অপারেশন সফল, কিন্তু রাজনৈতিক বার্তায় ভাঙন!সর্বদল বৈঠকে মোদির না থাকা ‘অপমানজনক’, কটাক্ষ কংগ্রেসের

সম্প্রতি পহেলগাঁও হামলার প্রত্যাঘাতে (All-Party Meeting)  ‘অপারেশন সিঁদুর’ নামে এক গোপন সেনা অভিযানে পাকিস্তান ও পাক-অধিকৃত কাশ্মীরের অন্তত ৯টি জঙ্গিঘাঁটি ধ্বংস করেছে ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনী।…

Rajnath Singh Chairs All-Party Meeting on 'Operation Sindoor' Amid PM Modi's Absence

সম্প্রতি পহেলগাঁও হামলার প্রত্যাঘাতে (All-Party Meeting)  ‘অপারেশন সিঁদুর’ নামে এক গোপন সেনা অভিযানে পাকিস্তান ও পাক-অধিকৃত কাশ্মীরের অন্তত ৯টি জঙ্গিঘাঁটি ধ্বংস করেছে ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনী। বাহওয়ালপুরে জইশ-ই-মহম্মদ, মুরাক্কায় লস্কর-ই-তৈবা এবং হিজবুল মুজাহিদিনের সদর দপ্তর (All-Party Meeting)  টার্গেট করে সফল ‘প্রিসিশন স্ট্রাইক’ চালানো হয়েছে। বিদেশসচিব ও সেনাবাহিনী পরদিন সংবাদ সম্মেলনে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানালেও, রাজনৈতিক বিতর্ক ঘনীভূত হয়েছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সর্বদল বৈঠকে অনুপস্থিতি নিয়ে।

সরকারের তরফে জানানো হয়েছে, এই অভিযানের সাফল্যের বিষয়ে বিরোধীদের কনফিডেন্সে (All-Party Meeting)  নেওয়ার জন্য সংসদ ভবনে এক সর্বদল বৈঠকের আয়োজন করা হয়। প্রতিরক্ষামন্ত্রী (All-Party Meeting)  রাজনাথ সিং-এর নেতৃত্বে আয়োজিত এই বৈঠকে কেন্দ্রীয় সরকারের একাধিক শীর্ষমন্ত্রী—স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ, স্বাস্থ্যমন্ত্রী জেপি নাড্ডা প্রমুখ উপস্থিত থাকলেও, প্রধানমন্ত্রীর অনুপস্থিতি রাজনৈতিক বিতর্কের জন্ম দিয়েছে।

   

বিরোধীদের (All-Party Meeting)  বক্তব্য অনুযায়ী, এই ধরনের জাতীয় নিরাপত্তা সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুতে প্রধানমন্ত্রী স্বয়ং উপস্থিত না থেকে বরং বিহারে সরকারি কর্মসূচির নামে নির্বাচনী প্রচারে অংশগ্রহণ করায় বিষয়টি গুরুত্ব হারিয়েছে। কংগ্রেসের তরফে লোকসভার বিরোধী দলনেতা (All-Party Meeting)  রাহুল গান্ধী এবং রাজ্যসভার বিরোধী দলনেতা মল্লিকার্জুন খাড়গে সরাসরি মোদির ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। তাঁদের অভিযোগ, যখন গোটা দেশ একজোট হওয়ার বার্তা দিতে চাইছে, তখন প্রধানমন্ত্রী নিজে সেই ঐক্যের মঞ্চে (All-Party Meeting)  না এসে রাজনৈতিক কর্মসূচিতে ব্যস্ত থাকেন, যা দুর্ভাগ্যজনক।

যদিও সরকার পক্ষের দাবি, মোদি গোটা অপারেশনের (All-Party Meeting)  শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত তীক্ষ্ণ নজরদারিতে ছিলেন। এমনকি বৈঠকের আগেই জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভালের সঙ্গে বিস্তারিত আলোচনা করেন তিনি। প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংয়ের মাধ্যমে বিরোধীদের উদ্দেশে বার্তাও পাঠান মোদি। তবুও প্রধানমন্ত্রীর অনুপস্থিতি রাজনৈতিক শিবিরে একপ্রকার হতাশা ও প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে।

এই ঘটনার পটভূমিতে (All-Party Meeting)  আরও একটি বিষয় উল্লেখযোগ্য। সামরিক সাফল্যের ক্ষেত্রে ভারতীয় সেনার ভূমিকাকে সর্বত্র প্রশংসা করা হলেও, সেই সাফল্যকে ঘিরে রাজনৈতিক মঞ্চে নেতৃত্বের স্পষ্টতা ও স্বচ্ছতার অভাব সাধারণ নাগরিকদের মনেও প্রশ্ন তুলছে। বিশেষ করে যখন সেনা অভিযান রাজনৈতিক প্রচারে হাতিয়ার হয়ে ওঠে, তখন বিরোধীদের এই প্রশ্ন আরও জোরালো হয়—সামরিক সাফল্যের কৃতিত্ব কি শুধুই রাজনৈতিক ফায়দা তুলতেই ব্যবহৃত হচ্ছে?

এই প্রশ্নের উত্তরে সরকারের দাবি, জাতীয় নিরাপত্তা (All-Party Meeting)  ইস্যুতে দল-মত নির্বিশেষে সকলের সহযোগিতা চায় কেন্দ্র। অথচ বাস্তবে দেখা গেল, সেই ঐক্যের আহ্বানে প্রধান কান্ডারিরই (All-Party Meeting)  অনুপস্থিতি একরকম প্রতীকী সংকেত পাঠাচ্ছে। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, এ ধরনের অভিযানে নেতৃত্বের (All-Party Meeting)  দৃশ্যমানতা যেমন গুরুত্বপূর্ণ, তেমনি জাতীয় ঐক্যের প্রতীক হিসেবে প্রধানমন্ত্রীকে সামনে থাকা আরও প্রাসঙ্গিক।

শেষ কথা, অপারেশন সিঁদুর নিঃসন্দেহে ভারতের কৌশলগত (All-Party Meeting)  সাফল্যের উদাহরণ। তবে সেই সাফল্যের রাজনৈতিক ব্যাখ্যা ও কৃতিত্ব বিতরণের প্রশ্নে বিরোধী-সরকার দ্বন্দ্ব নতুন করে রাজনীতির (All-Party Meeting)  কেন্দ্রবিন্দুতে উঠে এসেছে। এই ঘটনায় মোদির ভূমিকা নিয়েই ভবিষ্যতের নির্বাচনী রাজনীতি কতটা প্রভাবিত হবে, তা সময়ই বলবে।

Advertisements