পঞ্জাবে বিষমদে মৃত্যুমিছিল, ১৪ জনের প্রাণহানি, গ্রেফতার মূল সরবরাহকারী

অমৃতসর: পঞ্জাবের অমৃতসরের মজিঠা এলাকায় বিষমদ পান করে অন্তত ১৪ জনের মৃত্যু হয়েছে৷ ৬ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সংবাদ সংস্থা ANI-র রিপোর্ট অনুযায়ী, এই…

Punjab toxic liquor deaths

অমৃতসর: পঞ্জাবের অমৃতসরের মজিঠা এলাকায় বিষমদ পান করে অন্তত ১৪ জনের মৃত্যু হয়েছে৷ ৬ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সংবাদ সংস্থা ANI-র রিপোর্ট অনুযায়ী, এই মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটেছে অন্তত পাঁচটি গ্রামে।

অভিযানে গ্রেফতার চার

ঘটনার বিষয়ে অমৃতসর (গ্রামীণ) জেলার এসএসপি মনিন্দর সিং বলেন, “গতকাল রাত সাড়ে ন’টা নাগাদ আমাদের কাছে খবর আসে যে বিষমদ খেয়ে বেশ কিছু মানুষের মৃত্যু হচ্ছে। সঙ্গে সঙ্গে আমরা অভিযানে নামি এবং ৪ জনকে গ্রেফতার করি। মূল মদ সরবরাহকারী পরবজিত সিংকে গ্রেফতার করে জিজ্ঞাসাবাদ করতেই উঠে আসে কিংপিন সাহাব সিং-এর নাম।”

   

এসএসপি আরও জানিয়েছেন, সাহাব সিংকেও গ্রেফতার করা হয়েছে এবং তার সঙ্গে যুক্ত সমস্ত সংস্থার নাম ও ভূমিকা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তদন্তকারীরা ইতিমধ্যেই তৎপরতার সঙ্গে একাধিক জায়গায় হানা দিচ্ছে, যাতে এই বিষমদের উৎপাদন ও বিতরণের সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিদের দ্রুত চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনা যায়।

সরকারি হস্তক্ষেপ ও কড়া নির্দেশনা  Punjab toxic liquor deaths

পঞ্জাব সরকার এই ঘটনায় কড়া পদক্ষেপ করার নির্দেশ দিয়েছে। এসএসপি মনিন্দর সিং জানিয়েছেন, “সরকার থেকে স্পষ্ট নির্দেশ এসেছে, বিষমদ সরবরাহকারীদের বিরুদ্ধে কঠোরতম ব্যবস্থা নিতে হবে।”

পুলিশ জানায়, ইতিমধ্যেই দুটি কঠোর ধারায় এফআইআর রুজু করা হয়েছে এবং প্রশাসন স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে যোগাযোগ করে গ্রামে গ্রামে ঘুরে বিষমদ পানকারী আরও কেউ আছেন কি না, তা জানার চেষ্টা করছে যাতে সময়মতো চিকিৎসা দিয়ে প্রাণ রক্ষা করা যায়।

Advertisements

তদন্ত জারি, তৎপর প্রশাসন

এই ঘটনায় এলাকাজুড়ে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। পুলিশ এবং সিভিল প্রশাসন যৌথভাবে তল্লাশি চালিয়ে যাচ্ছে। এসএসপি আশ্বাস দিয়েছেন, “যারা এই বিষমদ তৈরি করেছে, তাদেরও শিগগিরই গ্রেফতার করা হবে।”

এখনও পর্যন্ত এই বিষমদ কাণ্ডে ১৪ জনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছে পুলিশ, এবং ৬ জন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তবে মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

Bharat: Tragedy in Amritsar, Punjab as at least 14 die after consuming toxic liquor in Majitha area. Six hospitalized. Police arrest four, including main supplier and kingpin. Investigation underway to nab all involved in the illegal production and distribution.