বিরোধীদের ফোনে নজরদারি! পেগাসাস নিয়ে কী বলল সুপ্রিম কোর্ট?

Supreme Court on Pegasus নয়াদিল্লি: পেগাসাস স্পাইওয়্যার মামলার শুনানিতে সুপ্রিম কোর্ট বুধবার জানিয়েছে, জাতীয় নিরাপত্তার স্বার্থে কোনো দেশ স্পাইওয়্যার রাখলে তা দোষের কিছু নয়, বরং…

Supreme Court on Pegasus

Supreme Court on Pegasus

নয়াদিল্লি: পেগাসাস স্পাইওয়্যার মামলার শুনানিতে সুপ্রিম কোর্ট বুধবার জানিয়েছে, জাতীয় নিরাপত্তার স্বার্থে কোনো দেশ স্পাইওয়্যার রাখলে তা দোষের কিছু নয়, বরং মূল উদ্বেগের বিষয় হল এটি কাদের বিরুদ্ধে এবং কীভাবে ব্যবহৃত হচ্ছে। তবে ব্যক্তিগত নাগরিকদের বিরুদ্ধে যদি এই প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়ে থাকে, তাহলে তার তদন্ত হবে বলে জানিয়েছে আদালত।

দেশের নিরাপত্তা নিয়ে আপস নয়

বিচারপতি সূর্যকান্ত এবং বিচারপতি এন কোটীশ্বর সিংহের বেঞ্চ ২০২১ সালে দায়ের হওয়া একগুচ্ছ রিট পিটিশনের শুনানি করছিল। ওই মামলাগুলিতে অভিযোগ করা হয়েছিল, ইজরায়েলি স্পাইওয়্যার ‘পেগাসাস’ ব্যবহার করে সাংবাদিক, মানবাধিকার কর্মী ও রাজনীতিবিদদের ওপর নজরদারি চালানো হয়েছে। সেই প্রেক্ষিতেই আদালত মন্তব্য করে, “দেশ যদি স্পাইওয়্যার ব্যবহার করে, তাতে দোষ কোথায়? এটা কাদের বিরুদ্ধে ব্যবহৃত হচ্ছে, সেটাই আসল প্রশ্ন। আমরা দেশের নিরাপত্তা নিয়ে কোনো আপস করতে পারি না।”

   

সরকারের পক্ষে সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা শুনানিতে বলেন, “জঙ্গিদের কোনো গোপনীয়তার অধিকার থাকতে পারে না।” জবাবে বিচারপতি সূর্যকান্ত বলেন, “একজন সাধারণ নাগরিকের গোপনীয়তার অধিকার আছে, এবং তা সংবিধান দ্বারা সুরক্ষিত।”

ব্যক্তিগত উদ্বেগ অবশ্যই গুরুত্ব পাবে Supreme Court on Pegasus

আবেদকারীদের তরফে প্রবীণ আইনজীবী কপিল সিব্বল মার্কিন  যুক্তরাষ্ট্রের একটি জেলা আদালতের রায়ের উল্লেখ করেন, যেখানে বলা হয়েছিল, ইজরায়েলি সংস্থা NSO গ্রুপ হোয়াটসঅ্যাপে আক্রমণ চালিয়ে ‘পেগাসাস’ স্পাইওয়্যার ব্যবহার করেছে এবং সেই রায়ে ভারতকেও প্রভাবিত দেশ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছিল।

এ বিষয়ে বিচারপতি সূর্যকান্ত বলেন, ভারতের সুপ্রিম কোর্ট ইতিমধ্যেই এই বিষয়ে একটি বিস্তারিত রায় দিয়েছে এবং প্রাক্তন বিচারপতি আর ভি রাবীন্দ্রনের নেতৃত্বে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। আদালত আরও জানায়, সেই বিশেষজ্ঞ কমিটির রিপোর্ট জনসমক্ষে আনা যায় না, কারণ তা জনসাধারণের মধ্যে ‘রাস্তার বিতর্কে’ পরিণত হতে পারে।

আদালতের ভাষায়, “হ্যাঁ, ব্যক্তিগত উদ্বেগ অবশ্যই গুরুত্ব পাবে, কিন্তু সেই apprehension নিয়ে রাস্তায় আলোচনা করার মতো দলিল তৈরি করা যায় না।”

এই মামলার ভবিষ্যত শুনানিতে আদালত আরও বিশদ বিবেচনা করবে, তবে আপাতত দেশের নিরাপত্তা ও নাগরিকের গোপনীয়তার মধ্যে ভারসাম্য রক্ষার বিষয়টিই প্রধান বলে জানিয়েছে সর্বোচ্চ আদালত।

 Bharat: National security use okay, misuse against citizens will be probed. Hearing petitions on alleged spyware surveillance of journalists & activists.