আকাশে পাক বিপর্যয়! ভারতের হামলায় উড়ে গেল নজরদারি এয়ারক্রাফট

সাম্প্রতিককালে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সামরিক উত্তেজনা নতুন মাত্রা লাভ করেছে, যখন ভারতীয় বায়ুসেনা একটি পাকিস্তানি AWACS (Airborne Warning and Control System) বিমান ধ্বংস করেছে…

Indian Air Force Downs Pakistani AWACS Aircraft Near Border

সাম্প্রতিককালে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সামরিক উত্তেজনা নতুন মাত্রা লাভ করেছে, যখন ভারতীয় বায়ুসেনা একটি পাকিস্তানি AWACS (Airborne Warning and Control System) বিমান ধ্বংস করেছে বলে ভারতীয় প্রতিরক্ষা সূত্র জানিয়েছে। এই ঘটনা সীমান্তবর্তী অঞ্চলে ঘটেছে এবং এতে দক্ষিণ এশিয়ার দুই পারমাণবিক শক্তিধর দেশের মধ্যে সংঘাতের আশঙ্কা আরও বেড়ে গেছে।

কী ঘটেছিল?

ঘটনাটি ঘটে পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীরের আকাশসীমায়, যেখানে ভারতীয় রাডার একটি সন্দেহভাজন বিমানের গতিবিধি শনাক্ত করে। প্রতিরক্ষা সূত্রের দাবি, এটি একটি সুসজ্জিত পাকিস্তানি AWACS বিমান ছিল, যা সীমান্তের খুব কাছাকাছি ঘোরাফেরা করছিল। ভারতীয় বায়ুসেনা অবিলম্বে মিগ-২৯ এবং সুখোই-৩০ জেট মোতায়েন করে। এর ফলস্বরূপ, লক্ষ্যবস্তু AWACS বিমানটিকে সফলভাবে ধ্বংস করা হয়।

   

AWACS কী?

AWACS বা এয়ারবোর্ন ওয়ার্নিং অ্যান্ড কন্ট্রোল সিস্টেম এমন একটি বিশেষ বিমান যা শত্রুপক্ষের বিমান, ক্ষেপণাস্ত্র বা অন্যান্য আকাশচালিত হুমকি আগেভাগেই শনাক্ত করতে পারে। এটি একটি উড়ন্ত রাডার কেন্দ্রের মতো কাজ করে এবং আকাশ ও মাটির মধ্যে তথ্য আদান-প্রদানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। পাকিস্তান তাদের চীনা তৈরি ZDK-03 Karakoram Eagle AWACS বিমানের উপর অনেকটাই নির্ভর করে।

ভারতের প্রতিক্রিয়া

ভারতীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় সরাসরি এই বিষয়ে মন্তব্য না করলেও উচ্চপদস্থ সূত্র জানিয়েছে, এটি ছিল আত্মরক্ষামূলক পদক্ষেপ। ভারত বহুবার পাকিস্তানকে সীমান্তে নজরদারি এবং উস্কানিমূলক কার্যকলাপ থেকে বিরত থাকার জন্য সতর্ক করেছে। ভারতীয় গণমাধ্যম এই অভিযানে ভারতীয় প্রযুক্তির আধুনিক রাডার এবং যুদ্ধবিমানের সমন্বয়কে ‘বড় সাফল্য’ হিসেবে চিহ্নিত করেছে।

পাকিস্তানের প্রতিক্রিয়া

অন্যদিকে, পাকিস্তান এই হামলাকে “অভিযুক্ত আগ্রাসন” হিসেবে আখ্যা দিয়েছে এবং আন্তর্জাতিক মহলে প্রতিবাদ জানিয়েছে। ইসলামাবাদ দাবি করেছে যে, তাদের একটি নজরদারি বিমানকে আন্তর্জাতিক আকাশসীমায় ধ্বংস করা হয়েছে, যা আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন। পাকিস্তান সামরিক জবাবদিহিতা নিয়ে কঠোর বার্তা দিয়েছে এবং সীমান্তে বাহিনী মোতায়েন বাড়িয়েছে।

আন্তর্জাতিক প্রতিক্রিয়া

যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া এবং জাতিসংঘ এই ঘটনার উপর নজর রাখছে। জাতিসংঘের পক্ষ থেকে দুই দেশকে সংযম প্রদর্শনের আহ্বান জানানো হয়েছে। বিশ্লেষকদের মতে, এই ধরনের ঘটনা ভারত-পাকিস্তান সম্পর্কের উপর দীর্ঘমেয়াদী প্রভাব ফেলতে পারে।

Advertisements