শেষ কয়েক সিজন ধরেই খুব একটা ছন্দে নেই কেরালা ব্লাস্টার্সের (Kerala Blasters)। আগে বেশ কয়েকবার আইএসএল চ্যাম্পিয়ন হওয়ার সুযোগ আসলেও সেটা কাজে লাগানো সম্ভব হয়নি দলের ফুটবলারদের পক্ষে। সেই মর্মে ইভান ভুকোমানোভিচের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করেছিল দক্ষিণের এই ফুটবল ক্লাব। তারপর এই সিজনের শুরুতে সুইডিশ কোচ মিকেল স্ট্যাহরের হাতে দলের দায়িত্ব তুলে দিয়েছিল কেরালা। কিন্তু তবুও খুব একটা সুবিধা করা সম্ভব হয়নি তাঁদের পক্ষে। ডুরান্ড কাপের কোয়ার্টার ফাইনাল থেকে ছিটকে যাওয়ার পর ইন্ডিয়ান সুপার লিগে ভালো পারফরম্যান্স করার লক্ষ্য ছিল দক্ষিণের এই ফুটবল ক্লাবের। কিন্তু সেটা সম্ভব হয়নি।
Also Read | এএফসি কোয়ালিফায়ারের আগে ভারতের প্রস্তুতি ম্যাচ থাইল্যান্ডে
দেশের এই প্রথম ডিভিশন ফুটবল লিগের শুরুতেই ধাক্কা খেতে হয়েছিল শক্তিশালী পাঞ্জাব এফসির কাছে। সেই হারের হতাশা ভুলে কলকাতা ময়দানের অন্যতম প্রধান তথা ইমামি ইস্টবেঙ্গলের বিপক্ষে দ্বিতীয় ম্যাচে জয় আসলে ও বজায় থাকেনি ধারাবাহিকতা। সময় যত এগিয়েছে প্রভাব পড়েছে দলের পয়েন্ট টেবিলে। ধীরে ধীরে তলানিতে গিয়ে ঠেকেছে দক্ষিণের এই ফুটবল ক্লাব। সেই নিয়ে ধৈর্য্যের বাঁধ ভেঙেছিল সমর্থকদের। যালফলে এই বিদেশি কোচ সহ সকল সাপোর্টিং স্টাফেদের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করে কেরালা। পরবর্তীতে থেক্কাথারা পুরুষোথামণ এবং টমাস টচর্জদের ততই আইএসএল অভিযান শেষ করে কেরালা।
Also Read | ছিটকে গেল বেঙ্গালুরু! কীভাবে ম্যাচের রঙ বদলালেন বাবোভিচ?
তবে সুপার কাপের আগেই নয়া কোচ নিয়োগ করেছে দক্ষিণের এই ফুটবল ক্লাব। সেই অনুযায়ী ডেভিড কাতলার হাত ধরেই এবার সাফল্য পেতে মরিয়া এই ক্লাব। গত কয়েকদিন আগেই কলিঙ্গ সুপার কাপের প্রি-কোয়ার্টার ফাইনালের ম্যাচে কলকাতা ময়দানের অন্যতম প্রধান তথা ইমামি ইস্টবেঙ্গলকে পরাজিত করে দক্ষিণের এই ফুটবল ক্লাব। সেই সুবাদে এবার কোয়ার্টার ফাইনালে স্থান করে নিয়েছে কেরালা ব্লাস্টার্স। যেখানে তাদের লড়াই করতে হবে কলকাতা ময়দানে আরেক প্রধান তথা ইন্ডিয়ান সুপার লিগ জয়ী দল মোহনবাগান সুপার জায়ান্টের সঙ্গে। সেই নিয়ে যথেষ্ট আশাবাদী আদ্রিয়ান লুনারা।
তবে ম্যাচের আগে যথেষ্ট আশাবাদী নোয়া সাদাউরা (Noah Sadaoui)। বিশেষ করে নয়া কোষের দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে নতুন করে যেন সাফল্য পাওয়ার স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছেন দলের ফুটবলাররা। ম্যাচের আগে একটি জনপ্রিয় মাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন, ” আমাদের সবচেয়ে বড় সমস্যা ছিল দল হিসেবে রক্ষণাত্মক না থাকা। অনেক জায়গা ছিল, এবং দলগুলো আমাদের সেই সুযোগ নিত। কিন্তু নতুন কোচের সাথে, আমরা রক্ষণাত্মক ফুটবল খেলার উপর মনোযোগ দিতে শুরু করেছি। যদি আমরা এভাবেই চলতে থাকি, তাহলে এই প্রতিযোগিতায় আমাদের কিছু বলার থাকবে।”