Air Sirens In Chandigarh
নয়াদিল্লি: ভারত-পাকিস্তানের সম্পর্কে চরম উত্তেজনা। সীমান্তে শুরু হয়েছে যুদ্ধ৷ এরই মাঝে শুক্রবার সকাল থেকে আতঙ্ক ছড়াল চণ্ডীগড়ে। সকাল থেকেই সাইরেনের শব্দে আতঙ্ক ছড়ায় বাসিন্দাদের মধ্যে। ভারতীয় বায়ুসেনার তরফে সম্ভাব্য বিমান হামলার সতর্কবার্তা পৌঁছনোর পরই নিরাপত্তার ঘেরাটোপে মুড়ে ফেলা হয় গোটা শহর। চণ্ডীগড় প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, “সবাইকে ঘরের ভিতরে থাকতে এবং বারান্দা এড়িয়ে চলার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।”
চণ্ডীগড়ের ডেপুটি কমিশনার নিশান্ত কুমার যাদব বৃহস্পতিবার রাতে ঘোষণা করেন, শুক্রবার ও শনিবার সমস্ত সরকারি ও বেসরকারি স্কুল বন্ধ থাকবে। প্রশাসনের ভাষায়, এটি একটি “জরুরি পরিস্থিতি”।
আকাশে হামলার ছায়া, সীমান্তে গোলাবর্ষণ
গতকাল রাতেও চণ্ডীগড়ে বেজেছিল সাইরেন। সেই সঙ্গে জারি হয় ব্ল্যাকআউট। কারণ, পাক সেনা ড্রোন ও মিসাইলের মাধ্যমে হামলা চালায় জম্মু ও কাশ্মীরের একাধিক এলাকায়। আরএস পুরা, আরনিয়া, সাম্বা এবং হিরানগরে পাকিস্তানের ছোড়া অন্তত ৮টি মিসাইল ধেয়ে আসে। কয়েকটি মিসাইল মাঝ আকাশেই ধ্বংস করে দেয় ভারতীয় প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা।
এই ঘটনার পর থেকেই রাজস্থানের জয়সলমের, পাঞ্জাবের অমৃতসর এবং হরিয়ানার পঞ্চকুলায় ব্ল্যাকআউট করা হয়, যাতে আকাশপথে হামলার নিশানা করা কঠিন হয়।
ভারতের জবাব: ‘অপারেশন সিঁদুর’ Air Sirens In Chandigarh
ভারতীয় সেনার তরফে শুক্রবার সকালে জানানো হয়েছে, “পাকিস্তানের সেনাবাহিনী ৮ এবং ৯ মে-র মধ্যরাতে পশ্চিম সীমান্ত জুড়ে একাধিক হামলা চালায়। ড্রোন ও অন্যান্য অস্ত্র ব্যবহার করে তারা সামরিক লক্ষ্যে আঘাত হানার চেষ্টা করে।”
তবে ভারতীয় সেনা জানায়, সব হামলাই কার্যত ব্যর্থ হয়েছে। সেনার মুখপাত্রের ভাষায়, “ড্রোন হামলা প্রতিহত করা হয়েছে এবং সীমান্তে সংঘর্ষ বিরতির লঙ্ঘনের জবাব শক্তভাবে দেওয়া হয়েছে।”
এর পাশাপাশি ভারত ‘অপারেশন সিঁদুর’ নামক সামরিক অভিযান চালিয়ে পাকিস্তান ও পাক-অধিকৃত কাশ্মীরে একাধিক সন্ত্রাসবাদী ঘাঁটি ধ্বংস করে। লক্ষ্য ছিল জইশ-ই-মহম্মদ, লস্কর-ই-তইবা এবং হিজবুল মুজাহিদিনের ঘাঁটি।
১৫টি লক্ষ্যবস্তুতে হামলার চেষ্টা পাকিস্তানের
বুধবার ও বৃহস্পতিবার রাতের মধ্যে পাকিস্তান মোট ১৫টি জায়গায় হামলার চেষ্টা চালায় — আওয়ান্তিপোরা, শ্রীনগর, জম্মু, পাঠানকোট, অমৃতসর, কাপুরথলা, জলন্ধর, লুধিয়ানা, আদমপুর, ভাটিন্ডা, চণ্ডীগড়, নাল, ফলোডি, উত্তারলাই ও ভূজ।
ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, সকল মিসাইল ও ড্রোন সফলভাবে ধ্বংস করা হয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে ধ্বংসাবশেষ সংগ্রহ করে প্রমাণ জোগাড় করা হচ্ছে পাকিস্তানের যুদ্ধ প্ররোচনার।
উত্তেজনার কেন্দ্র পহেলগাঁও হামলা
চলমান উত্তেজনার সূচনাবিন্দু কাশ্মীরের পহেলগাঁও-এ গত মাসে হওয়া ভয়াবহ সন্ত্রাসবাদী হামলা। সেই হামলায় প্রাণ হারান ২৬ জন ভারতীয় নাগরিক। বেছে বেছে হত্যা করা হয় হিন্দুদর৷ সেই ঘটনার জবাব হিসেবেই চালানো হয় ভারতের ‘অপারেশন সিঁদুর’।
বর্তমানে পরিস্থিতি তপ্ত। দেশের পশ্চিম সীমান্তে সেনাবাহিনী সর্বোচ্চ সতর্কতায়। প্রশাসনিক স্তরে জরুরি ব্যবস্থা, শহরজুড়ে আতঙ্ক—সব মিলিয়ে যুদ্ধের আশঙ্কা যেন কড়া নাড়ছে। পরিস্থিতির উপর নজর রাখছে গোটা দেশ।
Bharat: High India-Pakistan tension escalates to border conflict, triggering security alert in Chandigarh. Sirens, school closures, and blackout after potential air threat. India responds with ‘Operation Sindoor’ after reported Pakistani attacks.