সীমান্ত ও বিমানবন্দরের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে নির্দেশ অমিত শাহের

ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে চলমান উত্তেজনার মধ্যে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (amit-shah) দেশের সীমান্ত ও বিমানবন্দরের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কঠোর নির্দেশ জারি করেছেন। বর্ডার সিকিউরিটি…

amit-shah orders army

ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে চলমান উত্তেজনার মধ্যে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (amit-shah) দেশের সীমান্ত ও বিমানবন্দরের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কঠোর নির্দেশ জারি করেছেন। বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্স (বিএসএফ) এবং সেন্ট্রাল ইন্ডাস্ট্রিয়াল সিকিউরিটি ফোর্স (সিআইএসএফ)-এর মহাপরিচালকদের সঙ্গে কথা বলে শাহ (amit-shah) নির্দেশ দিয়েছেন যে, দেশের আন্তর্জাতিক সীমান্ত ও সমস্ত বিমানবন্দরে নিরাপত্তা ব্যবস্থা অত্যন্ত কঠোর করতে হবে।

বিএসএফ মহাপরিচালক দলজিৎ সিং চৌধুরীকে আন্তর্জাতিক সীমান্তের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে, যেখানে পাকিস্তানের সঙ্গে সীমান্তে উত্তেজনা তীব্র হয়েছে। একইভাবে, সিআইএসএফ মহাপরিচালককে দেশের সমস্ত বিমানবন্দরের নিরাপত্তার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে, যেহেতু বিমানবন্দরগুলোর নিরাপত্তা সম্পূর্ণরূপে সিআইএসএফের উপর নির্ভর করে।

   

পাকিস্তানের ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা প্রতিহত

বৃহস্পতিবার, ৮ মে সন্ধ্যা ৮টার কাছাকাছি, পাকিস্তান জম্মুর সীমান্তবর্তী এলাকায় ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা শুরু করে। জম্মুর পর পাকিস্তান পাঞ্জাব এবং রাজস্থানের সীমান্তবর্তী এলাকাগুলোতেও আক্রমণ চালায়। পাকিস্তান মোট ১০০টির বেশি ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে, যার মধ্যে শুধুমাত্র রাজস্থানের জয়সলমেরেই ৭০টির বেশি ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়া হয়।

তবে, ভারতের অত্যাধুনিক বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা, বিশেষ করে রাশিয়ার তৈরি এস-৪০০ এবং দেশীয় আকাশ ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা, পাকিস্তানের সমস্ত ড্রোন এবং ক্ষেপণাস্ত্র আকাশেই ধ্বংস করে দেয়। জম্মু, উধমপুর, রাজৌরি, পাঠানকোট, সাম্বা, আখনুর, আমৃতসর, জলন্ধর, লুধিয়ানা, বাথিন্ডা, চণ্ডীগড়, জয়সলমের, পোখরান এবং ভুজে পাকিস্তানের হামলার চেষ্টা সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়। ভারতীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এই হামলাগুলো প্রতিহত করায় ভারতের বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার শক্তি স্পষ্ট হয়েছে।

ভারতের পাল্টা হামলা: পাকিস্তানের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ধ্বংস

পাকিস্তানের এই আক্রমণের জবাবে ভারত কঠোর পাল্টা ব্যবস্থা নিয়েছে। অপারেশন সিন্দুরের অধীনে ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনী পাকিস্তানের লাহোর, ফয়সালাবাদ, সারগোধা, মুলতান এবং সিয়ালকোটের বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ধ্বংস করেছে। সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া পোস্ট অনুসারে, এই শহরগুলোর প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা এখন সম্পূর্ণ অকেজো, এবং ভারতীয় বাহিনী এই অঞ্চলের আকাশসীমায় পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করেছে।

এছাড়া, ভারত পাকিস্তানের তিনটি যুদ্ধবিমান—দুটি জেএফ-১৭ এবং একটি এফ-১৬—ভূপাতিত করেছে। রাজস্থানের লাঠি এলাকায় একটি জেএফ-১৭ বিমানের পাকিস্তানি পাইলটকে জীবিত অবস্থায় বন্দি করা হয়েছে। ভারতীয় সূত্র জানিয়েছে, এই পাল্টা হামলায় পাকিস্তানের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।

বিদেশের ক্লাবে অনুশীলন! হারানো ছন্দ ফেরাতে মরিয়া গুরপ্রীত

অমিত শাহের নির্দেশ ও নিরাপত্তা ব্যবস্থা (amit-shah)

কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহ (amit-shah) পাকিস্তানের সঙ্গে সীমান্তে চলমান উত্তেজনার প্রেক্ষিতে বিএসএফ এবং সিআইএসএফকে উচ্চ সতর্ক অবস্থায় থাকার নির্দেশ দিয়েছেন। তিনি বিএসএফ প্রধান দলজিৎ সিং চৌধুরীকে নির্দেশ দিয়েছেন, পাঞ্জাব (৫৩২ কিমি) এবং রাজস্থান (১,০০০ কিমি) সীমান্তে কোনো ধরনের অনুপ্রবেশ বা আক্রমণ রোধ করতে।

একইভাবে, সিআইএসএফকে দেশের ২৭টি বিমানবন্দরে নিরাপত্তা বাড়ানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, যেগুলো ১০ মে পর্যন্ত বন্ধ রয়েছে। শাহ (amit-shah) পাকিস্তান ও নেপাল সীমান্তবর্তী রাজ্যগুলোর মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠকে প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম মজুত রাখতে এবং জনগণের মধ্যে অপ্রয়োজনীয় আতঙ্ক রোধে সচেতনতা বাড়ানোর নির্দেশ দিয়েছেন।

অপারেশন সিঁদুর ও পাকিস্তানের ক্ষয়ক্ষতি

অপারেশন সিঁদুর, যা ৭ মে ভোরে শুরু হয়েছিল, পহেলগাঁওয়ে ২২ এপ্রিলের জঙ্গি হামলার প্রতিশোধ হিসেবে পরিচালিত হয়। এই হামলায় ২৬ জন নিহত হয়েছিল, যার মধ্যে বেশিরভাগই হিন্দু পর্যটক। ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনী নয়টি স্থানে—

বাহাওয়ালপুর, মুরিদকে, গুলপুর, ভিম্বর, চক আমরু, বাঘ, কোটলি, সিয়ালকোট এবং মুজাফফরাবাদে—জইশ-ই-মোহাম্মদ এবং লস্কর-ই-তৈয়বার সন্ত্রাসী ঘাঁটি ধ্বংস করে। ভারতীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং জানিয়েছেন, এই হামলায় কমপক্ষে ১০০ জন জঙ্গি নিহত হয়েছে। পাকিস্তানের দাবি, এই হামলায় ৩১ জন বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছে, তবে ভারত জানিয়েছে, কোনো সামরিক স্থাপনা লক্ষ্য করা হয়নি।

জনজীবনে প্রভাব ও আন্তর্জাতিক প্রতিক্রিয়া

পাকিস্তানের গোলাবর্ষণে জম্মু ও কাশ্মীরের পুঞ্চ জেলায় ১৬ জন বেসামরিক নাগরিক এবং একজন ভারতীয় সৈনিক নিহত হয়েছে। পাঞ্জাব এবং রাজস্থানে ব্ল্যাকআউট জারি করা হয়েছে, এবং ২৭টি বিমানবন্দর বন্ধ রয়েছে, যার ফলে ৪৩০টির বেশি ফ্লাইট বাতিল হয়েছে।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, চীন, যুক্তরাজ্য এবং জাতিসংঘ উভয় দেশকে সংযমের আহ্বান জানিয়েছে। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর এবং পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফের সঙ্গে কথা বলেছেন। লাহোরে মার্কিন কনস্যুলেট তাদের কর্মীদের নিরাপদ স্থানে থাকার নির্দেশ দিয়েছে।

ভারত-পাকিস্তান সংঘর্ষে ভারতের বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার শক্তি এবং পাল্টা হামলার ক্ষমতা স্পষ্ট হয়েছে। অমিত শাহের (amit-shah) নির্দেশে সীমান্ত ও বিমানবন্দরে নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও জোরদার করা হয়েছে। শান্তি প্রতিষ্ঠায় আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের মধ্যস্থতা এবং উভয় দেশের সংযম জরুরি।

Advertisements