হায়দরাবাদের রাজীব গান্ধী আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে আইপিএল ২০২৫-এর গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে সানরাইজার্স হায়দরাবাদ এবং দিল্লি ক্যাপিটালস (SRH vs DC) মুখোমুখি হয়েছিল। কিন্তু অবিরাম বৃষ্টির কারণে ম্যাচটি পরিত্যক্ত হয়। প্রথম ইনিংসে হায়দরাবাদের বোলিং ঝড় দেখা গিয়েছিল। অধিনায়ক প্যাট কামিন্স তিন উইকেট নিয়ে দিল্লিকে ১৩৩ রানে গুটিয়ে দেন। হায়দরাবাদ তাদের চতুর্থ জয়ের দিকে এগোচ্ছিল। কিন্তু বৃষ্টির কারণে ম্যাচ ফলাফলবিহীন হওয়ায় তারা প্লে-অফের দৌড় থেকে ছিটকে গেছে। এই ঘটনা পাঞ্জাব কিংস, কলকাতা নাইট রাইডার্স (KKR), মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স, গুজরাট টাইটান্স, রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু, এবং লখনউ সুপার জায়ান্টস-এর জন্য প্লে-অফের সম্ভাবনায় বড় প্রভাব ফেলেছে।
দিল্লি ক্যাপিটালস এই ম্যাচ থেকে একটি পয়েন্ট নিয়ে ১৩ পয়েন্টে পৌঁছে লিগের পঞ্চম স্থান ধরে রেখেছে। সম্ভাব্য তৃতীয় পরাজয় এড়িয়ে অক্ষর প্যাটেলের দল প্লে-অফের দৌড়ে টিকে আছে। এই ফলাফলবিহীন ম্যাচ আইপিএল ২০২৫-এর প্লে-অফের দৃশ্যপটকে নাটকীয়ভাবে বদলে দিয়েছে। তিনটি দল ইতিমধ্যেই প্লে-অফ থেকে বাদ পড়েছে। তবে সাতটি দল এখনও গাণিতিকভাবে যোগ্যতা অর্জনের আশা বাঁচিয়ে রেখেছে। কলকাতা এবং লখনউ-এর জন্য পথ কঠিন, তাদের বাকি সব ম্যাচ জিততে হবে। অন্যদিকে, ডিসি, আরসিবি, পিবিকেএস, এমআই, এবং জিটি শীর্ষ চারে জায়গা পাওয়ার জন্য লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে।
এই ম্যাচ ভেস্তে যাওয়ায় নেট রান রেট (এনআরআর) নিয়ে নতুন জটিলতা তৈরি হয়েছে। বিশেষ করে পঞ্জাব এবং কলকাতার জন্য। আগে ইডেন গার্ডেন্সে এই দুই দলের মধ্যে একটি ম্যাচ বৃষ্টিতে ভেস্তে গিয়ে তারা একটি করে পয়েন্ট ভাগ করে নিয়েছিল। তখন নেট রান রেট তাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ছিল না। কারণ বিজোড় পয়েন্টে থাকায় সরাসরি মুখোমুখি ফলাফলই নির্ধারক হত। কিন্তু হায়দরাবাদ-দিল্লি ম্যাচের পরিণতির ফলে এই সমীকরণ পাল্টে গেছে। এখন পঞ্জাব এবং কলকাতার জয়ের ব্যবধান এবং পরাজয়ের মার্জিনের দিকে নজর রাখতে হবে। কারণ নেট রান রেট তাদের ভাগ্য নির্ধারণে গুরুত্বপূর্ণ হতে পারে।
অন্যদিকে, মুম্বাই, বেঙ্গালুরু, গুজরাট, এবং লখনউ-এর জন্য এই ফলাফল কিছুটা সুবিধা এনেছে। এই চারটি দল বর্তমানে সমান পয়েন্টে রয়েছে। ফলে তাদের প্লে-অফের লড়াই প্রধানত একে অপরের বিরুদ্ধে। বিজোড় পয়েন্টে থাকা দলগুলির নেট রান রেট নিয়ে তাদের তুলনামূলকভাবে কম চিন্তা করতে হবে। কারণ তাদের একই পয়েন্টে শেষ করার সম্ভাবনা কম। তবে, যদি দিল্লি এই ম্যাচে হেরে যেত, তাহলে অন্য দলগুলির জন্য প্লে-অফের পথ আরও সহজ হত। সেক্ষেত্রে হায়দরাবাদের সর্বোচ্চ পয়েন্ট ১৪-এ আটকে যেত, যা যোগ্যতার সীমারেখা স্পষ্ট করত।
এই ম্যাচের ফলাফলবিহীনতা আইপিএল ২০২৫-এর প্লে-অফের দৌড়কে আরও তীব্র এবং অনিশ্চিত করে তুলেছে। প্রতিটি দলের বাকি ম্যাচ এখন তাদের ভাগ্য নির্ধারণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। দলগুলোকে এখন কেবল জয় নয়, বড় ব্যবধানে জয়ের দিকেও নজর দিতে হবে, যাতে নেট রান রেট তাদের পক্ষে থাকে। এই পরিস্থিতি টুর্নামেন্টের উত্তেজনাকে আরও বাড়িয়ে তুলেছে। যেখানে প্রতিটি ম্যাচ এখন ফাইনালের মতো গুরুত্বপূর্ণ।