বর্তমানে ভারতীয় ক্লাব ফুটবলে যথেষ্ট পরিচিত নাম খালিদ জামিল (Khalid Jamil)। আইলিগের পাশাপাশি আইএসএলে ও যথেষ্ট প্রভাব থেকেছে এই ভারতীয় কোচের। সবদিক মাথায় রেখেই এবারের এই সিজনের শুরুতে খালিদের উপরে ভরসা রেখেছিল জামশেদপুর এফসি। তাঁর নির্দেশ মেনেই দেশীয় ফুটবলারদের পাশাপাশি একাধিক বিদেশি তারকাদের সই করিয়েছিল ম্যানেজমেন্ট। যা অনেকটাই শক্তিশালী করেছিল এই ফুটবল দলকে। সেই দলেই স্থান পেয়েছিলেন আশুতোষ মেহতা (Ashutosh Mehta)। বছর কয়েক আগে কলকাতা ময়দানের অন্যতম প্রধানের জার্সিতে যথেষ্ট নজর কেড়েছিলেন এই ভারতীয় রাইট ব্যাক।
মাঝে বেশকিছু বাঁধা নিষেধ থাকলেও এবার তাঁকে সুযোগ দিয়েছিল জামশেদপুর। তাঁর উপস্থিতি নিঃসন্দেহে যথেষ্ট প্রভাব ফেলেছিল দলের রক্ষণভাগে। একটা সময় মুম্বাই এফসি থেকে নিজের ক্যারিয়ার শুরু করেছিলেন আশুতোষ মেহতা। পরবর্তীতে পুনে সিটির হয়ে প্রথমবারের মতো আইএসএল খেলতে আসেন এই ডিফেন্ডার। তারপর মুম্বাই সিটি এফসি সহ আইএসএলের একাধিক ক্লাবের জার্সিতে নিজের জাত চিনিয়ে ছিলেন এই তিনি। গত ২০২২ সালে এটিকে মোহনবাগান দলের জার্সিতে ও যথেষ্ট সক্রিয় হয়ে উঠেছিলেন সুরাটের এই ফুটবলার।
মাঝে বিবিধ সমস্যা দেখা দিলেও সেখান থেকে ফুটবলে ফিরে ছিলেন এবার। দেখতে গেলে তাঁর ক্লাব ফুটবলের একটা বড় সময় কেটেছে কোচ খালিদ জামিলের অধীনে। মুম্বাই থেকে শুরু করে আইলিগের শক্তিশালী আইজল এফসি হোক কিংবা আইএসএলের শক্তিশালী নর্থইস্ট ইউনাইটেড। বলতে গেলে এই কোচের উপরেই যেন ভরসা রেখে চলেছেন আশুতোষ মেহতা। এমনকি জামশেদপুর এফসিতে ও তাঁর অধীনেই খেলেছেন এই বছর। সেই প্রসঙ্গেই এবার মুখ খুললেন এই তারকা।
এই ভারতীয় ডিফেন্ডার বলেন, “কোচ খালিদ হল একমাত্র কারণ যার জন্য আমি মুম্বাইকে বেছে নিয়েছিলাম। এমনকি পরবর্তীতে আইজল এফসি হোক কিংবা নর্থইস্ট ইউনাইটেড তাঁকে লক্ষ্য রেখেই আমি সেই ক্লাবে যোগদান করেছিলাম। এমনকি জামশেদপুর এফসিতে আসার ও প্রধান কারন সে।” অর্থাৎ এই ভারতীয় কোচের উপরেই যে তাঁর সবচেয়ে বেশি ভরসা রয়েছে সেকথা পরিষ্কার।