পেটে ভাত নেই, তবু যুদ্ধের হুঙ্কার! চাল-মাংসের দাম আকাশছোঁয়া,বিপাকে পাকিস্তানের জনগণ

বর্তমান পাকিস্তানের অবস্থা যেন সেই প্রবাদ বাক্যের মতো—”ভাঁড়ে মা ভবানী” (Pakistan Food Crisis)। দেশের জনগণ যখন দু’বেলা পেট পুরে খেতে পারছে না, তখন সেই দেশের…

pakistan-faces-severe-food-and-medicine-crisis-as-trade-with-india-halts-prices-double-across-essentials

বর্তমান পাকিস্তানের অবস্থা যেন সেই প্রবাদ বাক্যের মতো—”ভাঁড়ে মা ভবানী” (Pakistan Food Crisis)। দেশের জনগণ যখন দু’বেলা পেট পুরে খেতে পারছে না, তখন সেই দেশের শাসকেরা (Pakistan Food Crisis) যুদ্ধের কথা বলছে! ভারতের বিরুদ্ধে পরমাণু হামলার হুমকি দিচ্ছে পাক নেতারা। অথচ দেশের অভ্যন্তরীণ হাল যে কী বেহাল, তা যেন দেখার সময় নেই তাদের।

খাদ্যপণ্যের অগ্নিমূল্য

   

বর্তমানে পাকিস্তানের বাজারে (Pakistan Food Crisis) নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্যদ্রব্যের দাম আকাশ ছুঁয়েছে। যেখানে ভারতে মুরগির মাংস পাওয়া যাচ্ছে প্রতি কেজি ₹২০০-₹২৫০ টাকায়,(Pakistan Food Crisis) সেখানে পাকিস্তানে সেটি বিক্রি হচ্ছে প্রায় ৭৯৮ পাকিস্তানি । শুধু তাই নয়, চালের দাম প্রতি কেজি ৩৩৯ টাকা ডিমের দাম ডজন প্রতি ৩৩২ টাকা, দুধের দাম (Pakistan Food Crisis) প্রতি লিটার ২২৪ টাকা, আর ৫০০ গ্রাম পাউরুটি কিনতে লাগছে ১৬১ টাকা (Pakistan Food Crisis)

সবজি এবং ফলমূলের অবস্থাও তথৈবচ। আলু কেজি প্রতি ১০৫ টাকা, (Pakistan Food Crisis) আপেল কেজি প্রতি ২৮৮ টাকা(Pakistan Food Crisis), কলা কেজি প্রতি ১৭৬ টাকা—এমন দামে কিনতে বাধ্য হচ্ছে সাধারণ মানুষ। মধ্যবিত্ত আর নিম্নবিত্ত পরিবারের পক্ষে এই দামে দৈনন্দিন খাবার জোগাড় করা কার্যত অসম্ভব হয়ে পড়েছে।

ভারতের সঙ্গে বাণিজ্য বন্ধ, কে মারলো কুড়ুল?

২০২৪-২৫ অর্থবর্ষেই ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে ৩৮৩৮.৫৩ কোটি টাকার (Pakistan Food Crisis) বাণিজ্য হয়েছিল। কিন্তু নতুন অর্থবর্ষ শুরু হতেই পাকিস্তান নিজে থেকেই ভারতের সঙ্গে বাণিজ্য স্থগিত করে দেয়। এর ফলে আটারি-ওয়াঘা সীমান্ত দিয়ে ভারত থেকে যে খাদ্যপণ্য, ওষুধ এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র আসত, তা পুরোপুরি বন্ধ হয়ে গেছে।

এই সিদ্ধান্ত পাকিস্তানের জন্য আত্মঘাতী হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, পাকিস্তানে প্রায় ৩০-৪০(Pakistan Food Crisis) শতাংশ ওষুধ ও ফার্মাসিউটিক্যাল পণ্য ভারত থেকেই আমদানি করা হতো। এখন বাণিজ্য বন্ধ হওয়ায় ওষুধ সংকটের সম্ভাবনা প্রবলভাবে তৈরি হয়েছে। অত্যাবশ্যকীয় পণ্যর ঘাটতি মানে সাধারণ মানুষের ভোগান্তি আরও বাড়বে।

যুদ্ধের হুঙ্কার, কিন্তু কেন?

এমন এক সময়ে যখন দেশের অর্থনীতি ভেঙে পড়েছে, সাধারণ মানুষ খাদ্যসঙ্কটে ভুগছে, তখন যুদ্ধের হুঙ্কার আসলে নজর ঘোরানোর চেষ্টা ছাড়া কিছুই নয়। শাসকশ্রেণি নিজেদের ব্যর্থতা ঢাকতে ভারত-বিরোধী উত্তেজনা সৃষ্টি করে জনসাধারণের দৃষ্টি সরিয়ে দিতে চাইছে।

কিন্তু প্রশ্ন হল—যেখানে জনগণের থালায় খাবার নেই, সেখানে যুদ্ধের জন্য রসদ আসবে কোথা থেকে? পরমাণু বোমা ছোড়ার আগে তো অন্তত নিজের দেশের মানুষের মুখে অন্ন তুলে দেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে।

পাকিস্তান যদি বাস্তবতা মেনে চলে এবং ভারত-বিরোধী আগ্রাসন থেকে সরে এসে প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে সহযোগিতামূলক সম্পর্ক স্থাপন করে, তবে তারা অনেক বেশি লাভবান হতে পারে। যুদ্ধের হুঙ্কার তুলে সাধারণ মানুষের দুর্দশা আরও বাড়ানো ছাড়া আর কিছু হবে না।

বর্তমানে পাকিস্তানের যা অর্থনৈতিক ও সামাজিক অবস্থা, তাতে একটাই কথা বলা চলে—যুদ্ধ নয়, দরকার ভাতের থালা ভর্তি করা