সেনার কঠোর নজরদারিতে রাত কাটাল কাশ্মীর, হামলা প্রতিহত করল ভারত

কাশ্মীরের পরিস্থিতি (Kashmir) সবসময়ই উত্তপ্ত, বিশেষ করে ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে চলতে থাকা সংঘর্ষের কারণে। গত কয়েক সপ্তাহ ধরে উত্তেজনা ছিল তুঙ্গে, তবে যুদ্ধবিরতি (Kashmir) ঘোষণার পর…

"Calm Prevails in Jammu, Poonch, and Rajouri with No Shelling or Blasts Reported in Kashmir

কাশ্মীরের পরিস্থিতি (Kashmir) সবসময়ই উত্তপ্ত, বিশেষ করে ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে চলতে থাকা সংঘর্ষের কারণে। গত কয়েক সপ্তাহ ধরে উত্তেজনা ছিল তুঙ্গে, তবে যুদ্ধবিরতি (Kashmir) ঘোষণার পর কিছুটা শান্তি এসেছিল এই অঞ্চলে। ৬ মে শনিবার, পাক বাহিনীর তরফ থেকে যুদ্ধবিরতির(Kashmir) আবেদন জানানো হয়, যার প্রেক্ষিতে ভারতও তা গ্রহণ করে। বিকেল পাঁচটায় দুই দেশের মধ্যে সংঘর্ষবিরতি শুরু হয়, কিন্তু রাত গড়াতেই পরিস্থিতি আবার উত্তপ্ত হয়ে ওঠে।

যুদ্ধবিরতির প্রথম কয়েক ঘণ্টা কাশ্মীরের (Kashmir) বিভিন্ন শহর যেমন জম্মু, রাজৌরি, শ্রীনগর, পুঞ্চে বেশ শান্ত ছিল। তবে, পাকিস্তান রাত আটটার পর থেকে আবারও গোলাগুলি এবং হামলা শুরু করে। একদিকে যখন শান্তির (Kashmir) আশায় কাশ্মীরবাসী দিন পার করছিল, তখন আবার সেই ভয়ঙ্কর (Kashmir) পরিস্থিতি ফিরে আসে।

   

রাতের অন্ধকারে পাকিস্তান (Kashmir) সেনা তাদের আক্রমণ চালাতে শুরু করে। সংবাদ সংস্থা এএনআই-এর সূত্রে খবর, উধমপুরে পাকিস্তানি ড্রোনের আক্রমণ ভারতীয় সেনা (Kashmir) দ্বারা সফলভাবে প্রতিহত করা হয়। শ্রীনগর ও জম্মু শহরের বিভিন্ন এলাকায় গুলির আওয়াজ শোনা যায়, এবং বিস্ফোরণের (Kashmir) শব্দও আসতে থাকে। কিছু এলাকায় আবার ব্ল্যাক আউট করা হয়েছিল, যেন কোনো ধরনের সন্ত্রাসী হামলা পরিচালনা করা না যায়। এমন পরিস্থিতি রাজস্থানের বারমের, জয়সলমের এবং পাঞ্জাবের ফিরোজপুরে (Kashmir) ছিল।

পাকিস্তান যে যুদ্ধবিরতির (Kashmir) চুক্তি ভেঙে হামলা চালিয়েছিল, সে বিষয়ে ভারতের বিদেশ সচিব ক্ষোভ প্রকাশ করেন। তিনি সাংবাদিক সম্মেলনে বলেন, ‘‘পাকিস্তান (Kashmir) যুদ্ধবিরতির চুক্তি ভেঙে মাত্র কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই হামলা চালিয়েছে। এটি বিশ্বাসভঙ্গ ও চুক্তিভঙ্গ।’’

এদিকে, সেনা প্রহরায় কাশ্মীরের (Kashmir) কিছু এলাকার পরিস্থিতি দ্রুত স্থিতিশীল হয়ে ওঠে। গত কয়েকদিনের সন্ত্রাসী হামলার বিভীষিকা কাটিয়ে, একসময়ে পুরো কাশ্মীর(Kashmir) অঞ্চল শান্ত হয়ে ওঠে। তবে, শনিবার রাতে যা ঘটেছিল, তা আবারও মনে করিয়ে দেয় যে শান্তি সবসময়ই অস্থায়ী হতে পারে এই অঞ্চলে। বিশেষ করে পাকিস্তান যখন একদিকে শান্তির কথা বলছে, তখন অন্যদিকে হামলা চালানোর মাধ্যমে নিজের দ্বিধাদ্বন্দ্বের পরিচয় দিচ্ছে।

Advertisements

এমন পরিস্থিতিতে ভারতীয় (Kashmir) সেনা অগ্নিপরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছে। পাকিস্তান তাদের পরিকল্পনা অনুযায়ী ড্রোন হামলা চালানোর চেষ্টা করলেও ভারতীয় বাহিনী (Kashmir) তা সফলভাবে প্রতিহত করেছে। তবে, এই হামলায় বিএসএফের সাব-ইন্সপেক্টর মহম্মদ ইমতিয়াজ শহিদ হয়েছেন। তার সাহসিকতার জন্য তাকে সম্মান জানানো হয়।

তবে, সারা কাশ্মীরে (Kashmir) শান্তির বাতাস থাকলেও কিছু এলাকা যেমন পুঞ্চ, পাঠানকোট, জম্মু সিটি, আখনুর, রাজৌরি, ফিরোজপুরের মতো শহরগুলো রবিবার সকালে পুনরায় স্বাভাবিক ছন্দে ফিরে আসে। একমাত্র অমৃতসরে রেড অ্যালার্ট জারি করা হয়েছিল, যা নির্দেশ করে যে পরিস্থিতি পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়নি।

পরিস্থিতি বোঝে, ভারত-পাকিস্তানের (Kashmir) মধ্যে এই সংঘর্ষ এবং শান্তির এই যাত্রা কেবল কাশ্মীরের (Kashmir) বাসিন্দাদের জন্য নয়, বরং গোটা দক্ষিণ এশিয়ার (Kashmir) জন্যই একটি কঠিন পাঠ হয়ে রয়ে গেছে। বিশেষ করে, যখন একপক্ষ যুদ্ধবিরতি চুক্তি ভেঙে হামলা চালায়, তখন এর প্রভাব শুধু ওই অঞ্চলের(Kashmir) নিরাপত্তায় নয়, আন্তর্জাতিক সম্পর্কেও গাঢ় ছাপ ফেলে। এই অবস্থা যদি অব্যাহত থাকে, তবে কাশ্মীরের মানুষের শান্তির স্বপ্ন একদিন পূর্ণতা পাবে কি না, তা বলা মুশকিল।

এই পরিস্থিতিতে সাধারণ মানুষের (Kashmir) জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, তাদের নিরাপত্তা এবং ভবিষ্যত। সন্ত্রাসবাদ, সীমান্ত সংঘর্ষ, এবং রাজনৈতিক টানাপোড়েনে জর্জরিত কাশ্মীরের জনগণ এখনো শান্তির অপেক্ষায় রয়েছে।