বর্তমানে দেশের বিভিন্ন স্থানে সংঘর্ষ বিরতির পরিস্থিতি চলছে, কিন্তু এই পরিস্থিতিকে কাজে লাগিয়ে কিছু ব্যবসায়ী নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্যদ্রব্যের দাম (vegetables Price) বৃদ্ধি করার চেষ্টা করছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এই অভিযোগের ভিত্তিতে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এর আগেই নবান্নে একটি বৈঠক করে বাজারের পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করার জন্য প্রশাসনকে নির্দেশ দেন। তিনি বলেছিলেন, বাজারে (vegetables Price) নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম যাতে বাড়তে না পারে, তার জন্য যথেষ্ট পদক্ষেপ নেওয়া হবে। পাশাপাশি, খাদ্যদ্রব্যের মজুত পর্যাপ্ত পরিমাণে রাখারও নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল।
তবে অভিযোগ উঠেছে যে, কিছু ব্যবসায়ী এখন এই পরিস্থিতি কাজে লাগিয়ে শাক–সবজি, ডিম,(vegetables Price) মাছসহ অন্যান্য খাদ্যদ্রব্যের দাম অস্বাভাবিকভাবে বাড়িয়ে দিচ্ছেন। এই পরিস্থিতির পরিপ্রেক্ষিতে প্রশাসন দ্রুতই বাজারের দিকে নজর দিতে শুরু করেছে। শহর (vegetables Price) থেকে জেলার বিভিন্ন বাজারে টাস্ক ফোর্সের (vegetables Price) সদস্যরা অভিযান চালিয়ে বাজারের অবস্থা খতিয়ে দেখতে শুরু করেছেন।
মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বিভিন্ন জেলা প্রশাসনকে নির্দেশ দিয়েছেন যে, আগামী তিন মাসের মধ্যে যেন শাক–সবজির (vegetables Price) কোনো ঘাটতি না হয়। এই নির্দেশনা অনুযায়ী, সোমবার থেকেই বাজারে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ ও মজুতের হিসেব নেওয়া শুরু হয়েছে। প্রশাসনের সদস্যরা যাচাই করছেন, বাজারে শাক–সবজি, আলু–পেঁয়াজ, মাছ, মাংস এবং ডিমের মজুত কেমন রয়েছে।
আজও কলকাতা ও অন্যান্য জেলায় টাস্কফোর্সের প্রতিনিধিরা বাজারগুলিতে অভিযান চালিয়েছেন। এই অভিযানে উঠে এসেছে যে, বাজারে জিনিসপত্রের দাম (vegetables Price) মোটামুটি স্বাভাবিক রয়েছে। যদিও কিছু কিছু জিনিসের দাম(vegetables Price) বাড়লেও, তা ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে আছে। বিশেষত, শাক–সবজির দাম (vegetables Price) কিছুটা বেড়েছে, তবে তাও সাধারণ মানুষের জন্য খুব বেশি সমস্যা সৃষ্টি করছে না। বিক্রেতাদের সতর্ক করা হচ্ছে, যেন ভবিষ্যতে কোনো অযাচিত দাম বৃদ্ধি না হয়।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশনা অনুসারে, টাস্কফোর্স সদস্যরা ছোট-বড় সব বাজারে অভিযান চালিয়ে যাচ্ছেন। উল্টোডাঙার পাইকারি এবং খুচরো বাজারে গিয়ে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখেছেন তারা। সেখানে শাক–সবজির দাম (vegetables Price) অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। যেমন, গ্রীষ্মকালীন সবজি যেমন পটল, ঢেঁড়শ, ঝিঙে–এসবের দাম পাইকারি বাজারে কেজি প্রতি ১৮ থেকে ২০ (vegetables Price) টাকার মধ্যে বিক্রি হচ্ছে এবং খুচরো বাজারে তা ২৫ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে। এই দাম বাড়লেও তা এখনও সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে রয়েছে। তবে, প্রশাসন সতর্ক করেছে যে ভবিষ্যতে কোনো কারণে দাম বৃদ্ধি হলে তার বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
পেঁয়াজের দাম বর্তমানে বেশ কম। বাজারে পেঁয়াজের দাম(vegetables Price) অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে রয়েছে এবং সাধারণ মানুষ খুব সহজেই তা কিনতে পারছেন। মাছ, মাংস এবং ডিমের দামও (vegetables Price) এখন পর্যন্ত স্বাভাবিক রয়েছে এবং এর দাম বৃদ্ধির কোনো আশঙ্কা নেই।
টাস্কফোর্সের সদস্য রবীন্দ্রনাথ কোলে জানিয়েছেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশনায় আমরা প্রতিদিন বাজারগুলিতে অভিযান চালাচ্ছি এবং সব কিছু মনিটর করছি। আপাতত দাম(vegetables Price) নিয়ে তেমন কোনো সমস্যা নেই।’’ তিনি আরো জানান, ‘‘পটল, ঢেঁড়শ, ঝিঙে–এসবের দাম পাইকারি বাজারে ১৮ থেকে ২০ (vegetables Price) টাকা কেজি হলেও খুচরো বাজারে তা ২৫ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে, যা এখনও বাজার পরিস্থিতির জন্য সন্তোষজনক।’’
এদিকে, রাজ্য সরকার বাজারের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে এবং সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রা সহজ করতে আরও কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রীর তরফ থেকে প্রশাসনকে দেওয়া নির্দেশনা অনুযায়ী, বিভিন্ন বাজারে খাদ্যদ্রব্যের মজুত এবং দাম নিয়ন্ত্রণের বিষয়ে নজর রাখা হবে। আশা করা হচ্ছে, এই পদক্ষেপগুলো কার্যকর হলে বাজারে কোনো অস্বাভাবিক দাম বৃদ্ধি হতে পারবে না এবং জনগণের জন্য খাদ্যদ্রব্যের সরবরাহ ও দাম স্থিতিশীল থাকবে।