India Pakistan Conflict: পহেলগামে সন্ত্রাসী হামলার পর, ভারত পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ‘অপারেশন সিঁদুর’ শুরু করে, যাতে অনেক সন্ত্রাসী নিহত হয়। যার কারণে পাকিস্তানে আতঙ্কের পরিবেশ ছড়িয়ে পড়ে, তবুও শত্রুরা তাদের কার্যকলাপ বন্ধ না করে ড্রোন এবং ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে ভারতে আক্রমণ করার চেষ্টা করে, ভারতের S-400 পাকিস্তানের এই ঘৃণ্য প্রচেষ্টাকে আকাশেই ধ্বংস করে দেয়। এমন পরিস্থিতিতে দুই দেশের মধ্যে যুদ্ধের মতো পরিস্থিতি তৈরি হচ্ছে বলে মনে হচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে প্রশ্ন ওঠে যে ভারতীয় প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা কি পারমাণবিক আক্রমণ থামাতে পারবে?
ভারতের ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা
পারমাণবিক আক্রমণ প্রতিরোধের জন্য ভারতের একটি চার স্তরের বায়ু প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা রয়েছে। যা বিভিন্ন উচ্চতা এবং দূরত্ব থেকে আগত হুমকি সনাক্ত করতে এবং প্রতিক্রিয়া জানাতে সক্ষম। ভারতের এই শক্তি দেশকে আরও শক্তিশালী এবং সুরক্ষিত করে তোলে। পারমাণবিক আক্রমণ রোধ করতে ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করা হয়। একই সাথে, ভারতের অগ্নি-৫ ক্ষেপণাস্ত্র পৃথিবী থেকে পাঁচ থেকে আট হাজার কিলোমিটার উচ্চতায় শত্রুকে আঘাত করতে পারে।
ক্ষেপণাস্ত্র কি পারমাণবিক আক্রমণ বন্ধ করবে?
ভারত সেই অল্প কিছু দেশের মধ্যে রয়েছে যাদের কাছে অ্যান্টি-ব্যালিস্টিক মিসাইল সিস্টেম রয়েছে। ভারতের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থায় এমন দুটি ক্ষেপণাস্ত্র রয়েছে, যা যেকোনো ধরণের আক্রমণ প্রতিরোধে কার্যকর। যার মধ্যে রয়েছে পৃথ্বী বায়ু প্রতিরক্ষা এবং উন্নত প্রতিরক্ষা বিমান ব্যবস্থা।
পৃথ্বী এয়ার ডিফেন্স উচ্চ উচ্চতায় ক্ষেপণাস্ত্র আক্রমণ প্রতিহত করতে সক্ষম। একই সময়ে, উন্নত বায়ু প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা কম উচ্চতার আক্রমণ প্রতিরোধ করে। অ্যান্টি-ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ৫,০০০ কিলোমিটার দূর থেকে আসা ক্ষেপণাস্ত্রগুলিকে থামাতে পারে।
আজকের বায়ু প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাগুলি উন্নত, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের THAAD এবং রাশিয়ার S-400 এবং S-500 বায়ুমণ্ডলের ভিতরে বা বাইরে ক্ষেপণাস্ত্রগুলিকে প্রতিহত করতে সক্ষম। ভারতের কাছে S-400 সিস্টেমও রয়েছে যা যুদ্ধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।