বুধবার ভুবনেশ্বরের কলিঙ্গ স্টেডিয়ামে ২০২৫ সুপার কাপের (Super Cup 2025) রাউন্ড-অফ-১৬ ম্যাচে ইন্টার কাশীর (Inter Kashi) মুখোমুখি হতে চলেছে বেঙ্গালুরু এফসি (Bengaluru FC)। এদিনের গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচটি বিকেল ৪:৩০টায় শুরু হবে। গত এক বছরে এটি হতে যাচ্ছে দুই দলের মধ্যে তৃতীয় মুখোমুখি লড়াই। আগেরবার গ্রুপ পর্যায়ে ১-১ গোলে ড্র হয়েছিল, পরে ডুরান্ড কাপে বেঙ্গালুরু ৩-০ ব্যবধানে জয়লাভ করে।
ম্যাচের আগের দিন সংবাদমাধ্যমে বেঙ্গালুরু কোচ জেরার্ড জারাগোজা বলেন, “ইন্টার কাশী আমাদের পরিচিত প্রতিপক্ষ। ওরা সুসংগঠিত ও প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ দল। এই গরমে বিকেলের ম্যাচ খেলা অতটা সহজ হবে না। তবে আমরা প্রস্তুত।”
সুপার কাপে ছয়জন বিদেশি খেলোয়াড় শুরুর একাদশে রাখার নিয়ম থাকায় বেঙ্গালুরুর আক্রমণে থাকবেন এডগার মেন্ডেজ, রায়ান উইলিয়ামস, হোর্হে পেরেইরা দিয়াজ এবং আলবের্তো নোগুয়েরা। দলে রয়েছেন ভারতের অন্যতম সেরা ফরোয়ার্ড ও অধিনায়ক সুনীল ছেত্রী, যিনি যে কোনো মুহূর্তে গোল করার ক্ষমতা রাখেন।
রক্ষণে অভিজ্ঞ অস্ট্রেলিয়ান ডিফেন্ডার আলেকজান্ডার ইয়োভানোভিচ শেষ পেশাদার টুর্নামেন্ট হিসেবে সুপার কাপে খেলছেন। তিনি এই টুর্নামেন্ট জয় করে ক্যারিয়ার শেষ করতে চান।
অন্যদিকে, ইন্টার কাশী এবার সুপার কাপ খেলতে নামছে তাদের প্রধান কোচ আন্তোনিও লোপেজ হাবাসকে ছাড়াই। দায়িত্বে থাকবেন সহকারী কোচ কার্লোস ফনসেকা। দলটি আই-লিগে দ্বিতীয় স্থানে থেকে এই প্রতিযোগিতায় এসেছে। তাদের দলে আছে আইএসএলে খেলার অভিজ্ঞতাসম্পন্ন খেলোয়াড়, যেমন গোলরক্ষক অরিন্দম ভট্টাচার্য, ডিফেন্ডার নারায়ণ দাস ও সার্থক গোলুই, মিডফিল্ডার জনি কাওকো এবং ফরোয়ার্ড প্রসান্ত করুথাডাথ্কুনি।
বেঙ্গালুরুর প্রাক্তন খেলোয়াড় বিদ্যাসাগর সিং ও এডমন্ড লালরিনডিকা এখন ইন্টার কাশীর আক্রমণে রয়েছেন, সঙ্গে আছেন স্প্যানিশ ফরোয়ার্ড মারিও বারকো। তবে দলের প্রধান কাণ্ডারি সার্বিয়ান মিডফিল্ডার নিকোলা স্তোজানোভিচ, যিনি আই-লিগে দলটির হয়ে সর্বাধিক ৯টি গোল করেছেন।
বেঙ্গালুরুর কোচ জারাগোজা বলেন, “আমরা জানি, এই টুর্নামেন্ট জিতলে এএফসি চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ২-এ খেলার সুযোগ মিলবে। সেটাই আমাদের জন্য বিশাল প্রেরণা। আমরা এই ক্লাবকে আবার এশিয়ার বড় মঞ্চে দেখতে চাই।”
দুই দলেরই দারুণ প্রস্তুতি ও প্রতিভাবান খেলোয়াড়দের উপস্থিতি ম্যাচটিকে করে তুলেছে উত্তেজনাপূর্ণ। বেঙ্গালুরু এফসি যেখানে অভিজ্ঞতা ও ঐতিহ্য নিয়ে নামছে, সেখানে ইন্টার কাশী তরতাজা আত্মবিশ্বাসে উজ্জীবিত। দুই দলের জন্যই এটি একটি পরীক্ষা – কে উঠবে কোয়ার্টার ফাইনালে, সেটা জানার জন্য ফুটবলপ্রেমীরা তাকিয়ে থাকবে কলিঙ্গ স্টেডিয়ামের দিকে।