ভারতের বিচারব্যবস্থার (Supreme Court) স্বচ্ছতা নিয়ে বহুদিন ধরেই নানা প্রশ্ন উঠেছে। বিশেষত সম্প্রতি দিল্লি হাইকোর্টের বিচারপতি যশবন্ত বর্মার বাসভবন থেকে বিপুল পরিমাণ নগদ অর্থ উদ্ধারের ঘটনায় সেই প্রশ্ন আরও ঘনীভূত হয়। সাধারণ মানুষের মধ্যে আস্থা ফেরাতে এবং বিচারব্যবস্থার প্রতি বিশ্বাস অটুট রাখতে এবার এক ঐতিহাসিক পদক্ষেপ নিল দেশের শীর্ষ আদালত – সুপ্রিম কোর্ট(Supreme Court) । প্রধান বিচারপতির (Supreme Court)নেতৃত্বে আয়োজিত এক বৈঠকে নেওয়া সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, এবার থেকে সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court)বিচারপতিরা নিজেদের সম্পত্তির বিবরণ প্রকাশ্যে আনছেন। এই সিদ্ধান্ত কার্যকর হল ১ মাসের মধ্যেই।
ইতিহাসের পাতায় তৃতীয়বার
এই প্রথম নয়, এর আগে দুইবার সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court)তরফে এমন উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। প্রথমবার ১৯৯৭ সালে তৎকালীন প্রধান বিচারপতি জেএস বর্মার নেতৃত্বে একটি বৈঠকে বিচারপতিদের স্বেচ্ছায় সম্পত্তির হিসাব জমা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। এরপর ২০০৯ সালে আরও একবার একই ধরনের প্রস্তাব (Supreme Court)সামনে আসে। তবে তখনও তা ছিল ঐচ্ছিক। বিচারপতিরা (Supreme Court)চাইলে প্রকাশ করতে পারতেন, বাধ্যতামূলক ছিল না। কিন্তু এবারের সিদ্ধান্ত আরও সুসংহত এবং বাস্তবায়নে সফল।
কার কাছে কত সম্পত্তি?
সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court)ওয়েবসাইটে প্রকাশিত তথ্যে দেখা যাচ্ছে, বর্তমানে প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খন্নার নামেই রয়েছে একটি মারুতি সুইফট গাড়ি। তাঁর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে জমা রয়েছে প্রায় ৫৫ লক্ষ টাকা। পিপিএফ (পাবলিক প্রভিডেন্ট ফান্ড) অ্যাকাউন্টে রয়েছে ১ কোটি টাকা এবং জিপিএফ (জেনারেল প্রভিডেন্ট ফান্ড) অ্যাকাউন্টেও রয়েছে ১ কোটির বেশি অর্থ। এ ছাড়াও বিভিন্ন জায়গায় তাঁর নামে ফ্ল্যাট ও বাড়ি রয়েছে – যার বিস্তারিত তথ্যও প্রকাশ্যে আনা হয়েছে।
হবু প্রধান বিচারপতি (Supreme Court)বি আই গভাইও নিজের সম্পত্তির বিস্তারিত বিবরণ প্রকাশ করেছেন। মহারাষ্ট্রে পৈতৃক সম্পত্তি, বান্দ্রার ফ্ল্যাট, নগদ অর্থ থেকে শুরু করে ব্যাঙ্ক ডিপোজিট—সবই উন্মুক্ত করেছেন তিনি। এর ফলে বিচারপতিদের স্বচ্ছতা ও সততার দৃষ্টান্ত স্থাপন হয়েছে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
কতজন বিচারপতি সম্পত্তি প্রকাশ করেছেন?
বর্তমানে সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court)মোট ৩৩ জন বিচারপতি রয়েছেন। তার মধ্যে ২১ জন ইতিমধ্যেই নিজেদের সম্পত্তির বিবরণ প্রকাশ করেছেন। ওয়েবসাইটে তা নির্দিষ্ট পৃষ্ঠা থেকে দেখা যাচ্ছে। যদিও (Supreme Court)বাকিদের তথ্য এখনও প্রকাশিত হয়নি, তবে আশা করা হচ্ছে তারা শীঘ্রই সেই পথ অনুসরণ করবেন।
স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার পথে এক বড় পদক্ষেপ
দেশের সর্বোচ্চ (Supreme Court)আদালতের বিচারপতিরা স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে যখন নিজেদের আর্থিক (Supreme Court)বিবরণ জনগণের সামনে তুলে ধরেন, তখন তা শুধু একটি আইনি প্রক্রিয়া নয়, বরং গণতন্ত্রের প্রতি দায়বদ্ধতার পরিচয়ও বটে। এর ফলে বিচারব্যবস্থা সম্পর্কে সাধারণ মানুষের আস্থা বাড়বে বলেই আশা করা হচ্ছে।
সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court)এই সিদ্ধান্ত যে ভবিষ্যতে দেশের অন্যান্য উচ্চ আদালতগুলিকে(Supreme Court) উৎসাহিত করবে, তাতে সন্দেহ নেই। বিচারবিভাগ যদি স্বচ্ছতার দৃষ্টান্ত স্থাপন করে, তাহলে সরকারের অন্য অঙ্গগুলিও একই পথে হাঁটতে বাধ্য হবে।
যশবন্ত বর্মার ঘটনার পরে সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court)এই দ্রুত পদক্ষেপ প্রমাণ করে, দেশের বিচারব্যবস্থা শুধুমাত্র ন্যায়বিচারের প্রতীক নয়, বরং নিজেকেও (Supreme Court)আইন ও নৈতিকতার কাঠগড়ায় দাঁড় করাতে প্রস্তুত। দেশের বিচারব্যবস্থায় এই সাহসী ও স্বচ্ছ উদ্যোগ নিঃসন্দেহে একটি নতুন দিগন্তের সূচনা করল।
হাইলাইটস
Toggle