আইপিএল ২০২৫-এর একটি উত্তেজনাপূর্ণ ম্যাচে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু (RCB ) পাঞ্জাব কিংসের (Punjab Kings) মুখোমুখি হয়েছে। গত ম্যাচে পাঞ্জাবের কাছে লজ্জাজনক হারের পর আরসিবি-র জন্য এই ম্যাচে ঘুরে দাঁড়ানো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। টস জিতে অধিনায়ক রজত পাতিদার প্রথমে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন এবং দলে একটি উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন করেছেন। ফর্মের অভাবে লিয়াম লিভিংস্টোনকে বাদ দিয়ে দলে সুযোগ দেওয়া হয়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজের অলরাউন্ডার রোমারিও শেফার্ডকে। এই পরিবর্তনের পিছনে রয়েছে দলের কৌশলগত চিন্তাভাবনা এবং খেলোয়াড়দের সাম্প্রতিক পারফরম্যান্সের বিশ্লেষণ।
লিয়াম লিভিংস্টোনের বাদ পড়ার কারণ
লিয়াম লিভিংস্টোন এই মরশুমে সাত ম্যাচে মাঠে নেমেছেন। কিন্তু তার পারফরম্যান্স ছিল হতাশাজনক। মাত্র একটি অর্ধশত রানের ইনিংস খেলতে পেরেছেন তিনি, এবং তার ব্যাটিং গড় এবং স্ট্রাইক রেট ছিল নিম্নমানের। সাত ম্যাচে তার মোট রান ৮৭, গড় ১৭.৪০ এবং স্ট্রাইক রেট ১২৭.৯৪। এই পরিসংখ্যান তার স্বাভাবিক বিধ্বংসী ফর্মের সঙ্গে মেলে না। এছাড়াও, অলরাউন্ডার হিসেবে তিনি বল হাতে কোনো প্রভাব ফেলতে পারেননি। বোলিংয়ে অবদানের অভাব এবং ব্যাটিংয়ে অসঙ্গতির কারণে তাকে দল থেকে বাদ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
রোমারিও শেফার্ড কেন পছন্দের তালিকায়?
রোমারিও শেফার্ডকে দলে অন্তর্ভুক্ত করা আরসিবি-র জন্য একটি কৌশলগত মাস্টারস্ট্রোক হতে পারে। এই ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান পেসার চার ওভারের কার্যকর বোলিং করতে সক্ষম, যা পাঞ্জাব কিংসের ব্যাটারদের জন্য অসুবিধা তৈরি করতে পারে। পাঞ্জাবের ব্যাটিং লাইনআপ প্রায়ই হার্ড-লেংথ এবং বাউন্সি বোলিংয়ের বিরুদ্ধে দুর্বলতা দেখায়। শেফার্ডের বোলিং স্টাইল ঠিক এই দুর্বলতাকে লক্ষ্য করে। তার বোলিং পিচে আঘাত করে অতিরিক্ত বাউন্স তৈরি করতে পারে।
ব্যাটিংয়ের দিক থেকেও শেফার্ড একজন শক্তিশালী ফিনিশার। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে তার স্ট্রাইক রেট ১৪৮.৫২, যা তার বিধ্বংসী ব্যাটিং ক্ষমতার প্রমাণ। নম্বর ৭ পজিশনে ব্যাট করতে এসে তিনি দ্রুত রান তুলতে পারেন এবং বড় শট খেলে যেকোনো মাঠে প্রভাব ফেলতে সক্ষম। তার এই ব্যাটিং এবং বোলিংয়ের দক্ষতা আরসিবি-র দলকে আরও শক্তিশালী এবং ভারসাম্যপূর্ণ করে তুলেছে।
আরসিবি-র প্লেয়িং ইলেভেন
এই ম্যাচে আরসিবি-র প্লেয়িং ইলেভেনে রয়েছেন: ফিলিপ সল্ট, বিরাট কোহলি, রজত পাতিদার (অধিনায়ক), জিতেশ শর্মা (উইকেটরক্ষক), রোমারিও শেফার্ড, টিম ডেভিড, ক্রুনাল পান্ডিয়া, ভুবনেশ্বর কুমার, সুয়াশ শর্মা, জশ হ্যাজলউড এবং যশ দয়াল।