পাকিস্তানের কিরানা হিলসে বিকিরণ আতঙ্ক? মার্কিন নজরদারি ঘিরে চাঞ্চল্য

Kirana Hills Radiation Rumors ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর অধীনে ভারতের সাম্প্রতিক সুনির্দিষ্ট সামরিক অভিযানের পর, পাকিস্তানের কিরানা হিলস অঞ্চল থেকে পারমাণবিক বিকিরণের সম্ভাব্য গুজব ঘিরে তীব্র আলোড়ন…

Kirana Hills Radiation Rumors

Kirana Hills Radiation Rumors

‘অপারেশন সিঁদুর’-এর অধীনে ভারতের সাম্প্রতিক সুনির্দিষ্ট সামরিক অভিযানের পর, পাকিস্তানের কিরানা হিলস অঞ্চল থেকে পারমাণবিক বিকিরণের সম্ভাব্য গুজব ঘিরে তীব্র আলোড়ন তৈরি হয়েছে। যদিও ভারত সরকার কিরানা হিলসকে লক্ষ্য করার অভিযোগ সরাসরি খারিজ করেছে এবং পাকিস্তান বা আন্তর্জাতিক কোনও সংস্থা এখনো পর্যন্ত বিকিরণ জরুরি অবস্থার বিষয়টি নিশ্চিত করেনি, তবুও সোশ্যাল মিডিয়ায় জল্পনা-পরিস্থিতি জিইয়ে রেখেছে।

বর্তমানে, ১৩ মে পর্যন্ত, পাকিস্তানে এমন কোনও গণচিকিৎসা সংক্রান্ত জরুরি অবস্থার খবর নেই যা বড় ধরনের বিকিরণ ফাঁসের ইঙ্গিত দেয়। ভারতীয় বিমানবাহিনী স্বীকার করেছে যে সর্গোধা ও অন্যান্য সামরিক স্থাপনাগুলির আশেপাশে আঘাত হেনেছে, তবে কিরানা হিলস সরাসরি লক্ষ্য ছিল না বলে জানিয়েছে তারা।

   

কিরানা হিলস: পাকিস্তানের গোপন পরমাণু ঘাঁটি

পাঞ্জাব প্রদেশের সর্গোধা জেলার কিরানা হিলস দীর্ঘদিন ধরেই পাকিস্তানের একটি কৌশলগত সামরিক এলাকা হিসেবে পরিচিত। সেখানে একাধিক গোপন সুড়ঙ্গ রয়েছে বলে অনুমান করা হয়, যেখানে পারমাণবিক অস্ত্র সংরক্ষণ করা হয়ে থাকে। কিরানা হিলস থেকে মাত্র ২০ কিলোমিটার দূরেই অবস্থিত সর্গোধা এয়ারবেস এবং প্রায় ৭৫ কিমি দূরে খুশব পারমাণবিক কমপ্লেক্স—এই অবস্থান এলাকাটির সংবেদনশীলতা আরও বাড়িয়ে তোলে।

গুজবের সূত্রপাত ও মার্কিন বিমানের আগমন Kirana Hills Radiation Rumors

বিকিরণ গুজবের সূত্রপাত হয়, যখন দাবি করা হয় যে ভারতীয় আঘাত কিরানা হিলসের খুব কাছাকাছি হয়েছে। পরিস্থিতি আরও ঘনীভূত হয়, যখন অনলাইন সূত্রে দাবি উঠে যে মার্কিন ও মিশরীয় নজরদারি বিমান এলাকাটিতে মোতায়েন হয়েছে।

বিশেষ করে একটি মার্কিন বিমানের উপস্থিতি আলোচনার কেন্দ্রে এসেছে—Beechcraft B350 AMS, যা মার্কিন এনার্জি ডিপার্টমেন্টের অধীন Aerial Measuring System (AMS)-এর অংশ। এই বিমান মূলত পারমাণবিক দুর্ঘটনার সময় বিকিরণ শনাক্তকরণ ও ফলোআপ পর্যবেক্ষণের জন্য ব্যবহৃত হয়। ফুকুশিমা বিপর্যয়, মার্কিন পরমাণু পরীক্ষা এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ ঘটনাতেও এটি ব্যবহার হয়েছে। আন্তর্জাতিক পরিসরে এর মোতায়েন অত্যন্ত বিরল এবং সাধারণত কূটনৈতিক অনুমতি ও বিশেষ পরিস্থিতির প্রেক্ষিতে ঘটে।

আসলে কী ঘটেছে? 

যদিও সোশ্যাল মিডিয়ায় একাধিক পোস্টে দাবি করা হয়েছে যে ব্রহ্মোস মিসাইল ব্যবহার করে কিরানা হিলসের আশেপাশে আঘাত হানা হয়েছে, ভারতের পক্ষ থেকে স্পষ্ট জানানো হয়েছে যে তাদের লক্ষ্য শুধুই সন্ত্রাসবাদী পরিকাঠামো ও সামরিক ঘাঁটি। এয়ার মার্শাল এ.কে. ভরতি জানিয়েছেন, “আমরা কিরানা হিলসকে লক্ষ্য করিনি—ওখানে যা কিছু থাকুক না কেন।”

Advertisements

ভারতীয় হামলার পরই মার্কিন নজরদারি বিমানের উপস্থিতি নিঃসন্দেহে পরিস্থিতিকে জটিল করেছে। তবে শুধুমাত্র এই বিমানের উপস্থিতি থেকেই পারমাণবিক বিপর্যয়ের ইঙ্গিত টানা যায় না।

এই মুহূর্তে কোনও আন্তর্জাতিক সংস্থা বা পাকিস্তান সরকার বিকিরণ সংক্রান্ত জরুরি পরিস্থিতির কথা ঘোষণা করেনি। গুজব অনেকাংশেই অনিশ্চয়তা ও জল্পনার ফাঁদে তৈরি, যেখানে সামান্য তথ্যের উপর ভিত্তি করে বিশাল উদ্বেগ ছড়িয়ে পড়েছে।

তবে নজরদারি জারি রয়েছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এমন বিমানের ব্যবহার ঘটেছে বলেই বিষয়টি গুরুত্ব পাচ্ছে। আন্তর্জাতিক মহল কিরানা হিলস সংক্রান্ত বিকিরণ পরিস্থিতি নিয়ে সতর্ক নজর রাখছে, কিন্তু এখনো পর্যন্ত কোনও সুনির্দিষ্ট বিপদের তথ্য নেই।

World:  Rumors of radiation leak from Pakistan’s Kirana Hills after India’s ‘Operation Sindur’ military action. India denies targeting Kirana Hills, a suspected nuclear storage site near Sargodha. No confirmed radiation emergency despite social media buzz and reports of US surveillance aircraft.