ITR Filing Deadline: ৩১ জুলাই শেষ তারিখ ITR ফাইলিং-এর, জানুন বিস্তারিত

ITR Filing Deadline: অর্থবছর ২০২৪-২৫ এর জন্য মূল্যায়ন বছর ২০২৫-২৬-এ আয়কর দপ্তর ইতিমধ্যেই আইটিআর-১ ও আইটিআর-৪ ফর্ম প্রকাশ করেছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, আগামী সপ্তাহ থেকেই আয়কর…

ITR Filing Deadline is July 31

ITR Filing Deadline: অর্থবছর ২০২৪-২৫ এর জন্য মূল্যায়ন বছর ২০২৫-২৬-এ আয়কর দপ্তর ইতিমধ্যেই আইটিআর-১ ও আইটিআর-৪ ফর্ম প্রকাশ করেছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, আগামী সপ্তাহ থেকেই আয়কর রিটার্ন ফাইলিং শুরু হতে পারে। কারণ, জুলাই ৩১-এর শেষ সময়সীমার মধ্যে ফাইলিং সম্পূর্ণ করার জন্য এখনই প্রক্রিয়া শুরু হওয়া প্রয়োজন।

সাধারণত, মূল্যায়ন বছর শুরু হওয়ার আগেই ফেব্রুয়ারি-মার্চ মাসে আইটিআর ফর্ম প্রকাশ পায় এবং এপ্রিল মাস থেকেই রিটার্ন দাখিল শুরু হয়। কিন্তু এবছর সরকারের কিছু নতুন পরিবর্তনের কারণে এই প্রক্রিয়া বিলম্বিত হয়েছে। যদিও ২৯ এপ্রিল ২০২৫-২৬ মূল্যায়ন বছরের জন্য আইটিআর-১ ও আইটিআর-৪ ফর্ম নোটিফাই করা হয়েছে, বিশেষজ্ঞদের মতে রিটার্ন ফাইলিং আগামী সপ্তাহ থেকে চালু হবে।

   

আইটিআর ফাইলিংয়ের শেষ তারিখ জুলাই ৩১

যেসব করদাতার অডিট বাধ্যতামূলক নয়, তাঁদের জন্য রিটার্ন দাখিলের শেষ তারিখ ৩১ জুলাই ২০২৫। যদিও রিটার্ন দাখিলের প্রক্রিয়া এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয়নি, তবে করদাতারা প্রস্তুতি নিতে শুরু করে দিতে পারেন।

এছাড়াও, যেসব ব্যক্তি তালিকাভুক্ত ইক্যুইটি থেকে সর্বাধিক ১.২৫ লক্ষ টাকার দীর্ঘমেয়াদি মূলধনী লাভ (LTCG) করেছেন, তাঁরা এবার আইটিআর-১ ফর্ম ব্যবহার করে রিটার্ন দাখিল করতে পারবেন। এই নতুন নিয়মটি ছোট বিনিয়োগকারীদের জন্য একটি বড় সুবিধা।

আইটিআর-১: কারা জমা দিতে পারবেন?

নতুন নোটিফিকেশন অনুযায়ী, আইটিআর-১ ফর্ম ব্যবহার করতে পারবেন এমন করদাতারা হলেন:

  • যাঁদের বার্ষিক মোট আয় ৫০ লক্ষ টাকার মধ্যে।
  • আয় শুধুমাত্র বেতন, একটি আবাসিক সম্পত্তি থেকে ভাড়া, পারিবারিক পেনশন, এবং অন্যান্য উৎস (যেমন সঞ্চয় অ্যাকাউন্টের সুদ) থেকে।
  • তালিকাভুক্ত শেয়ারে ১.২৫ লক্ষ টাকার মধ্যে দীর্ঘমেয়াদি মূলধনী লাভ (Section 112A)।
  • কৃষি আয় ৫,০০০ টাকার মধ্যে।

তবে এই ফর্ম ব্যবহার করা যাবে না যদি করদাতার শর্ট-টার্ম ক্যাপিটাল গেইন থাকে, ১.২৫ লক্ষ টাকার বেশি মূলধনী লাভ থাকে, বা পূর্ববর্তী বছরের লোকসান বহন করতে হয়।

আইটিআর-৪: কারা জমা দিতে পারবেন?
আইটিআর-৪ ফর্ম মূলত তাঁদের জন্য যারা ব্যবসা বা পেশাগত আয় ধারা ৪৪এডি, ৪৪এডিএ বা ৪৪এই অনুযায়ী অনুমান ভিত্তিতে রিটার্ন দাখিল করেন। এ ফর্ম ব্যবহার করতে পারবেন:

  • ব্যক্তি, হিন্দু অবিভক্ত পরিবার (HUF) বা ফার্ম (LLP ছাড়া)।
  • যাঁদের বার্ষিক মোট আয় ৫০ লক্ষ টাকার মধ্যে।
  • অনুমান ভিত্তিক ব্যবসা বা পেশা থেকে আয়।
  • একটিমাত্র বাড়ি থেকে আয়, কৃষি আয় (৫,০০০ টাকার মধ্যে)।
  • তালিকাভুক্ত শেয়ারে দীর্ঘমেয়াদি মূলধনী লাভ ১.২৫ লক্ষ টাকার মধ্যে।
  • অন্যান্য উৎস থেকে আয়, যেমন: সঞ্চয়ী অ্যাকাউন্ট থেকে সুদ, ইনকাম ট্যাক্স রিফান্ডের উপর সুদ, পারিবারিক পেনশন, ইত্যাদি।

Section 112A অনুযায়ী LTCG-এর নতুন সুবিধা

Section 112A অনুযায়ী, তালিকাভুক্ত ইক্যুইটি শেয়ার, ইক্যুইটি ওরিয়েন্টেড মিউচুয়াল ফান্ড এবং বিজনেস ট্রাস্ট থেকে অর্জিত দীর্ঘমেয়াদি মূলধনী লাভের উপর কর ধার্য হয়। বর্তমানে ১২.৫% হারে LTCG কর বসানো হয়, তবে ১.২৫ লক্ষ টাকার মধ্যে লাভ করমুক্ত।

আইটিআর-১ ও আইটিআর-৪ ফর্মে এই ছাড় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে, যা ছোট বিনিয়োগকারীদের জন্য রিটার্ন দাখিল প্রক্রিয়া সহজ করেছে।

ফর্ম ১৬-এর গুরুত্ব:
যদিও আইটিআর ফাইলিং শুরু হবে আগামী সপ্তাহ থেকে, অধিকাংশ বেতনভোগী ব্যক্তি ফাইলিং শুরু করতে পারবেন জুন মাসের মাঝামাঝি সময় থেকে, কারণ তখনই তাঁরা তাঁদের নিয়োগকর্তার কাছ থেকে ফর্ম ১৬ পাবেন। ফর্ম ১৬ হলো এমন একটি নথি যা বেতনের বিস্তারিত বিবরণ এবং উৎসে কর কর্তনের (TDS) হিসাব দেয়। নিয়ম অনুযায়ী, ১৫ জুন ২০২৫-এর মধ্যে ফর্ম ১৬ প্রদান বাধ্যতামূলক।

এই বছর আয়কর রিটার্ন ফাইলিং প্রক্রিয়া কিছুটা দেরিতে শুরু হলেও, করদাতাদের প্রস্তুতি নিয়ে রাখতে হবে। যাঁরা আইটিআর-১ বা আইটিআর-৪ ফর্মের আওতায় পড়েন, তাঁদের জন্য ফাইলিং প্রক্রিয়া আরও সহজ হয়েছে নতুন নিয়মে। তবে সময়মতো ফাইলিং সম্পূর্ণ করতে হলে, প্রয়োজনীয় নথি ও তথ্য আগেভাগে প্রস্তুত রাখা জরুরি।