১৮তম ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ (IPL 2025) আগামী শনিবার, ১৭ এপ্রিল থেকে পুনরায় শুরু হতে চলেছে। ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সীমান্ত উত্তেজনার কারণে এক সপ্তাহের বিরতির পর টুর্নামেন্টের শেষ পর্বে সাতটি ফ্র্যাঞ্চাইজি প্লে-অফে জায়গা করে নেওয়ার জন্য মরিয়া হয়ে লড়াই করবে। গত ৮ মে আইপিএল স্থগিত হওয়ার সময় দুটি দল ১৬ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে ছিল, আর তিনটি দল যথাক্রমে ১৫, ১৪ এবং ১৩ পয়েন্ট নিয়ে তাদের পিছনে। এছাড়া ১১ ও ১০ পয়েন্ট নিয়ে দুটি দল এখনও গাণিতিকভাবে প্লে-অফের দৌড়ে রয়েছে। তবে তাদের শীর্ষ চারে জায়গা পেতে অন্যদের তুলনায় বেশি পরিশ্রম করতে হবে।
গুজরাট টাইটান্স: ১৬ পয়েন্ট
শুভমান গিলের নেতৃত্বে গুজরাট টাইটান্স এবার দুর্দান্ত ফর্মে রয়েছে। ২০২৪ সালে হতাশাজনক পারফরম্যান্সের পর তারা এবার ১১ ম্যাচে ৮টি জয় নিয়ে শীর্ষে। তাদের নেট রান রেট ০.৭৯। আর মাত্র একটি জয় তাদের প্লে-অফ নিশ্চিত করবে। তবে, তাদের কিছু বিদেশি তারকা ক্রিকেটারের অনুপস্থিতি দলের জন্য চিন্তার কারণ হতে পারে।
রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু: ১৬ পয়েন্ট
আরসিবি এই মরশুমে দুর্দান্ত খেলছে, বিশেষ করে তাদের বাইরের মাঠে অপরাজিত থাকার রেকর্ড (৬টি জয়) তাদের শক্তি প্রমাণ করে। গুজরাটের মতো তারাও একটি জয় দূরে প্লে-অফ থেকে। তাদের ব্যাটিং ও বোলিং ইউনিট প্রতিপক্ষের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
পাঞ্জাব কিংস: ১৫ পয়েন্ট
১১ বছর পর প্রথমবার পাঞ্জাব কিংস ১৫ পয়েন্টে পৌঁছেছে, যা তাদের জন্য ঐতিহাসিক মুহূর্ত। আর একটি জয় তাদের প্লে-অফে নিয়ে যেতে পারে। তবে, জশ ইংলিসের অনুপস্থিতি তাদের জন্য সামান্য সমস্যা হতে পারে, যদিও দলের বাকি কাঠামো শক্তিশালী।
মুম্বই ইন্ডিয়ান্স: ১৪ পয়েন্ট
সবসময়ের মতো ধীরগতির শুরুর পর মুম্বই ইন্ডিয়ান্স টানা ছয়টি ম্যাচ জিতে ফর্মে ফিরেছিল, যদিও গুজরাটের বিরুদ্ধে হার তাদের গতি কিছুটা থামিয়েছে। প্লে-অফ নিশ্চিত করতে তাদের দুটি জয় প্রয়োজন। একটি জয় তাদের কাছাকাছি নিয়ে গেলেও পুরোপুরি নিশ্চয়তা দেবে না।
দিল্লি ক্যাপিটালস: ১৩ পয়েন্ট
দিল্লি শুরুতে টানা চারটি জয় দিয়ে দুর্দান্ত শুরু করলেও পরের সাত ম্যাচে মাত্র দুটি জয় ও একটি পরিত্যক্ত ম্যাচ তাদের পিছিয়ে দিয়েছে। মিচেল স্টার্ক ও ট্রিস্টান স্টাবসের ডব্লিউটিসি ফাইনালে অংশগ্রহণ দলের জন্য বড় ধাক্কা। প্লে-অফের জন্য তাদের দুটি জয় অপরিহার্য।
কলকাতা নাইট রাইডার্স: ১১ পয়েন্ট
গতবারের চ্যাম্পিয়ন কেকেআর প্লে-অফের দৌড়ে এখনও টিকে আছে। তবে চেন্নাই সুপার কিংসের বিরুদ্ধে সাম্প্রতিক হার তাদের সম্ভাবনায় ধাক্কা দিয়েছে। তাদের বাকি দুটি ম্যাচ জিততে হবে এবং অন্য ফলাফল তাদের পক্ষে যাওয়ার অপেক্ষায় থাকতে হবে।
লখনউ সুপার জায়ান্টস: ১০ পয়েন্ট
ঋষভ পন্থের নেতৃত্বে লখনউ প্রায় ছিটকে যাওয়ার পথে। তাদের বাকি তিনটি ম্যাচ জিততে হবে এবং তৃতীয় বা চতুর্থ স্থানের জন্য অন্য ফলাফলের ওপর নির্ভর করতে হবে। এইডেন মার্করামের ডব্লিউটিসি ফাইনালে অংশগ্রহণ তাদের জন্য অতিরিক্ত চ্যালেঞ্জ।