রাজ্যের দুই প্রান্তে খুন হয়েছেন দুই কাউন্সিলর। একজন কংগ্রেসের এবং অপরজন তৃণমূলের। একই দিনে জোড়া কাউন্সিলর খুনের ঘটনা ঘিরে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে। এই বিষয়টি (protest) নিয়েই সংসদে সরব হল বিজেপি। পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভার বাইরে সোমবার বিক্ষোভ দেখালেন বিজেপি বিধায়কেরা।
একই দিনে জোড়া রাজনৈতিক খুনের জেরে উত্তপ্ত রাজ্য। প্রথম ঘটনা পুরুলিয়ার। ওই জেলার ঝালদায় গুলি করে খুন করা হলো কংগ্রেস কাউন্সিলর তপন কান্দুকে। রবিবার বিকেলের দিকে হেঁটে বাড়ি ফিরছিলেন তিনি। সেই সময়ে বাইকে চড়ে হেলমেট পরে আসা তিন দুষ্কৃতী গুলি করে পালিয়ে যায়। সন্ধ্যার দিকে পানিহাটিতে খুন করা হয় তৃণমূলের কাউন্সিলর অনুপম দত্ত। পানিহাটি পুরসভার আট নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কংগ্রেস কাউন্সিলর ছিলেন তিনি। পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জ থেকে গুলি করা হয় তাঁকে।
এই ঘটনা ঘিরে রাজ্য জুড়ে ছড়িয়েছে চাঞ্চল্য। সেই সঙ্গে প্রশ্ন উঠেছে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়েও। খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যের পুলিশমন্ত্রী। তাই মুখ্যমন্ত্রীকেই আক্রমণ করছেন বিরোধীরা। পালটা বিজেপির দিকে অভিযোগের আঙুল তুলেছে তৃণমূলের একাংশ। পানিহাটির ঘটনা শাসক দলের গোষ্ঠী কোন্দলের ফল বলেও গুঞ্জন ছড়িয়েছে এলাকায়।
বিধানসভায় বিক্ষোভের সময়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পাল বলেছেন, “পশ্চিমবঙ্গের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির হাল খুবই খারাপ হয়ে গিয়েছে।”
<
p style=”text-align: justify;”>অন্যদিকে, এই বিষয়টি নিয়ে সংসদে সরব হতে চলেছে বিজেপি। বালুরঘাটের সাংসদ তথা রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেছেন, “১৯৭২ থেকে ৭৭ সাল পর্যন্ত কংগ্রেস জমানায় বাংলার যা অবস্থা ছিল তৃণমূল রাজ্যটাকে ফের তেমন অবস্থায় নিয়ে যেতে চাইছে। যদি প্রকাশ্যে জনপ্রতিনিধিকে খুন হতে হয় তাহলে সাধারণ মানুষের কী অবস্থা? এই বিষয়টি নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের বিবেচনা করা উচিত। লোকসভায় আমরা বিজেপির সাংসদেরা এই বিষয়ে উত্থাপন করার চেষ্টা করব।”