Underwater Sensor Network: চিনের কার্যকলাপের উপর নজর রাখার জন্য ভারতীয় নৌবাহিনী জোরালো ব্যবস্থা করতে চলেছে। যদি ড্রাগন সমুদ্রে কোনও ঝামেলা সৃষ্টি করার চেষ্টা করে, তাহলে ভারতীয় নৌবাহিনীকে একটি সতর্কতা পাঠানো হবে এবং তারা তাকে শিক্ষা দেওয়ার জন্য প্রস্তুত থাকবে। গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, যদি চিন সমুদ্রে কোনও পদক্ষেপ নেয়, তাহলে ভারত কীভাবে তা জানবে? ভারতীয় নৌবাহিনী এবং প্রতিরক্ষা গবেষণা ও উন্নয়ন সংস্থা (DRDO) এর সমাধান খুঁজে পেয়েছে।
সেন্সর নেটওয়ার্ক ইনস্টল করার প্রস্তুতি নিচ্ছে
তথ্য অনুযায়ী, ভারত মহাসাগর অঞ্চলে একটি সেন্সর নেটওয়ার্ক স্থাপনের পরিকল্পনা তৈরি করেছে ভারতীয় নৌবাহিনী এবং ডিআরডিও। এই পরিকল্পনার আওতায়, নৌবাহিনী নাইনটি ইস্ট রিজ, আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জ এবং বঙ্গোপসাগরের গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় আধুনিক জলের নীচের সেন্সরের একটি নেটওয়ার্ক স্থাপন করতে চলেছে। এর সাহায্যে, যখনই চিনা সাবমেরিন কোনও পদক্ষেপ নেবে, এই সেন্সরগুলি তা সনাক্ত করবে।
একটি হাইড্রোঅ্যাকোস্টিক সেন্সর কীভাবে কাজ করে?
হাইড্রোঅ্যাকোস্টিক সেন্সর ব্যবহার করে, ভারতীয় নৌবাহিনী চিনা সাবমেরিনের কার্যকলাপের সঠিক সময় জানতে সক্ষম হবে। এই সেন্সরগুলি সমুদ্রের নীচে শব্দ তরঙ্গ ব্যবহার করে সাবমেরিন এবং অন্যান্য জলের নীচের যানবাহন সনাক্ত করে। সেন্সরগুলি সাবমেরিন থেকে আসা অ্যাকোস্টিক স্বাক্ষর সনাক্ত করে, যা তাদের গতিবিধি ট্র্যাক করতে সাহায্য করে।
কেন ভারতের একটি সেন্সর নেটওয়ার্কের প্রয়োজন ছিল?
গত কয়েক মাসে, চিন সমুদ্রে এমন কার্যকলাপ ঘটিয়েছে, যা ভারতের উত্তেজনা বাড়িয়েছে। সম্প্রতি, চিনের গুপ্তচর জাহাজ ডং ফাং হং ৩ এক মাস ধরে নাইনটি ইস্ট রিজ জরিপ করেছে। চিনা নৌবাহিনীর পরিকল্পনা – পিপলস লিবারেশন আর্মি নৌবাহিনী ভারত মহাসাগরে দ্রুত তার আধিপত্য বৃদ্ধি করছে। এটিকে চ্যালেঞ্জ জানাতে, ভারত সেন্সর নেটওয়ার্কিং স্থাপনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে, ভারত যাতে চিনা কার্যকলাপ সম্পর্কে সচেতন থাকতে পারে, তার জন্য এই সেন্সরটির প্রয়োজন ছিল।