কেরালার গোলরক্ষকের দিকে নজর আইএসএলের একাধিক ফুটবল ক্লাবের

Transfer Window: কিছু সপ্তাহ আগেই শেষ হয়েছে ক্লাব ফুটবল মরসুম। বলাবাহুল্য, অন্যান্য বছর গুলির তুলনায় এবার কলকাতা ময়দানের অন্যতম প্রধান তথা মোহনবাগান সুপার জায়ান্টের সক্রিয়তা…

Nora Fernandes

Transfer Window: কিছু সপ্তাহ আগেই শেষ হয়েছে ক্লাব ফুটবল মরসুম। বলাবাহুল্য, অন্যান্য বছর গুলির তুলনায় এবার কলকাতা ময়দানের অন্যতম প্রধান তথা মোহনবাগান সুপার জায়ান্টের সক্রিয়তা ব্যাপকভাবে দেখা গেলেও খুব একটা পিছিয়ে থাকেনি দেশের অন্যান্য ফুটবল ক্লাব গুলি। মরসুমের শুরুতেই সকলকে চমকে দিয়ে সবুজ-মেরুন ব্রিগেডকে পরাজিত করে ঐতিহ্যবাহী ডুরান্ড জয় করেছিল নর্থইস্ট ইউনাইটেড। তারপর যদিও দেশের প্রথম ডিভিশন লিগ তথা আইএসএলে অভূতপূর্ব পারফরম্যান্স থাকে মেরিনার্সদের। আইএসএলের লিগ শিল্ডের পাশাপাশি এবার লিগ কাপ ও জয় করে মোহনবাগান।

তবে এক্ষেত্রে অন্যান্য দল গুলির পাশাপাশি দক্ষিণের শক্তিশালী ফুটবল ক্লাব তথা কেরালা ব্লাস্টার্সকে নিয়ে বিশেষ প্রত্যাশা ছিল দেশের ফুটবল অনুরাগীদের। কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হয়নি। বরং ডুরান্ডের পর আইএসএলে ও বজায় থেকেছে সেই পরাজয়ের ধারা। মাঝে টুর্নামেন্টের দ্বিতীয় ম্যাচে কলকাতা ময়দানের অন্যতম প্রধান তথা ইমামি ইস্টবেঙ্গলের বিপক্ষে জয় আসলেও পরবর্তী ম্যাচ থেকেই ফের হোঁচট খেতে শুরু করেছিল কেরালা। স্বাভাবিকভাবেই যার প্রভাব পড়েছিল লিগের পয়েন্ট টেবিলে। এমত অবস্থায় আইএসএলের মাঝামাঝি সময় কেরালা দলের সুইডিশ কোচ মিকেল স্ট্যাহরে সহ তাঁর সকল সাপোর্টিং স্টাফেদের ছাঁটাই করার সিদ্ধান্ত নেয় ম্যানেজমেন্ট।

   

পরবর্তীতে কলিঙ্গ সুপার কাপের আগে স্প্যানিশ কোচ ডেভিড কাতলার হাতে‌ দলের দায়িত্ব তুলে দেওয়া হলেও কাজের কাজ কিছুই হয়নি। টুর্নামেন্টের কোয়ার্টার ফাইনালে মোহনবাগান সুপার জায়ান্টের কাছে হেরে ছিটকে যেতে হয়েছিল দক্ষিণের এই ফুটবল দলকে। এই সমস্ত কিছু ভুলে এখন থেকেই নতুন সিজনের জন্য পরিকল্পনা সাজাতে শুরু করেছে দেশের এই জনপ্রিয় ফুটবল দল। এক্ষেত্রে বেশকিছু বদল দেখ যেতে পারে দলের অন্দরে। দেশীয় ফুটবলারদের পাশাপাশি বিদেশি ফুটবলার নির্বাচনে ও থাকতে পারে চমক।

কিন্তু এসবের মাঝেই দলের গোলরক্ষক নোরা ফার্নান্দেজের দিকে নজর পড়েছে টুর্নামেন্টের একাধিক ফুটবল ক্লাবের। এক্ষেত্রে প্রথম থেকেই উঠে আসতে শুরু করেছে মুম্বাই সিটি এফসি থেকে শুরু করে পাঞ্জাব এফসির মতো দলের নাম। যদিও আগামী ২০২৭ সাল পর্যন্ত কেরালার সঙ্গে চুক্তি রয়েছে বছর ছাব্বিশের এই গোলরক্ষকের। নিজের চেনা পরিবেশ ছেড়ে আদৌও তিনি অন্যত্র যান কিনা সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

Advertisements