যুদ্ধ আবহে ‘অপারেশন সিঁদুরে’র ধাক্কায় IPL ২০২৫! বদলাতে পারে ট্রাভেল প্ল্যান

ভারত-পাক সীমান্তে উত্তেজনার আবহে চলছে ২০২৫ সালের আইপিএল (IPL 2025) । ৭ মে ভোররাতে ভারতীয় সেনাবাহিনী ‘অপারেশন সিঁদুর’ (Operation Sindoor) নামক সামরিক অভিযানে পাকিস্তান অধিকৃত…

Operation Sindoor impact on IPL 2025

ভারত-পাক সীমান্তে উত্তেজনার আবহে চলছে ২০২৫ সালের আইপিএল (IPL 2025) । ৭ মে ভোররাতে ভারতীয় সেনাবাহিনী ‘অপারেশন সিঁদুর’ (Operation Sindoor) নামক সামরিক অভিযানে পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীর ও পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশের ৯টি স্থানে টার্গেটেড মিসাইল হামলা চালিয়েছে। এই অপারেশনের পর নিরাপত্তাজনিত কারণে উত্তর ভারতের একাধিক বিমানবন্দর বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। যার সরাসরি প্রভাব পড়েছে আইপিএলের সূচিতে, বিশেষত ধর্মশালায় অনুষ্ঠিতব্য ম্যাচগুলিতে।

মানোলোর আতসকাঁচে জাতীয় দলে সুযোগ তিন তরুণ তুর্কির!

   

বন্ধ থাকা বিমানবন্দরগুলির (Airport) তালিকায় রয়েছে জম্মু (Jammu), শ্রীনগর, লে, যোধপুর, অমৃতসর, ভুজ, জামনগর, চণ্ডীগড়, রাজকোট এবং ধর্মশালা (Dharamshala)। এই বিমানবন্দরগুলি আগামী ১০ মে সকাল সাড়ে সাতটা পর্যন্ত বন্ধ থাকবে। এই পরিস্থিতিতে সবচেয়ে সমস্যায় পড়েছে মুম্বই ইন্ডিয়ান্স, যাদের ১১ মে ধর্মশালায় পাঞ্জাব কিংসের বিরুদ্ধে গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ রয়েছে।

ধর্মশালার পাশাপাশি চণ্ডীগড় ও অমৃতসর বিমানবন্দরও বন্ধ থাকায় মুম্বই দলের পক্ষে ধর্মশালায় পৌঁছানো দুঃসাধ্য হয়ে পড়েছে। যদিও দিল্লি ক্যাপিটালস ও পাঞ্জাব কিংস ইতিমধ্যেই পৌঁছে গিয়েছে ধর্মশালায়, ফলে ৮ মে’র ম্যাচ নিয়ে কোনও অনিশ্চয়তা নেই। বোর্ড সূত্রে জানা গিয়েছে, সরকারের পক্ষ থেকে আলাদা কোনও নিষেধাজ্ঞা না আসলে নির্ধারিত সূচি অনুযায়ীই ওই ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে।

অন্তিম লগ্নে ‘অপারেশন সিঁদুরে’র প্রভাব পড়ছে আইপিএলে? বড় সিদ্ধান্ত নিল BCCI

এই পরিস্থিতিতে বোর্ড ও সংশ্লিষ্ট ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলিকে খুঁজতে হচ্ছে বিকল্প রাস্তা। বিসিসিআই এক কর্ম কর্তা জানিয়েছেন, “আমরা আপাতত সরকারের নির্দেশিকার অপেক্ষায় রয়েছি। দিল্লি বিমানবন্দর ব্যবহার করে সড়কপথে দীর্ঘ সফরের পরিকল্পনা নেওয়া যেতে পারে, তবে সেটিও চ্যালেঞ্জিং হবে।”

আইপিএল গভর্নিং কাউন্সিলের চেয়ারম্যান অরুণ ধুমল একই প্রসঙ্গে বলেন, “পরিস্থিতির দিকে নজর রাখা হচ্ছে। অনেক গুজব ছড়াচ্ছে, কিন্তু তার ভিত্তিতে এখনই সিদ্ধান্ত নেওয়া ঠিক নয়। তবে দেশের স্বার্থে যদি কিছু করতে হয়, বিসিসিআই সর্বদা সরকারের পাশে থাকবে।”

এদিকে, একাধিক বিমান সংস্থা ইতিমধ্যেই চণ্ডীগড় ও আশেপাশের শহরগুলির উদ্দেশে নির্ধারিত ফ্লাইট বাতিল করেছে। ফলে সমর্থক ও দলগুলির ট্রাভেল পরিকল্পনাও বিঘ্নিত হচ্ছে। বোর্ডকে দ্রুত বিকল্প ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে, যাতে বাকি ম্যাচগুলির আয়োজনে কোনও সমস্যা না হয়।

চেন্নাইয়ের বিরুদ্ধে ইতিহাসের পথে কেকেআর অধিনায়ক রাহানে

ধর্মশালায় এই সপ্তাহেই রয়েছে দুটি ম্যাচ—৮ মে পাঞ্জাব কিংস বনাম দিল্লি ক্যাপিটালস এবং ১১ মে পাঞ্জাব কিংস বনাম মুম্বই ইন্ডিয়ান্স। প্রথম ম্যাচ নিয়ে সমস্যা না থাকলেও, দ্বিতীয় ম্যাচের আগে মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের যাত্রা নিয়ে এখনই উদ্বেগ তৈরি হয়েছে।

বর্তমান নিরাপত্তা পরিস্থিতিতে বিমান চলাচলের উপর কড়া নজরদারি চালানো হচ্ছে। কোনও ধরনের নিরাপত্তা ফাঁক থাকলে তা প্রতিরোধে প্রস্তুত রয়েছেন প্রশাসন ও সেনাবাহিনী। এরই মাঝে বিসিসিআই ও আইপিএল কর্তৃপক্ষকে ভারসাম্য বজায় রেখে সিদ্ধান্ত নিতে হচ্ছে।

শেষ কথা, অপারেশন সিঁদুরের পর ভারতীয় ক্রীড়াজগতেও তার প্রভাব পড়তে শুরু করেছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত আইপিএল ম্যাচ আয়োজনের ক্ষেত্রে সরকার, বোর্ড ও ফ্র্যাঞ্চাইজিদের মধ্যে সমন্বয় অপরিহার্য হয়ে উঠেছে। যদিও এখনও পর্যন্ত আইপিএল বাতিল বা স্থগিত করার কোনও পরিকল্পনা নেই, তবে প্রয়োজনে তা করা হতে পারে দেশের বৃহত্তর স্বার্থে।

Advertisements