মীনাক্ষী ছাড়া কি শেষ পর্যন্ত জমবে লাল ব্রিগেড? সত্যিই তরুণদের সমর্থন পাবেন সেলিম-অনাদি সাহুরা?

বাম ছাত্র-যুব মহলের কাছে তিনি ‘ক্যাপ্টেন’ (Minakshi Mukherjee) । ২০২৩ সালের ‘ইনসাফ যাত্রা’ সফল করার নেপথ্য নায়িকা ছিলেন তিনিই—মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায় (Minakshi Mukherjee) । সেই ব্রিগেড…

Doubts Loom Over Minakshi Mukherjee's Speech at CPIM Brigade Rally

বাম ছাত্র-যুব মহলের কাছে তিনি ‘ক্যাপ্টেন’ (Minakshi Mukherjee) । ২০২৩ সালের ‘ইনসাফ যাত্রা’ সফল করার নেপথ্য নায়িকা ছিলেন তিনিই—মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায় (Minakshi Mukherjee) । সেই ব্রিগেড সমাবেশের আয়োজক ছিল ডিওয়াইএফআই, নেতৃত্বে ছিলেন মীনাক্ষী (Minakshi Mukherjee) নিজে। মাঠে-ময়দানে, সোশাল মিডিয়ায়, পোস্টারে-পথসভায় যেভাবে তাঁকে সামনে রেখে তরুণরা একজোট হয়েছিল, তা অনেকদিন পর বাম রাজনীতিতে নতুন উদ্দীপনার বার্তা দিয়েছিল।

Advertisements

কিন্তু ২০২৫-এর ব্রিগেড একেবারে ভিন্ন ছবির ইঙ্গিত দিচ্ছে। কারণ এবারে ব্রিগেডের বক্তা তালিকায় মীনাক্ষীর (Minakshi Mukherjee) নামই নেই! বক্তা তালিকায় রয়েছেন সিপিএম রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম, কৃষক সংগঠনের অনাদি সাহু, খেতমজুর নেত্রী বন্যা টুডু, শ্রমিক নেতা নিরাপদ সর্দার, অমল হালদার এবং সুখরঞ্জন দে-র মতো বর্ষীয়ান নেতারা। কিন্তু যুব প্রজন্মের প্রতিনিধি, সদ্য দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য হওয়া সত্ত্বেও মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়ের (Minakshi Mukherjee)  নাম নেই।

   

এতেই ক্ষোভ প্রকাশ করছেন দলের এক বড় অংশের কর্মী-সমর্থক, বিশেষ করে ছাত্র-যুবরা। তাঁদের বক্তব্য, আজকের দিনে যখন বামদের (Minakshi Mukherjee) আসল লড়াই হচ্ছে নতুন প্রজন্মের মধ্যে পৌঁছনোর, তখন সবচেয়ে জনপ্রিয় এবং লড়াকু যুব নেত্রীকে বাদ দেওয়া ভবিষ্যতের জন্য ক্ষতিকর।

অন্যদিকে, দলের একাংশের যুক্তি—এই ব্রিগেড আয়োজন করেছে কৃষক, শ্রমিক ও খেতমজুর সংগঠন। এখানে বক্তা হবেন মূলত সংগঠনের নেতৃত্বস্থানীয় ব্যক্তিরাই। দলের তরুণ মুখের এখানে বক্তব্য রাখার প্রয়োজন নেই।

কিন্তু প্রশ্ন উঠছে—রাজনীতি কি কেবলমাত্র নিয়ম আর গঠনতন্ত্র মেনে চলে? জনসংযোগ, রাজনৈতিক বার্তা, নেতৃত্বের গ্রহণযোগ্যতা, কর্মীদের অনুপ্রেরণা—এসব কি কম গুরুত্বপূর্ণ?

গত বছরের ‘ইনসাফ যাত্রা’ দেখিয়েছিল কীভাবে মীনাক্ষীকে (Minakshi Mukherjee) ঘিরে তরুণদের মধ্যে একটা ঢেউ উঠেছিল। সেই ঢেউ কাজে লাগিয়ে বামপন্থীরা (Minakshi Mukherjee) নতুন করে মাঠে নামার বার্তা পেয়েছিল। তাই অনেকেই বলছেন, এমন একজন নেত্রীকে যদি ব্রিগেডের মঞ্চেই দেখা না যায়, তাহলে ছাত্র-যুবদের আগ্রহে ভাঁটা পড়বে—এটাই স্বাভাবিক।

ব্রিগেড মানেই তো শুধু জনসমাগম নয়, তা একটা বার্তা। আর সেই বার্তা আজকের যুব সমাজকে যদি না ছুঁয়ে যায়, তাহলে সেটা নিছক একটা আনুষ্ঠানিক সভাতেই পরিণত হবে।

Advertisements

ইতিমধ্যেই দেখা যাচ্ছে, সোশাল মিডিয়ায় ব্রিগেড নিয়ে আগের মতো প্রচার নেই। নেই পোস্টার ঝলকানি, মাঠে-ময়দানে কর্মসূচির জোয়ারও ম্রিয়মান। তরুণদের মধ্যেও তেমন আবেগ দেখা যাচ্ছে না।

বাম নেতৃত্বের একটা অংশ মনে করছে, তরুণ মুখগুলিকে পরিকল্পিতভাবে পিছনে রাখা হচ্ছে। আর এই প্রবণতা ভবিষ্যতে দলের ভিত নড়বড়ে করে দিতে পারে।

এখনও সময় আছে—ব্রিগেডের আগেই যদি দল মত পরিবর্তন করে, আর মীনাক্ষীর মতো নেত্রীকে মঞ্চে জায়গা দেয়, তাহলে হয়তো কিছুটা হলেও এই হতাশা কাটানো সম্ভব।

অন্যথায়, রবিবার ব্রিগেডের (Minakshi Mukherjee) ময়দানে যদি তরুণ চুলের চেয়ে পক্ক চুলের সংখ্যাই বেশি থাকে, তাহলে সেটা হবে একটা সতর্কবার্তা। একটা দল কেমনভাবে তার ভবিষ্যতের শক্তিকে গুরুত্ব দেয়, সেটাই নির্ধারণ করবে তার ভবিষ্যতের সাফল্য বা ব্যর্থতা।