নয়াদিল্লি: জম্মু-কাশ্মীরের পহেলগাঁও-এ ভয়াবহ জঙ্গি হামলায় ২৬ জন নিরীহ মানুষের, মৃত্যুর পর পাকিস্তানের বিরুদ্ধে কড়া বার্তা দিল ভারত। ঘটনার পরপরই ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনীর উদ্যোগে শুরু হয় ‘অপারেশন সিঁদুর’, যার মাধ্যমে স্থল, আকাশ এবং সমুদ্র—এই তিনটি দিক থেকেই পাল্টা চাপ সৃষ্টি করা হয় পাকিস্তানের উপরে।
কী ছিল ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর মূল উদ্দেশ্য?
৭ মে শুরু হওয়া এই অভিযান ছিল পহেলগাঁও হামলার প্রত্যক্ষ প্রতিশোধ। সরকারের শীর্ষ সূত্র জানায়, অপারেশনের মূল লক্ষ্য ছিল পাকিস্তান এবং পাক অধিকৃত কাশ্মীরে (PoK) থাকা জঙ্গি ঘাঁটিগুলি ধ্বংস করা এবং পাকিস্তানকে আন্তর্জাতিক স্তরে কোণঠাসা করা।
তিনটি দিক থেকে আক্রমণ INS Vikrant-led 36-ship armada was in position to hit Karachi
১. স্থল অভিযানে সুনির্দিষ্ট টার্গেট স্ট্রাইক
ভারতীয় সেনা ও বিশেষ বাহিনী নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর এবং পিওকে-র অভ্যন্তরে একাধিক জঙ্গি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র ও লঞ্চপ্যাডে আক্রমণ চালায়। প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিংয়ের বক্তব্য অনুযায়ী, এই হামলায় ১০০ জনেরও বেশি জঙ্গি ও সহযোগী নিহত হয়েছে।
২. বিমান বাহিনীর উচ্চ-তৎপরতা
ভারতীয় বায়ুসেনা যুদ্ধবিমান ও রিকনেসেন্স ড্রোনের মাধ্যমে সীমান্তজুড়ে নজরদারি বাড়ায়। আকাশপথে দ্রুত প্রতিক্রিয়া জানাতে প্রস্তুত রাখা হয় মিরাজ ও সুখোই যুদ্ধবিমান।
৩. নৌবাহিনীর শক্তিপ্রদর্শন
সমুদ্রপথে পাকিস্তানের উপর চাপ বাড়াতে আইএনএস বিক্রান্ত-সহ ৩৬টি ফ্রন্টলাইন নৌবাহিনী রণতরী মোতায়েন করা হয় করাচি উপকূলে। এটি ছিল ভারতীয় নৌবাহিনীর অন্যতম বৃহত্তম রিয়েল-টাইম অপারেশন, যা পাকিস্তানের নৌসেনাকে কার্যত বন্দরে আটকে ফেলে।
আন্তর্জাতিক প্রতিক্রিয়া ও যুদ্ধবিরতি
এই তীব্র সামরিক উত্তেজনার মধ্যে আন্তর্জাতিক মহলে উদ্বেগ ছড়ায়। একাধিক বাণিজ্যিক সংস্থা করাচি সংলগ্ন জলপথ ব্যবহার বন্ধ করে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ১০ মে ভারত ও পাকিস্তান যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়।
Bharat: India strongly responds to the deadly Pahalgaon terror attack that killed 26 civilians with ‘Operation Sindoor’. Learn about the military operation targeting Pakistan and PoK terror camps and India’s strategic retaliation.