পাকিস্তান-ভিত্তিক সাইবার (cyber) হ্যাকাররা ভারতের সাইবার সার্বভৌমত্ব লঙ্ঘনের আরেকটি প্রচেষ্টায় ব্যর্থ হয়েছে। পহেলগাঁও জঙ্গি হামলায় পাকিস্তানের স্পষ্ট ছাপ থাকার পর, পাকিস্তানি বাহিনী প্রতিদিন লাইন অফ কন্ট্রোল (এলওসি) তে যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করছে। এখন, জাতীয় নেটওয়ার্কগুলি অভেদ্য পাওয়ার পর, পাকিস্তান তার প্রচেষ্টাকে জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত কল্যাণ ও শিক্ষা সংক্রান্ত ওয়েবসাইটগুলির দিকে পুনর্নির্দেশ করেছে।
ইন্টারনেট অফ খিলাফাহ
“আইওকে হ্যাকার” – ইন্টারনেট অফ খিলাফাহ নামে পরিচিত এই গোষ্ঠী ওয়েবপেজ বিকৃত করতে, অনলাইন পরিষেবা ব্যাহত করতে এবং ব্যক্তিগত তথ্য সংগ্রহের চেষ্টা করেছিল। ভারতের স্তরবিশিষ্ট সাইবার নিরাপত্তা কাঠামো এই অনুপ্রবেশগুলি রিয়েল-টাইমে সনাক্ত করেছে এবং দ্রুত তাদের উৎপত্তি পাকিস্তানে খুঁজে পেয়েছে।
গোয়েন্দা সূত্র জানায়, চারটি সম্পর্কিত ঘটনা নিশ্চিত হয়েছে। আর্মি পাবলিক স্কুল (এপিএস) শ্রীনগর এবং এপিএস রানিকেটের ওয়েবসাইট দুটিই উস্কানিমূলক প্রচারণার লক্ষ্যবস্তু ছিল। এপিএস শ্রীনগর একটি ডিস্ট্রিবিউটেড-ডিনায়াল-অফ-সার্ভিস (ডিডিওএস) হামলার সম্মুখীন হয়।
আর্মি ওয়েলফেয়ার হাউজিং অর্গানাইজেশন (cyber)
এছাড়া, আর্মি ওয়েলফেয়ার হাউজিং অর্গানাইজেশন (এডব্লিউএইচও) ডাটাবেসে অনুপ্রবেশের চেষ্টা এবং ভারতীয় বিমান বাহিনীর প্লেসমেন্ট অর্গানাইজেশন পোর্টালে আপস করার সমান্তরাল প্রচেষ্টা সনাক্ত করা হয় (cyber)। এই চারটি সাইটই দ্রুত বিচ্ছিন্ন করা হয় এবং পুনরুদ্ধারমূলক পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়। কোনো পরিচালন বা শ্রেণীবদ্ধ নেটওয়ার্ক কোনো পর্যায়ে প্রভাবিত হয়নি।
পহেলগাঁও হামলার প্রত্যাঘাত শানাতে জরুরি বৈঠক নয়া দিল্লিতে
ব্যর্থ প্রচেষ্টা এবং তার সীমাবদ্ধতা
এই ব্যর্থ প্রচেষ্টাগুলি প্রতিপক্ষের উদ্দেশ্য এবং তার সীমাবদ্ধতা উভয়ই তুলে ধরে (cyber)। ভারতীয় সেনাবাহিনী তার ডিজিটাল স্থান রক্ষায় দৃঢ়প্রতিজ্ঞ, ক্রমাগত তার সাইবার ভঙ্গিমা উন্নত করছে এবং সৈনিক ও তাদের পরিবারের কল্যাণ সুরক্ষিত করছে। এই ঘটনাগুলি ভারতের শক্তিশালী সাইবার প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার কার্যকারিতা প্রদর্শন করে, যা গুরুত্বপূর্ণ জাতীয় নেটওয়ার্কগুলিকে অভেদ্য রাখতে সক্ষম।
এদিকে, পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর উস্কানিমূলক আগ্নেয়াস্ত্র নিক্ষেপের জবাবে ভারতীয় সেনাবাহিনী কার্যকরভাবে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে। ২৮-২৯ এপ্রিল রাতে কুপওয়ারা, বারামুলা এবং জম্মুর আখনুর সেক্টরের বিপরীতে এলওসি-তে পাকিস্তানি সেনাবাহিনী অযাচিতভাবে আগ্নেয়াস্ত্র নিক্ষেপ করে। ভারতীয় সৈন্যরা দ্রুত এবং কার্যকরভাবে এই উস্কানির জবাব দেয়।
এটি টানা পঞ্চম দিন যে পাকিস্তানি সেনাবাহিনী এলওসি-তে অযাচিতভাবে গুলি চালিয়েছে। এর আগে, ২৭-২৮ এপ্রিল রাতে কুপওয়ারা এবং পুঞ্চ জেলার বিপরীতে এলওসি-তে পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর গুলির জবাবে ভারতীয় সেনাবাহিনী কার্যকরভাবে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছিল।
২২ এপ্রিল পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলায় ২৬ জন নিহত হওয়ার পর কাশ্মীর উপত্যকায় সন্ত্রাসবিরোধী অভিযান তীব্র করা হয়েছে। এই হামলা, যার দায় স্বীকার করেছে লস্কর-ই-তৈয়বার শাখা দ্য রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট (টিআরএফ), ভারত-পাকিস্তান সম্পর্কে নতুন উত্তেজনা সৃষ্টি করেছে।
হামলার পর ভারত পাকিস্তানি নাগরিকদের জন্য সব ধরনের ভিসা বাতিল করেছে এবং ইন্দুস ওয়াটার ট্রিটি স্থগিত করেছে। পাকিস্তানও প্রতিশোধমূলকভাবে সিমলা চুক্তি স্থগিত, ভারতীয় এয়ারলাইন্সের জন্য আকাশপথ বন্ধ এবং দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য স্থগিত করেছে।
এলওসি-তে উত্তেজনা
এলওসি-তে উত্তেজনা উচ্চ পর্যায়ে রয়েছে। ভারতীয় সেনাবাহিনী পাকিস্তানের প্রতিটি উস্কানির জবাব দিতে প্রস্তুত। গত ২৫-২৬ এপ্রিল থেকে শুরু হওয়া এই যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনগুলি পাকিস্তানের ক্রমবর্ধমান আগ্রাসী ভঙ্গির ইঙ্গিত দেয়। ভারতীয় সেনাবাহিনীর এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর অযাচিত গুলির জবাবে ভারতীয় সেনাবাহিনী পরিমিত এবং কার্যকরভাবে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে।”
সাইবার (cyber) হামলার ক্ষেত্রে, ভারতের সাইবার নিরাপত্তা ব্যবস্থা তার কার্যকারিতা প্রমাণ করেছে। এপিএস শ্রীনগর এবং রানীক্ষেত ওয়েবসাইটে প্রচারিত প্রোপাগান্ডা এবং এডব্লিউএইচও ও ভারতীয় বিমান বাহিনীর প্লেসমেন্ট পোর্টালে অনুপ্রবেশের চেষ্টা দ্রুত সনাক্ত করা হয়।
এই ওয়েবসাইটগুলি ভারতীয় সেনাবাহিনীর অভ্যন্তরীণ নেটওয়ার্কের সঙ্গে সংযুক্ত নয়, তাই কোনো সংবেদনশীল তথ্য ফাঁস হয়নি। তবে, এই হামলাগুলি পাকিস্তানের উদ্দেশ্য এবং তার সীমাবদ্ধতা প্রকাশ করে।
ভারত সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে কঠোর
পহেলগাঁও হামলার পর ভারত সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নিয়েছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বলেছেন, “সন্ত্রাসী, তাদের হ্যান্ডলার এবং পৃষ্ঠপোষকদের পৃথিবীর যেকোনো প্রান্তে খুঁজে বের করে ন্যায়বিচারের আওতায় আনা হবে (cyber)।” জম্মু ও কাশ্মীরে সন্ত্রাসীদের বাড়ি ধ্বংস করার মতো পদক্ষেপের মাধ্যমে সন্ত্রাসবাদী নেটওয়ার্ক ভেঙে দেওয়ার প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।
এই ঘটনাগুলি ভারত-পাকিস্তান সম্পর্কে গভীর সংকটের ইঙ্গিত দেয়। ভারত তার সাইবার এবং ভৌত সীমানা রক্ষায় দৃঢ়প্রতিজ্ঞ, যখন পাকিস্তানের ক্রমাগত উস্কানি এই অঞ্চলের শান্তি ও স্থিতিশীলতার জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে।