DRDO: ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে চলমান উত্তেজনার মধ্যে ভারতীয় বায়ুসেনার জন্য সুখবর। ভারত এমন একটি ক্ষেপণাস্ত্র তৈরি করছে যার কার্যকর পাল্লা প্রায় ৩০০ কিলোমিটার। এই ক্ষেপণাস্ত্রটি ডিআরডিও দ্বারা তৈরি করা হচ্ছে, এটি তার উন্নয়নের শেষ পর্যায়ে রয়েছে। এই ক্ষেপণাস্ত্রটি কেবল ভারতীয় বায়ুসেনার (IAF) শক্তি বৃদ্ধি করবে না বরং আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক পর্যায়ে বিমান যুদ্ধের ক্ষেত্রেও একটি নতুন দিকনির্দেশনা দেবে।
Astra MK-III ক্ষেপণাস্ত্র প্রস্তুত হতে চলেছে
এই ক্ষেপণাস্ত্রের নাম Astra MK-III। এই ক্ষেপণাস্ত্রটি ‘গাণ্ডীব’ নামেও পরিচিত। ‘গাণ্ডীব’ নামটি মহাভারতের বিখ্যাত চরিত্র অর্জুনের ধনুকের দ্বারা অনুপ্রাণিত। যোদ্ধা অর্জুনের ধনুক যেমন শক্তি, নির্ভুলতা এবং অজেয়তার প্রতীক হিসেবে বিবেচিত হয়, তেমনি এই ক্ষেপণাস্ত্রটিও তার শক্তির জন্য পরিচিত। এটি একটি বিয়ন্ড ভিজ্যুয়াল রেঞ্জ এয়ার-টু-এয়ার মিসাইল (BVRAAM)। এতে এমন প্রযুক্তি রয়েছে যা ক্ষেপণাস্ত্রটিকে প্রচলিত রকেট মোটরের চেয়ে দীর্ঘ দূরত্বের জন্য উচ্চ গতি বজায় রাখতে সাহায্য করে।
ভারতের Astra MK-III ‘Gandiva’-এর বৈশিষ্ট্য –
- এই ক্ষেপণাস্ত্রটি ৩০০ কিলোমিটারেরও বেশি দূরত্বের লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে পারে। বিশেষ পরিস্থিতিতে এটি ৩৪০ কিলোমিটার পর্যন্ত পাল্লা অর্জন করতে পারে।
- এটি ম্যাক ৪.৫ (শব্দের গতির ৪.৫ গুণ) গতিতে উড়তে পারে। এটি বিশ্বের দ্রুততম আকাশ থেকে আকাশে নিক্ষেপযোগ্য ক্ষেপণাস্ত্রগুলির মধ্যে একটি।
- এর ওজন মাত্র ২২০ কেজি। এটি দিয়ে যুদ্ধবিমান সজ্জিত করা সহজ।
- এই ক্ষেপণাস্ত্রটি তার উচ্চতা ±১০ কিলোমিটার পরিবর্তন করতে পারে। এর অর্থ হল এটি উঁচু এবং নিচু উভয় লক্ষ্যবস্তুকেই লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করতে পারে।
- এই ক্ষেপণাস্ত্রটিতে সক্রিয় রাডার সিকার এবং দ্বি-মুখী ডেটা লিঙ্ক ব্যবহার করা হয়েছে।
পাক হুমকি বোধ করছে
গাণ্ডীবের ৩০০-৩৪০ কিমি পাল্লার কারণে এটি চিনের পিএল-১৫ এবং মার্কিন এআইএম-১৭৪ ক্ষেপণাস্ত্রের চেয়ে কয়েকগুণ দ্রুতগতির। পাকিস্তানি বিশ্লেষকরাও এই ক্ষেপণাস্ত্রটিকে তাদের বায়ুসেনার জন্য হুমকি বলে মনে করছেন। তাদের বিদ্যমান ক্ষেপণাস্ত্র যেমন AIM-120C AMRAAM (105-120 কিমি) এবং PL-12 (100 কিমি) ভারতীয় Astra MK-III এর বিরুদ্ধে ব্যর্থ হবে।