ডায়মন্ড হারবার (Abhishek Banerjee) লোকসভা কেন্দ্রে স্বাস্থ্য পরিষেবাকে মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে চালু হয়েছিল ‘সেবাশ্রয়’ নামে এক ব্যতিক্রমী স্বাস্থ্য উদ্যোগ। গত ২ জানুয়ারি আনুষ্ঠানিকভাবে এই শিবিরের সূচনা হয় ডায়মন্ড হারবার বিধানসভা কেন্দ্রে। এই কর্মসূচি চলেছে টানা ৭৫ দিন, দুই দফায় সাতটি বিধানসভা কেন্দ্রে। লক্ষ লক্ষ মানুষ এই শিবিরগুলিতে এসে তাঁদের শারীরিক সমস্যার চিকিৎসা করান।
শুধুমাত্র সাধারণ স্বাস্থ্য পরীক্ষাই নয়, ‘সেবাশ্রয়’-(Abhishek Banerjee) এর মাধ্যমে বহু জটিল রোগের চিকিৎসাও করা হয়েছে। কলকাতার একাধিক হাসপাতালের পাশাপাশি বেঙ্গালুরুর মত দূরের শহরেও রোগীদের উন্নত চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে। চক্ষু সমস্যায় ভোগা বহু মানুষের ছানি অপারেশন থেকে শুরু করে চোখের চশমা প্রদান পর্যন্ত সবটাই হয়েছে বিনামূল্যে।
এই প্রকল্পের অন্যতম উদ্যোক্তা ডায়মন্ড হারবারের (Abhishek Banerjee) সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বারবার বলেছেন, মানুষের পাশে থাকা তাঁর দায় এবং কর্তব্য। তিনি শুধু প্রচারনির্ভর রাজনীতিতে বিশ্বাস করেন না, তাঁর মতে, বাস্তব কাজই মানুষের আস্থা অর্জনের একমাত্র পথ। এ কথারই বাস্তব প্রতিফলন ঘটেছে ‘সেবাশ্রয়’-এর মাধ্যমে।
শিবির আনুষ্ঠানিক ভাবে শেষ হয়ে গেলেও থেমে থাকেনি পরিষেবা। সোমবার (২২ এপ্রিল) একটি বেসরকারি চক্ষু চিকিৎসালয়ে ৯ জন প্রবীণ নাগরিকের নিখরচায় ছানি অপারেশন সম্পন্ন হয়। এই অপারেশনও ‘সেবাশ্রয়’-এর সেবা-ভাবনারই সম্প্রসারণ। শিবির চলাকালীন সময়ে যাঁরা চোখের সমস্যার কথা জানিয়েছিলেন, তাঁদের একে একে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে এবং প্রয়োজন অনুসারে অপারেশনের ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
এই ঘটনা তুলে ধরে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee) নিজের এক্স হ্যান্ডলে লেখেন, “গত ২ জানুয়ারি যখন ‘সেবাশ্রয়’ শুরু হয়েছিল, তখন নৈতিক ভাবে দেউলিয়া বিরোধীপক্ষ এই উদ্যোগকে এক রাজনৈতিক চমক বলে ব্যাখ্যা করেছিল। আমি তাঁদের উদ্দেশ্যে বলছি, অ্যাকশন স্পিকস লাউডার দ্যান ওয়ার্ডস। এটা যদি শুধুই চমক হতো, তবে আজ শিবির শেষ হয়ে যাওয়ার পরেও আমরা মানুষের জন্য বিনামূল্যে স্বাস্থ্য পরিষেবা পৌঁছে দেওয়ার কাজ চালিয়ে যেতাম না।”
এই বক্তব্যে স্পষ্ট, রাজনীতি নয়, মানবিকতা এবং দায়বদ্ধতাই অভিষেকের কাছে মুখ্য। শুধুমাত্র নির্বাচনের আগে নয়, বরং বছরের পর বছর ধরে মানুষের পাশে থেকে কাজ করাই তাঁর লক্ষ্য। ‘সেবাশ্রয়’ তারই এক নিদর্শন।
এই উদ্যোগে চিকিৎসক, স্বাস্থ্যকর্মী এবং স্বেচ্ছাসেবকরা (Abhishek Banerjee) প্রশংসনীয় ভূমিকা পালন করেছেন। স্বাস্থ্য শিবিরে এমন অনেক মানুষ এসেছেন যাঁরা আগে কখনও ডাক্তার দেখাতে পারেননি অর্থনৈতিক কারণে বা সচেতনতার অভাবে। ‘সেবাশ্রয়’ সেই অসুবিধাকে দূর করে তাঁদের স্বাস্থ্য সচেতন করেছে।
পরিশেষে বলা যায়, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhishek Banerjee) এই ধারাবাহিক প্রয়াস পশ্চিমবঙ্গের রাজনৈতিক পরিসরে এক নতুন বার্তা দেয়— যেখানে কাজই মুখ্য, বাক্য নয়। মানুষকে সম্মান ও সহমর্মিতা দিয়ে পাশে থাকার এই চেষ্টাই ভবিষ্যতের রাজনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গির পথ দেখাতে পারে।