দৃষ্টিনন্দন ফুটবলের মধ্য দিয়ে এবারের সুপার কাপ শুরু করেছিল মোহনবাগান (Mohun Bagan) সুপার জায়ান্ট। ইন্ডিয়ান সুপার লিগের পাশাপাশি লিগ শিল্ড জয় করে আগেই ইতিহাস সৃষ্টি করে ফেলেছিল কলকাতা ময়দানের এই প্রধান। তারপর এই সর্বভারতীয় ফুটবল টুর্নামেন্টের দিকে নজর ছিল সকলের। আসলে এই টুর্নামেন্টে সাফল্য আসলে এক মরসুমে ত্রিমুকুট জয় করতে পারত মোহনবাগান। কিন্তু সেটা সম্ভব হল না। দেশের প্রথম ডিভিশন ফুটবল লিগ শেষ হওয়ার পর থেকেই শোনা যাচ্ছিল যে অধিকাংশ তরুণ ফুটবলারদের সামনে রেখেই সুপার কাপ খেলতে যাবে দল। সেটাই হয়েছিল শেষ পর্যন্ত।
জুনিয়র দলের কোচ বাস্তব রায়ের হাতে তুলে দেওয়া হয় দলের দায়িত্ব। যেখানে রিজার্ভ দলের ফুটবলারদের পাশাপাশি বেশ কিছু সিনিয়র ফুটবলারদের রেখেছিলেন এই বাঙালি কোচ। প্রথম ম্যাচে বাই পাওয়ার জন্য অনায়াসেই পরবর্তী রাউন্ড তথা কোয়ার্টার ফাইনালে চলে গিয়েছিল মোহনবাগান। যেখানে তাঁদের প্রতিপক্ষ হিসেবে ছিল ডেভিড কাতলার শক্তিশালী কেরালা ব্লাস্টার্স। নোয়া সাদাউ থেকে শুরু করে জেসুস জেমিনেজের মতো ফুটবলাররা সেই দলে থাকলেও খুব একটা প্রভাব পড়েনি ম্যাচের মধ্যে। অতি সহজেই তাঁদের বিপক্ষে এসেছিল জয়। সেই সুবাদে সেমিফাইনালে স্থান করে নিয়েছিল সবুজ-মেরুন।
Also Read | নজর এএফসি! সাত বিদেশি সই করানোর পথে সবুজ-মেরুন
বুধবার সন্ধ্যায় সেমিফাইনালে মানোলো মার্কুয়েজের শক্তিশালী এফসি গোয়ার বিপক্ষে খেলতে নেমেছিল মোহনবাগান। প্রথমদিকে অভূতপূর্ব ছন্দে দলের ফুটবলাররা ধরা দিলেও শেষ পর্যন্ত সেটা বজায় থাকেনি। দুইটি গোলের ব্যবধানে এই ম্যাচে জয় ছিনিয়ে নেয় এফসি গোয়া। যারফলে আইএসএলে সাফল্য না এলেও এবারের এই ফুটবল টুর্নামেন্টে নিজেদের সেরাটা উজার করে দিতে মরিয়া মানোলো মার্কুয়েজের ছেলেরা। অপরদিকে দল পরাজিত হলেও ছেলেদের খেলায় যথেষ্ট খুশি বাগান কোচ।
ম্যাচ শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বাস্তব রায় বলেন, ” আমরা এই ম্যাচটা পরাজিত হয়েছি। এটাই সবচেয়ে বড় সত্যি। কিন্তু আমাদের দলের ছেলেরা যেভাবে লড়াই করেছে যে ফুটবল প্রদর্শন করেছে সেই নিয়ে আমি যথেষ্ট খুশি। ম্যাচের প্রথমার্ধ যথেষ্ট ভালো ছিল। কিন্তু দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকেই প্রতিপক্ষ দল চাপ বাড়াতে শুরু করেছিল। সেখান থেকেই আমাদের গোল হজম করতে হয়। সেখান থেকে ফিরে আসা সহজ ছিল না আমাদের ছেলেদের কাছে। এসেছে অভিজ্ঞতা বিরাট বড় একটা পার্থক্য গড়ে দিয়েছিল। এবারেরই সুপার কাপে আমরা মূলত আমাদের দলের তরুণ ফুটবলারদের সুযোগ দেওয়ার পাশাপাশি নিজেদের মেলে ধরার মঞ্চ হিসেবেই গণ্য করেছি। সবদিক থেকে বলতে গেলে আমাদের ছেলেরা লড়াই করেছে। আমি ছেলেদের খেলায় সন্তুষ্ট।”