পশ্চিমবঙ্গের রাজনৈতিক মহলে শোকের ছায়া নেমে এসেছে বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের (dilip-ghosh) স্ত্রী রিঙ্কু মজুমদারের পুত্র সৃঞ্জয় দাশগুপ্তের (ডাকনাম প্রীতম) রহস্যজনক মৃত্যুর ঘটনায়। সৃঞ্জয়ের দেহ মঙ্গলবার একটি আবাসন থেকে উদ্ধার করা হয়। এই ঘটনা দিলীপ ঘোষ ও রিঙ্কু মজুমদারের বিবাহের কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই ঘটল, যা রাজ্যের রাজনৈতিক ও সামাজিক মহলে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করেছে।
সৃঞ্জয় দাশগুপ্ত, যিনি পেশায় একজন আইটি কর্মী
সূত্রের খবর, সৃঞ্জয় দাশগুপ্ত, (dilip-ghosh) যিনি পেশায় একজন আইটি কর্মী ছিলেন এবং সল্টলেকের সেক্টর ফাইভে একটি তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থায় কর্মরত ছিলেন, তাঁর মৃত্যু অস্বাভাবিক পরিস্থিতিতে ঘটেছে। পুলিশ জানিয়েছে, মঙ্গলবার সকালে তাঁর দেহ একটি আবাসন থেকে উদ্ধার করা হয়। প্রাথমিক তদন্তে মৃত্যুর কারণ এখনও স্পষ্ট না হলেও, পুলিশ এটিকে ‘অস্বাভাবিক মৃত্যু’ হিসেবে গণ্য করেছে এবং তদন্ত শুরু করেছে। আপাতত বিধাননগর হাসপাতলে দেহের ময়না তদন্ত হবে বলে জানা গেছে।
ময়নাতদন্তের রিপোর্ট (dilip-ghosh) মৃত্যুর প্রকৃত কারণ সম্পর্কে আরও তথ্য প্রকাশ করতে পারে। দিলীপ ঘোষ এবং রিঙ্কু মজুমদার গত ১৮ এপ্রিল, ২০২৫-এ নিউটাউনের রাজারহাটে দিলীপের বাসভবনে একটি ঘরোয়া অনুষ্ঠানে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। রিঙ্কু, যিনি বিজেপির মহিলা মোর্চার একজন নেত্রী এবং দীর্ঘদিন ধরে দলের সঙ্গে যুক্ত, তাঁর প্রথম বিবাহ থেকে সৃঞ্জয় নামে একটি পুত্র ছিল।
সৃঞ্জয়, যিনি ১৩ বছর ধরে তাঁর মায়ের সঙ্গে সামাজিক ও পারিবারিক দায়িত্ব পালন করেছিলেন, দিলীপ ঘোষের সঙ্গে মায়ের নতুন জীবনের জন্য শুভেচ্ছা জানিয়েছিলেন। তবে, তিনি মায়ের বিয়ের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন না, কারণ তিনি তখন শহরের বাইরে ছিলেন।
আধুনিক বাইকের চেয়ে এই ক্লাসিক বুলেট ৩৫০ কেন বেছে নিয়েছে ভারতীয় সেনা?
একান্ত সাক্ষাৎকারে সৃঞ্জয় বলেছিলেন
একান্ত সাক্ষাৎকারে সৃঞ্জয় (dilip-ghosh) বলেছিলেন, “দু’জনকে অনেক শুভেচ্ছা। ভাল থাকুন দু’জনে। আমাদের বাংলার জন্য কাজ করুন এবং আমাদের গর্বিত করুন।” তিনি আরও জানিয়েছিলেন, তিনি মা এবং তাঁর নতুন সঙ্গীর জন্য উপহার নিয়ে আসবেন। এই বক্তব্যের কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই তাঁর মৃত্যুর খবর রাজনৈতিক মহলে শোকের সঞ্চার করেছে।
দিলীপ ঘোষ প্রকাশ্য বিবৃতি দেননি (dilip-ghosh)
দিলীপ ঘোষ dilip-ghosh) এই ঘটনায় এখনও কোনও প্রকাশ্য বিবৃতি দেননি। তবে, বিজেপির একাধিক নেতা এ শোক প্রকাশ করেছেন। দলের নেতা সুকান্ত মজুমদার এবং লকেট চট্টোপাধ্যায় সহ অনেকে এই ঘটনায় শোক জানিয়েছেন। তৃণমূল কংগ্রেসের নেতারাও রাজনৈতিক মতপার্থক্য দূরে রেখে শোক প্রকাশ করেছেন।
সামাজিক মাধ্যমে এই ঘটনা নিয়ে ব্যাপক আলোচনা চলছে। ‘এক্স’-এ একাধিক পোস্টে এই ঘটনাকে ‘রহস্যময়’ এবং ‘শোকজনক’ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। কেউ কেউ এই মৃত্যুর পেছনে ষড়যন্ত্রের সম্ভাবনার কথাও উল্লেখ করেছেন, যদিও এই দাবিগুলো এখনও অপ্রমাণিত এবং তদন্তের অগ্রগতির উপর নির্ভর করছে।