Indian Football: ভারর্তীয় ফুটবলে বড় পরিবর্তন কী?

নিশ্চিতভাবেই ভারতের ফুটবলের (Indian Football) সামনে এখন এক গুরুত্বপূর্ণ সন্ধিক্ষণ। সর্বোচ্চ আদালতের স্পষ্ট বার্তায় পরিষ্কার হয়ে গেছে—ভারতীয় ফুটবল ফেডারেশনের (AIFF) বর্তমান প্রশাসন আর কোনো গুরুত্বপূর্ণ…

Indian-Football-Team will play against Bangladesh in AFC Asian Cup 2027 Qualifiers Group Match

নিশ্চিতভাবেই ভারতের ফুটবলের (Indian Football) সামনে এখন এক গুরুত্বপূর্ণ সন্ধিক্ষণ। সর্বোচ্চ আদালতের স্পষ্ট বার্তায় পরিষ্কার হয়ে গেছে—ভারতীয় ফুটবল ফেডারেশনের (AIFF) বর্তমান প্রশাসন আর কোনো গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিতে পারবে না। এফএসডিএল (FSDL) সঙ্গে ইন্ডিয়ান সুপার লিগ (ISL)-এর ভবিষ্যৎ নিয়ে আলোচনাও বন্ধ। এর মানে, সামনে নির্বাচন এবং জুলাইয়ের মাঝামাঝি সময়ের মধ্যে সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) চূড়ান্ত রায় আসার সম্ভাবনা রয়েছে, যা নির্ধারণ করবে পরবর্তী পদক্ষেপ ও নির্বাচনের সময়সূচী।

পহেলগাঁও জঙ্গি হামলার জেরে ক্রীড়াক্ষেত্রে বড় সিদ্ধান্ত মোদী সরকারের

   

গত এক-দেড় বছরে জাতীয় দলের পারফরম্যান্স ছিল অত্যন্ত হতাশাজনক। অনিয়মিত প্রস্তুতি শিবির, ভুল সিদ্ধান্ত, এবং ক্লাব বনাম দেশের বিতর্ক আবার সামনে এসেছে। এই সময়ের মধ্যেই ফেডারেশনের বিরুদ্ধে একের পর এক দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। যদিও সভাপতি কল্যাণ চৌবে ও তাঁর নেতৃত্বাধীন প্রশাসন সব অভিযোগ অস্বীকার করে এসেছে, তবুও সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে এখন সময় হয়েছে এক নিরপেক্ষ ও শক্তিশালী রিবুটের।

প্রধান প্রশ্ন এখন—এই রিবুট কেমন হবে? নির্বাচনের পর কি নতুন নেতৃত্ব ফুটবলে নতুন প্রাণ সঞ্চার করতে পারবে? মাঠের বাইরে যদি প্রশাসনিক স্বচ্ছতা, এবং মাঠের ভিতরে দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা ও পেশাদারিত্ব না আসে, তাহলে ভারতের ফুটবল আবার সেই একই জায়গায় ফিরে যাবে।

বঙ্গকন্যার হাত ধরে পহেলগাঁওয়ে ‘জঙ্গি হামলার’ বদলা ভারতের!

AIFF ও FSDL চুক্তি ২০২৫ সালের ডিসেম্বরেই শেষ হচ্ছে। এখন প্রশ্ন হচ্ছে, এই চুক্তির ভবিষ্যৎ কী? ISL কীভাবে পরিচালিত হবে? সম্প্রচার স্বত্ব কাদের হাতে যাবে? কি ধরনের বিনিয়োগ আসবে? এবং এই লিগ কতটা প্রভাব ফেলবে ভারতের জাতীয় দলের ওপর?

বর্তমানে ফেডারেশনের কমিটি কেবল একটি অন্তর্বর্তীকালীন কমিটি। ফলে, তাদের হাতে কোনো বড় সিদ্ধান্ত নেওয়ার অধিকার নেই। এর ফলে, জুলাই থেকে সেপ্টেম্বরের মধ্যে হয়তো এফএসডিএল ও AIFF-এর মধ্যে নানা আলোচনার মাধ্যমে নতুন কোনো রূপরেখা তৈরি হতে পারে।

আরেকটি বড় ইস্যু হল আই-লিগের শিরোপা বিতর্ক ও অন্যান্য ঘরোয়া প্রতিযোগিতার অব্যবস্থাপনা। ভবিষ্যতে এমন লজ্জাজনক পরিস্থিতি এড়াতে AIFF-এর পরিচালনার মধ্যে স্বচ্ছতা ও দায়িত্ববোধ আসা জরুরি। বড় ক্লাবগুলো যেন জাতীয় দলের শিবিরে খেলোয়াড় ছাড়ে, সে জন্য একটি সুসমন্বিত সময়সূচী দরকার। ক্লাব বনাম দেশের দ্বন্দ্ব নতুন কিছু নয়, কিন্তু এর সমাধান ছাড়া উন্নয়ন অসম্ভব।

রাজস্থান ম্যাচের পূর্বে বড় ধাক্কা মুম্বই শিবিরে! মাঠের বাইরে ‘চায়নাম্যান স্পিনার’

ভারতের মতো একটি বিশাল দেশ, যেখানে অগণিত ফুটবলপ্রেমী রয়েছেন, সেখানে ফুটবলকে উন্নতির পথে নিয়ে যাওয়ার দায়িত্ব ফেডারেশনের। এটি কেবল একটি খেলা নয়, এটি স্বপ্ন, আবেগ ও দেশের গর্ব।

সব মিলিয়ে, এখন সময় এসেছে একটি সাহসী ও দুর্নীতিমুক্ত নেতৃত্বের। আদালতের রায়, নির্বাচন ও পরবর্তী পদক্ষেপ—এই তিনটি বিষয় নির্ধারণ করবে ভারতের ফুটবলের ভবিষ্যৎ। ফুটবলপ্রেমীদের এখন একটাই আশা—এই রায় যেন যত দ্রুত সম্ভব আসে এবং একটি নতুন সূচনা হয় ভারতীয় ফুটবলের জন্য।