত থেকে সেমি-ফাইনালে উঠে এসেছে। বাংলাদেশের বিপক্ষে ৫৭ মিনিট পর্যন্ত ২-০ পিছিয়ে থেকেও সমতা ফিরিয়ে সাহসিকতার পরিচয় দিয়েছে তারা। ভুটানের বিপক্ষে শেষ মুহূর্তে গোল করে ২-২ এ ম্যাচ ড্র করে সেমিতে জায়গা করে নেয়।
মালদ্বীপের কোচ আহমেদ শাকির বলেন, “এটা ছিল টুর্নামেন্টের সবচেয়ে উত্তেজনাপূর্ণ ম্যাচ। শেষ সেকেন্ড পর্যন্ত কেউই নিশ্চিত ছিল না কোন দল কোয়ালিফাই করবে। ছেলেরা দুর্দান্ত লড়াই করেছে।”
ভারতের প্রধান কোচ বিবিয়ানো ফার্নান্দেজ মালদ্বীপকে হালকাভাবে নিচ্ছেন না। তিনি বলেন, “ওরা দুই ম্যাচেই পিছিয়ে পড়েও ঘুরে দাঁড়িয়েছে, মানসিকভাবে খুবই দৃঢ়। তাই আমাদের সতর্ক থাকতে হবে, খেলার প্রতি মনোযোগ ও পরিকল্পনার প্রতি আনুগত্য বজায় রাখতে হবে।”
তিনি আরও যোগ করেন, “নকআউট ম্যাচে দ্বিতীয় কোনো সুযোগ নেই। এখানে মানসিক প্রস্তুতি, ট্যাকটিক্স আর শৃঙ্খলাই মূল বিষয়। আমাদের লক্ষ্য একটাই—জয়।”
ম্যাচ টাই হলে সরাসরি পেনাল্টিতে গড়াবে খেলা। তবে ইতিহাস ভারতের পক্ষেই কথা বলছে। সাফে বয়সভিত্তিক প্রতিযোগিতায় মালদ্বীপের বিপক্ষে ভারতের রেকর্ড শতভাগ। ৯টি ম্যাচের সবকটিতেই ভারত জিতেছে, সর্বশেষ ২০২৪ সালে অনূর্ধ্ব-১৭ সাফে ৩-০ ব্যবধানে। সেই স্কোয়াড থেকে ১০ জন খেলোয়াড় রয়েছেন এবারকার অনূর্ধ্ব ১৯ দলে।
তবে আবহাওয়া হয়ে উঠেছে বড় চ্যালেঞ্জ। গত দুই দিন ধরে ইটানগর ও আশপাশে প্রচণ্ড বৃষ্টি হচ্ছে। এতে করে খেলার পরিবেশ প্রভাবিত হলেও ভারত দল প্রস্তুত সব পরিস্থিতির জন্য। কোচ ফার্নান্দেজ বলেন, “বৃষ্টির কারণে আমাদের কিছু সেশন ইনডোরে করতে হয়েছে। ছেলেরা মানিয়ে নিচ্ছে, এবং এই ধরনের পরিস্থিতিতে কৌশলগত ও মানসিক প্রস্তুতি খুব গুরুত্বপূর্ণ।”
অন্যদিকে মালদ্বীপ দলের জন্য আবহাওয়া বড় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। শাকির বলেন, “আমরা গরম ও আর্দ্র আবহাওয়ায় খেলতে অভ্যস্ত। এখানে হঠাৎ ঠাণ্ডা ও বৃষ্টির মধ্যে মানিয়ে নিতে কষ্ট হচ্ছে। তবে তা কোনো অজুহাত হতে পারে না। আমরা জয়ের জন্যই এসেছি।”
ভারতের পক্ষে ইতিমধ্যেই ছয় জন আলাদা খেলোয়াড় গোল করেছেন। কোচের মতে, এর পেছনে বড় ভূমিকা রাখছে স্থানীয় দর্শকদের উৎসাহ। ফার্নান্দেজ বলেন, “অরুণাচলের দর্শকরা অসাধারণ সমর্থন দিয়েছেন। এটা যুব দলের জন্য বিরল। ছেলেরা এতে অনেক আত্মবিশ্বাস পাচ্ছে। আশা করি সেমি-ফাইনালেও এমন উৎসাহ পাবো।”
তবে ম্যাচের মঞ্চ প্রস্তুত। দুই দলই মানসিক ও ট্যাকটিক্যাল প্রস্তুতিতে কোনো খামতি রাখছে না। ভারতের লক্ষ একটাই—আরও একটি নির্ভরযোগ্য পারফরম্যান্স এবং জয়। অন্যদিকে