বিমানবন্দর সংলগ্ন উত্তর শহরতলির নারায়ণপুর এলাকায় রাজ্য পুলিশের স্পেশাল টাস্ক ফোর্স ( Bengal STF) (এসটিএফ) পরিচালিত তল্লাশিতে উদ্ধার হল বিপুল পরিমাণ বেআইনি ( Bengal STF) আগ্নেয়াস্ত্র। শনিবার গভীর রাতে অভিযান চালিয়ে চারজন অস্ত্র পাচারকারীকে গ্রেপ্তার করেছে এসটিএফ।
ধৃতদের কাছ থেকে উদ্ধার হয়েছে দেশীয় নির্মাণের একটি ৭ এমএম পিস্তল, ( Bengal STF) দু’টি পাইপ গান এবং বেশ কিছু বুলেট। এই ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্য ( Bengal STF) ছড়িয়েছে। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, অস্ত্রগুলি বিহার থেকে এনে কলকাতার আশপাশের এলাকায় সরবরাহ করার পরিকল্পনা ছিল ধৃতদের।
গ্রেপ্তার হওয়া চারজনের ( Bengal STF) নাম লিঙ্কন হোসেন, বাকিবিল্লা গাজি, ফারুক সর্দার এবং রাজীব মোল্লা। পুলিশ জানিয়েছে, তারা প্রত্যেকেই উত্তর ২৪ পরগনার বিভিন্ন এলাকার বাসিন্দা। দীর্ঘদিন ধরেই তারা বেআইনি অস্ত্র ( Bengal STF) পাচারের সঙ্গে যুক্ত ছিল বলে অনুমান গোয়েন্দাদের। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে নারায়ণপুরের পূর্ব বেড়াবেড়ি এলাকায় একটি সন্দেহজনক গাড়ির গতিবিধি নজরে রাখছিলেন এসটিএফের ( Bengal STF) । সন্দেহজনক ( Bengal STF) গাড়িটি আটকে তল্লাশি চালানো হলে, গাড়ির সিটের নীচে রাখা একটি ব্যাগ থেকে উদ্ধার ( Bengal STF) হয় আগ্নেয়াস্ত্র এবং গুলি।
উদ্ধার হওয়া অস্ত্রের মধ্যে রয়েছে একটি ৭ এমএম পিস্তল, ( Bengal STF) দুটি পাইপ গান, ১২টি ৭.৬৫ এমএম বুলেট এবং দুটি ৮ এমএম বুলেট। পুলিশ জানিয়েছে, এই অস্ত্রগুলি ‘মুঙ্গের মেড’— অর্থাৎ বিহারের berখ্যাত মুঙ্গের এলাকায় তৈরি। বিহার থেকে অস্ত্র এনে তা কলকাতা ও পার্শ্ববর্তী ( Bengal STF) অঞ্চলে ছড়িয়ে দেওয়ার বড়সড় চক্রের সঙ্গে যুক্ত থাকতে পারে এই চারজন বলে মনে করছে পুলিশ।
ধৃতদের বিরুদ্ধে নারায়ণ থানায় অস্ত্র ( Bengal STF) আইনে মামলা রুজু করা হয়েছে। এসটিএফ সূত্রে খবর, ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করে জানা যাচ্ছে, তারা পূর্বেও বেশ কয়েকবার বেআইনি( Bengal STF) অস্ত্রের চালান কলকাতায় পৌঁছে দিয়েছে। এবারও তারা শহরের কোনো অস্ত্রক্রেতার সঙ্গে যোগাযোগ করেই নারায়ণপুরে এসেছিল। সময়মতো অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়েছে।
গোয়েন্দারা এখন ধৃতদের ( Bengal STF) জেরা করে জানতে চেষ্টা করছেন, এই অস্ত্র কোথায় তৈরি হয়েছিল, কার মাধ্যমে আনা হয়েছিল এবং কে বা কারা এই অস্ত্রের মূল ক্রেতা। পাশাপাশি পুলিশ খতিয়ে দেখছে, এই অস্ত্র সরবরাহের পেছনে কোনও বৃহৎ নাশকতার ছক লুকিয়ে আছে কি না। কারণ, ঘটনাস্থল বিমানবন্দরের ( Bengal STF) খুব কাছেই হওয়ায়, নিরাপত্তার দিক থেকে বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্ব সহকারে দেখছে প্রশাসন।
অন্যদিকে, স্থানীয় বাসিন্দারাও( Bengal STF) এই ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। এত কাছাকাছি এলাকায় বেআইনি অস্ত্রসহ পাচারকারীদের ধরা পড়ায় অনেকে নিজেদের নিরাপত্তা ( Bengal STF) নিয়ে চিন্তিত। যদিও এসটিএফ আশ্বস্ত করেছে, গোটা বিষয়টি গভীরভাবে তদন্ত করা হচ্ছে এবং অস্ত্র চক্রের মূল উৎস খুঁজে পেতে তৎপর পুলিশ।
এই ঘটনায় ফের একবার স্পষ্ট হল, শহরের উপকণ্ঠেও( Bengal STF) বেআইনি অস্ত্রের কারবার কতটা বিস্তৃত হয়ে উঠেছে। তবে এসটিএফের তৎপরতায় একটি বড়সড় ষড়যন্ত্রের আগেই রুখে দেওয়া গেল বলেই মনে করছেন গোয়েন্দারা। পুলিশের দাবি, এই অভিযান আরও বড় কোনও অস্ত্রচক্রকে ( Bengal STF) ধরার সূত্রপাত হতে পারে।