ফাঁস পাক-মুখোশ! পাকিস্তান সেনার প্রাক্তন কমান্ডো পহেলগাঁও হামলার মূল ষড়যন্ত্রী

পাহেলগাঁওয়ে (Pahalgam attacker) ভয়াবহ জঙ্গি হামলার এক সপ্তাহ পেরিয়ে গেলেও প্রতিদিনই উঠে আসছে নতুন তথ্য, যা স্পষ্টভাবে ইঙ্গিত করছে পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই এবং সেনাবাহিনীর…

Pahalgam Attack Mastermind Was Former Pakistani Army Commando Deployed by ISI to Lashkar for Massacre

পাহেলগাঁওয়ে (Pahalgam attacker) ভয়াবহ জঙ্গি হামলার এক সপ্তাহ পেরিয়ে গেলেও প্রতিদিনই উঠে আসছে নতুন তথ্য, যা স্পষ্টভাবে ইঙ্গিত করছে পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই এবং সেনাবাহিনীর সরাসরি (Pahalgam attacker)  মদতের দিকে। ২২ এপ্রিলের ওই হামলায় ২৬ জন নিরীহ মানুষ নিহত হন, যাঁদের অধিকাংশই ছিলেন ভিনরাজ্য থেকে আসা পর্যটক।

   

তদন্তে উঠে এসেছে, এই নৃশংস হামলার মাস্টারমাইন্ড হল হাশিম মুসা — পাকিস্তান সেনাবাহিনীর স্পেশাল ফোর্স বা প্যারা কমান্ডোর (Pahalgam attacker) সাবেক সদস্য। বর্তমানে সে নিষিদ্ধ সংগঠন লস্কর-ই-তইবার সক্রিয় জঙ্গি। ভারতের গোয়েন্দা সূত্র ও এনআইএ (NIA)-এর তদন্তে এই তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।

লস্করের হাতে পাকিস্তানি কমান্ডো তুলে দিল আইএসআই

ভারতের গোয়েন্দা (Pahalgam attacker)  সংস্থাগুলি জানিয়েছে, পাকিস্তানের স্পেশাল সার্ভিস গ্রুপ (SSG)-এর হয়ে কাজ করা মুসাকে কাশ্মীরে পাঠানো হয়েছিল নির্দিষ্ট লক্ষ্য নিয়ে — যাতে সে নিরাপত্তা বাহিনী (Pahalgam attacker) ও ভিনরাজ্যের মানুষদের উপর হামলা চালাতে পারে। তাকে সরাসরি লস্কর-ই-তইবার হাতে তুলে দেয় পাকিস্তান সেনা ও আইএসআই, যা এই ঘটনায় তাদের সক্রিয় ভূমিকার প্রমাণ বহন করে।

এনআইএ-র হাতে আটক ১৫ জন কাশ্মীরি (Pahalgam attacker) ওভারগ্রাউন্ড ওয়ার্কার (OGWs)-এর জিজ্ঞাসাবাদে উঠে এসেছে, মুসা কেবল পাহেলগাঁও নয়, আরও দুটি ভয়াবহ হামলার সাথেও জড়িত।

একাধিক জায়গায় একই জঙ্গির ছায়া

২০২৪ সালের অক্টোবর মাসে গাগঙ্গির (গান্ডারবাল) ও বুঠা পাথরির (বারামুল্লা) হামলায় মোট ৯ জন নিহত হন — যাঁদের মধ্যে ছিলেন ৬ জন ভিনরাজ্যের (Pahalgam attacker) শ্রমিক, একজন চিকিৎসক, দু’জন সেনা সদস্য ও দু’জন আর্মি পোর্টার। এখন নিশ্চিত হওয়া গেছে, এই তিনটি হামলার মূল অভিযুক্ত এক এবং একই ব্যক্তি — হাশিম মুসা।

তাঁর সাথে ছিল আরও দুই কাশ্মীরি জঙ্গি (Pahalgam attacker) — জুনায়েদ আহমেদ ভাট ও আরবাজ মির, যারা পাকিস্তানে প্রশিক্ষণ নিয়ে এসেছিল। এই দুই জঙ্গিকে পরবর্তীতে নিরাপত্তা বাহিনী পৃথক এনকাউন্টারে নভেম্বর ও ডিসেম্বর ২০২৪ সালে নিকেশ করে।

পাহেলগাঁও হামলায় স্থানীয় সহযোগীদের নেটওয়ার্ক

তদন্তে আরও দেখা যাচ্ছে, দক্ষিণ কাশ্মীর (Pahalgam attacker) জুড়ে ছড়িয়ে থাকা OGW-দের একটি শক্তিশালী নেটওয়ার্ক এই হামলার পিছনে রয়েছে। তারা হামলাকারীদের (Pahalgam attacker) গাইড করে, আশ্রয় দেয় এবং অস্ত্র পরিবহনেও সহায়তা করে। পাহেলগাঁওর বৈসারান এলাকায় হামলার আগে স্থানীয়ভাবে রেকি বা রিকনেসেন্স করা হয় — পালানোর পথ ও লুকিয়ে থাকার স্থান নির্ধারণ করে দেওয়া হয় এই স্থানীয় সন্ত্রাস-সহযোগীদের মাধ্যমে।

আরও পাকিস্তানি জঙ্গির খোঁজ, সেনার হিট লিস্টে ১৪ জন

এখনও পর্যন্ত তদন্তে চার জঙ্গির (Pahalgam attacker) নাম নিশ্চিত হয়েছে — পাকিস্তানি হাশিম মুসা ও আলি ভাই, এবং স্থানীয় আদিল থোকার ও আসিফ শেখ। তবে OGW-দের জিজ্ঞাসাবাদে ইঙ্গিত মিলছে আরও পাকিস্তানি জঙ্গির উপস্থিতির।

কাশ্মীরের (Pahalgam attacker) নানা জেলায় বর্তমানে সক্রিয় রয়েছে বেশ কয়েকজন জঙ্গি, যাদের ভারতীয় সেনা ও জম্মু-কাশ্মীর পুলিশের নজরে রাখা হয়েছে। একটি হিট লিস্টে মোট ১৪ জন জঙ্গির নাম রয়েছে। তাদের মধ্যে রয়েছে —

  • সোপোর: আদিল রহমান

  • পুলওয়ামা: আমির নাজির ওয়ানি

  • শোপিয়ান: আসিফ আহমেদ, নাসির আহমেদ, শহিদ আহমেদ, আমির আহমেদ দার, আদনান দার

  • অনন্তনাগ: যুবায়ের আহমেদ ওয়ানি, হারুন রশিদ গনি

কাশ্মীর উপত্যকায় (Pahalgam attacker) ফের পাকিস্তান ও তার মদতপুষ্ট জঙ্গি সংগঠনের মরণখেলা সামনে এসেছে। পাহেলগাঁও হামলার তদন্ত যেমন পাকিস্তানের সরাসরি সংশ্লিষ্টতার প্রমাণ দিচ্ছে, তেমনই তুলে ধরছে স্থানীয় স্তরে সক্রিয় দেশবিরোধী শক্তির বাস্তব রূপ। ভারতের নিরাপত্তা বাহিনী এখন আরও বেশি সক্রিয়ভাবে প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করছে, যাতে উপত্যকায় আর কোনও জঘন্য হামলার পুনরাবৃত্তি না ঘটে।