কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলার (Kashmir Attack) ঘটনার পর গোটা উপত্যকায় নতুন করে ছড়িয়েছে আতঙ্ক। হামলার প্রেক্ষিতে জঙ্গি (Kashmir Attack) দমন এবং প্রতিরক্ষা কৌশল নিয়ে আজই কেন্দ্রের তরফে নেওয়া হতে পারে বড় সিদ্ধান্ত। শুক্রবার বিকেল ৪টেয় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের বাসভবনে একটি উচ্চপর্যায়ের বৈঠক ডাকা হয়েছে, যা ঘিরে রাজনৈতিক ও কৌশলগত মহলে চরম উত্তেজনা।
এই বৈঠকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক ছাড়াও উপস্থিত থাকবেন বিদেশ মন্ত্রকের শীর্ষ আধিকারিক, সেনা, নৌসেনা ও নিরাপত্তা সংস্থার গুরুত্বপূর্ণ প্রতিনিধি। গোটা পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে পহেলগাঁও হামলার প্রত্যাঘাত সংক্রান্ত কোনও পদক্ষেপ নেওয়া হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
সেনা-জঙ্গি সংঘর্ষে (Kashmir Attack) উত্তপ্ত কাশ্মীর, চলেছে লাগাতার তল্লাশি অভিযান
পহেলগাঁও (Kashmir Attack) হামলার পর থেকেই উপত্যকার বিভিন্ন এলাকায় শুরু হয়েছে তল্লাশি অভিযান। বিশেষ করে জম্মু ও কাশ্মীরের বান্দিপুরা জেলায় জঙ্গিদের গোপন ঘাঁটি খুঁজে বের করতে অভিযান চালাচ্ছে সেনা। বৃহস্পতিবার রাতেই একাধিক জায়গায় সেনা ও জঙ্গিদের মধ্যে গুলির লড়াই হয়। এখনও পর্যন্ত কিছু জঙ্গি নিহত হয়েছে বলেও সেনা সূত্রে দাবি।
আজ, শুক্রবার, সেনা প্রধান জেনারেল উপেন্দ্র দ্বিবেদী পহেলগাঁওয়ে (Kashmir Attack) পৌঁছে হামলার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করবেন। তিনি স্থানীয় সেনা কমান্ডারদের সঙ্গে একাধিক বৈঠক করে নিরাপত্তা পরিস্থিতির উপর রিভিউ করবেন। গোয়েন্দা সূত্রে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, হামলার পেছনে পাকিস্তান মদতপুষ্ট সংগঠনের জড়িত থাকার সম্ভাবনা থাকায় কেন্দ্রীয় সরকার বিশেষভাবে সতর্ক।
কাশ্মীরে (Kashmir Attack) আতঙ্কে পর্যটকরা, একদিনেই শ্রীনগর ছাড়লেন ১০ হাজার
পহেলগাঁওয়ে হামলার অভিঘাত শুধু নিরাপত্তা বলেই নয়, সাধারণ মানুষের মনে ভয় সৃষ্টি করেছে। হামলার ঠিক পরের দিন বৃহস্পতিবারই শ্রীনগর (Kashmir Attack) থেকে প্রায় ১০ হাজার পর্যটক রাজ্য ছেড়ে চলে গিয়েছেন। কাশ্মীরের পর্যটন শিল্প, যা গত কয়েক বছরে ধীরে ধীরে ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করেছিল, ফের অনিশ্চয়তার মুখে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা। স্থানীয় ব্যবসায়ী ও হোটেল মালিকরা এখনই সরকারের তরফে নির্দিষ্ট নিরাপত্তা পরিকল্পনার দাবি তুলেছেন।
সীমান্তে গুলির (Kashmir Attack) লড়াই, সেনা প্রস্তুতি তুঙ্গে
কাশ্মীরের সীমান্ত লাগোয়া এলাকায় গত ২৪ ঘণ্টায় একাধিকবার গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। নিয়ন্ত্রণরেখার কাছাকাছি সেনা ক্যাম্প এবং বাঙ্কারে বাড়তি সেনা মোতায়েন করা হয়েছে। প্রতিটি প্রবেশপথে নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। এমনকি ড্রোন ও উপগ্রহ চিত্র ব্যবহার করে গোটা এলাকায় নজর রাখা হচ্ছে।
বড় সিদ্ধান্তের আভাস
সবমিলিয়ে, আজ বিকেলের বৈঠক অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। একাধিক সূত্রের দাবি, এই বৈঠক থেকে সুনির্দিষ্ট প্রতিআক্রমণের নীতি ও কৌশল গৃহীত হতে পারে। বিশেষত, বিদেশ মন্ত্রক এবং নৌসেনা কর্মকর্তাদের উপস্থিতি ইঙ্গিত দিচ্ছে, সীমান্তের বাইরের প্রতিরক্ষা কৌশলও আলোচনায় আসবে।
কাশ্মীর(Kashmir Attack) নিয়ে ভারতের বর্তমান কূটনৈতিক ও প্রতিরক্ষা নীতি যে আর আগের মতো নরম নয়, তা আগেই স্পষ্ট হয়েছে। এবারও পহেলগাঁও হামলার জবাবে কড়া প্রতিক্রিয়া দেখাতে পারে কেন্দ্র।
পহেলগাঁওয়ের (Kashmir Attack) হামলা কেবল একটি বিচ্ছিন্ন সন্ত্রাসবাদী ঘটনা নয়—এর প্রভাব পড়েছে কাশ্মীরের সাধারণ মানুষের উপর, ভারতের নিরাপত্তার উপর, এমনকি দেশের আন্তর্জাতিক কূটনীতির উপরও। আজকের বৈঠক থেকে কী সিদ্ধান্ত উঠে আসে, সেদিকেই তাকিয়ে দেশ।