নয়াদিল্লি: ভারত-পাকিস্তান সীমান্তে উত্তেজনার পারদ তুঙ্গে। বৃহস্পতিবার মধ্যরাত থেকে একযোগে একাধিক স্থানে হামলা চালানোর চেষ্টা করে পাকিস্তানি সেনা। জম্মু, পাঠানকোট, উধমপুর-সহ অন্তত ৩৬টি স্থানে ড্রোন ও গোলাবর্ষণের মাধ্যমে অনুপ্রবেশের চেষ্টা চালায় তারা। তবে ভারতীয় সেনাবাহিনী ও বায়ুসেনার যৌথ প্রতিরোধে প্রতিটি হামলাই ব্যর্থ হয়।
তুরস্কের তৈরি ড্রোন পাঠায় পাকিস্তান
ভারতীয় সেনার কর্নেল সোফিয়া কুরেশি সাংবাদিক বৈঠকে জানান, “আজ মধ্যরাতে পশ্চিম সীমান্তে আমাদের সেনার উপর পাকিস্তান পরিকল্পিত হামলা চালায়। তারা অস্ত্র ব্যবহার করে, ড্রোন পাঠায়, গোলাবর্ষণ করে এবং ভাতিন্ডায় যুদ্ধবিমান ব্যবহার করে হামলার চেষ্টা করে। ভারতীয় সেনা সমস্ত আক্রমণ প্রতিহত করেছে।”
তিনি জানান, অনুপ্রবেশকারী ড্রোনগুলির ফরেন্সিক পরীক্ষা চলছে এবং প্রাথমিকভাবে জানা যাচ্ছে সেগুলি তুরস্ক-নির্মিত। এক ড্রোন AD Radar System ধ্বংস করে দেয়, তবে ভারত প্রতিরোধে পিছপা হয়নি। এই সংঘাতে ভারতের কয়েকজন জওয়ান আহত হয়েছেন বলে জানান কর্নেল কুরেশি।
বেসামরিক বিমানকে ঢাল করেছে পাকিস্তান Indian Army press briefing
সবচেয়ে উদ্বেগজনক অভিযোগটি পাকিস্তানের যুদ্ধনৈতিক কৌশল ঘিরে। কর্নেল কুরেশি দাবি করেন, পাকিস্তান তাদের আকাশসীমা বন্ধ না করে ইচ্ছাকৃতভাবে বেসামরিক বিমানকে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করছে। তিনি বলেন, “পাকিস্তান নিজেদের নাগরিক বিমানগুলোকে আক্রমণের সময় ঢাল হিসেবে কাজে লাগাতে চেয়েছিল, যা আন্তর্জাতিক নিয়মের স্পষ্ট লঙ্ঘন।”
‘অপারেশন সিঁদুর’-এ পাকিস্তান ও পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীরের অন্তত ৯টি জঙ্গি ঘাঁটি লক্ষ্য করে সফল মিসাইল হামলা চালায় ভারত৷ এই হামলায় একাধিক জঙ্গি ঘাঁটি সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়েছে বলে সেনা সূত্রে খবর। এর আগে জম্মু ও কাশ্মীরের পহেলগাঁওতে একটি বড়সড় জঙ্গি হামলার পরই ভারত এই কড়া পদক্ষেপ নেয়। প্রতিক্রিয়ায় পাকিস্তান যুদ্ধবিরতির ধারাবাহিক লঙ্ঘন শুরু করেছে নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর।
Bharat: Indian Army reports Pakistan attempted coordinated attacks in 36 locations including Jammu, Pathankot, using drones and shelling. All attacks foiled. Pakistan allegedly used civilian aircraft as shields.