Mahesh Babu Summoned by ED in Real Estate Scam Probe
তেলুগু চলচ্চিত্র জগতের সুপারস্টার মহেশ বাবুকে (mahesh babu) এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ED) একটি অর্থ পাচারের মামলায় তলব করেছে। হায়দ্রাবাদ-ভিত্তিক দুটি রিয়েল এস্টেট সংস্থা, সাই সূর্য ডেভেলপার্স এবং সুরানা গ্রুপের বিরুদ্ধে চলমান তদন্তের সঙ্গে এই মামলা সম্পর্কিত।
ইডি সূত্রে জানা গেছে
ইডি সূত্রে জানা গেছে, মহেশ বাবুকে (mahesh babu) আগামী ২৮ এপ্রিল হায়দ্রাবাদে ফেডারেল তদন্ত সংস্থার কার্যালয়ে হাজির হতে বলা হয়েছে। এই ঘটনা তেলুগু চলচ্চিত্র শিল্পে এবং তাঁর বিশাল ভক্তকুলের মধ্যে ব্যাপক চাঞ্চল্য সৃষ্টি করেছে।
ইডি-র তদন্তে জানা গেছে, সাই সূর্য ডেভেলপার্স এবং সুরানা গ্রুপের বিরুদ্ধে সম্পত্তি ক্রেতাদের সঙ্গে প্রতারণা এবং অর্থ পাচারের অভিযোগ উঠেছে। এই সংস্থাগুলি ক্রেতাদের কাছ থেকে অগ্রিম অর্থ সংগ্রহ করে অননুমোদিত বা অবৈধ লেআউটে প্লট বিক্রি করেছে বলে অভিযোগ।
এমনকি, একই প্লট একাধিক ক্রেতার কাছে বিক্রি করা হয়েছে এবং নিবন্ধনের মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে। এই প্রতারণামূলক কার্যকলাপের ফলে বহু বিনিয়োগকারী আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছেন। তদন্তে আরও প্রকাশ পেয়েছে যে, এই সংস্থাগুলি প্রায় ১০০ কোটি টাকার অবৈধ লেনদেনে জড়িত ছিল, যার মধ্যে ৭৪.৫ লক্ষ টাকার নগদ অর্থ উদ্ধার করা হয়েছে।
মহাসমাবেশে উত্তাল করুণাময়ী, প্রশ্নের মুখে প্রশাসন
মহেশ বাবু এই মামলায় জড়িয়েছেন কারণ (mahesh babu)
মহেশ বাবু (mahesh babu) এই মামলায় জড়িয়েছেন কারণ তিনি সাই সূর্য ডেভেলপার্স এবং সুরানা গ্রুপের প্রকল্পগুলির প্রচারে অংশ নিয়েছিলেন। ইডি সূত্র অনুসারে, তিনি সাই সূর্য ডেভেলপার্সের প্রকল্পের প্রচারের জন্য মোট ৫.৯ কোটি টাকা পেয়েছিলেন। এই অর্থের মধ্যে ৩.৪ কোটি টাকা চেকের মাধ্যমে এবং ২.৫ কোটি টাকা নগদে প্রদান করা হয়েছিল।
ইডি-র তদন্তকারীরা এই নগদ অর্থের উৎস নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন এবং এটি অর্থ পাচারের একটি অংশ হতে পারে বলে মনে করছেন। তবে, এখনও পর্যন্ত এমন কোনও প্রমাণ পাওয়া যায়নি যে মহেশ বাবু (mahesh babu) সরাসরি এই প্রতারণামূলক কার্যকলাপে জড়িত ছিলেন। তাঁর ভূমিকা মূলত প্রকল্পের প্রচারে সীমাবদ্ধ ছিল, যা জনগণের মধ্যে আস্থা তৈরি করতে এবং বিনিয়োগকারীদের আকর্ষণ করতে সহায়ক হয়েছিল।
ইডি-র তদন্ত ২০২৪ সালের নভেম্বরে তেলেগানা পুলিশের দায়ের করা একাধিক এফআইআরের ভিত্তিতে শুরু হয়েছিল। এই এফআইআরগুলিতে ভাগ্যনগর প্রপার্টিজ লিমিটেডের পরিচালক নরেন্দ্র সুরানা এবং সাই সূর্য ডেভেলপার্সের মালিক কাঞ্চারলা সতীশ চন্দ্র গুপ্তার বিরুদ্ধে প্রতারণা এবং বিনিয়োগকারীদের তহবিল অপব্যবহারের অভিযোগ আনা হয়েছিল।
ইডি ১৬ এপ্রিল, ২০২৫-এ হায়দ্রাবাদ এবং সেকেন্দ্রাবাদের চারটি স্থানে তল্লাশি চালায়, যেখানে প্রতারণামূলক উপায়ে সংগৃহীত অর্থের বিবরণ সহ গুরুত্বপূর্ণ নথি এবং নগদ অর্থ উদ্ধার করা হয়। এই তল্লাশি প্রিভেনশন অফ মানি লন্ডারিং অ্যাক্ট (পিএমএলএ), ২০০২-এর অধীনে পরিচালিত হয়েছিল।
মহেশ বাবুর প্রচারমূলক কার্যক্রম
মহেশ বাবুর প্রচারমূলক কার্যক্রম, বিশেষ করে সাই সূর্য ডেভেলপার্সের ‘গ্রিন মিডোস’ প্রকল্পের সঙ্গে তাঁর সম্পৃক্ততা, তদন্তের কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে। এই প্রকল্পে বিনিয়োগকারীরা অভিযোগ করেছেন যে তাঁরা প্রতিশ্রুত নিবন্ধন এবং উন্নয়নের অভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন।
কিছু ক্ষেত্রে, বিনিয়োগকারীরা জানতে পেরেছেন যে তাঁদের বিনিয়োগ করা প্লট ইতিমধ্যেই তৃতীয় পক্ষের কাছে বিক্রি বা বন্ধক দেওয়া হয়েছে। মহেশ বাবুর সেলিব্রিটি মর্যাদা এই প্রকল্পগুলিতে জনগণের আস্থা বাড়িয়েছিল, যা পরবর্তীতে প্রতারণার শিকার হয়েছে।
বর্তমানে মহেশ বাবু এসএস রাজামৌলির পরিচালনায় তাঁর পরবর্তী ছবি ‘এসএসএমবি২৯’-এর শুটিংয়ে ব্যস্ত রয়েছেন। এই ছবিতে প্রিয়াঙ্কা চোপড়া এবং পৃথ্বীরাজ সুকুমারনের মতো তারকারা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকায় অভিনয় করছেন। তবে, ইডি-র এই তলব তাঁর ভাবমূর্তির উপর প্রভাব ফেলতে পারে বলে অনেকে মনে করছেন। তাঁর দল এখনও এই বিষয়ে কোনও আনুষ্ঠানিক বিবৃতি প্রকাশ করেনি।
ইডি-র তদন্ত এখনও চলছে
ইডি-র তদন্ত এখনও চলছে এবং মহেশ বাবুর ২৮ এপ্রিলের উপস্থিতি এই মামলায় তাঁর ভূমিকা এবং জ্ঞানের পরিধি স্পষ্ট করতে গুরুত্বপূর্ণ হবে। তদন্তকারীরা এই অর্থ পাচার নেটওয়ার্কের সম্পূর্ণ চিত্র উন্মোচন করতে এবং জড়িত সকলের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। এই ঘটনা ভারতের রিয়েল এস্টেট খাতে সেলিব্রিটি প্রচারের সঙ্গে জড়িত ঝুঁকি এবং নৈতিক দায়িত্ব নিয়ে নতুন করে প্রশ্ন তুলেছে।